এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- > * — ঈশ্বরে বিশ্বাস থাকিলে উপহার মঙ্গলময় স্বরূপের পরিচয় প্রাপ্ত হইতাম, এবং পরাৎপর জগৎ পাতায় অনন্ত মঙ্গল স্বরূপ ও অনিবর্ণচনীয় মহিমার কিঞ্চিম্মাত্র পরিচয় প্রাপ্ত হইলে তাহীকে প্রীতি না করিয়। কখনই ক্ষান্ত থাকিতে পারিতাম মা । কিন্তু আমি ঈশ্বরকে প্রীতি করি কি না তাহ কি রূপে অবগত হইব ? ইহাতেও আমার ভ্রম হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা, প্রকৃত রূপে প্রীতি না করিয়াও হয় তো ঈশ্বরকে প্রীতি করিতেছি বলিয়া মনকে মিথ্যা স্তোভ দিতে পারি ; অতএব এ বিষয়েও পরীক্ষণ আগবশ্যক । প্রীতির কার্ষ্য কি ? প্রিয়তমের প্রিয় কাৰ্য্য সাধনই প্রীতির এক প্রধান কাৰ্য্য। আমি যদি বলি ষে ঈশ্বরকে আমি প্রীতি করি অথচ তাহার প্রিয় কাৰ্য্য সাধন করি না তাহ হইলে নিশ্চয় জানিব ষে আমি ঈশ্বরকে প্রীতি করি না, কেন না ষখন আমরা ঈশ্বরকে প্রীতি করি তখন র্তাহার কোন এক নিয়ম উল্লঙ্ঘন করিলে অভ্যাক্স। কখনই তৃপ্তি লাভ করিতে পারে মা, প্রীতির প্রধান লক্ষণ এই যে কিসে প্রিয়তমের ইচ্ছানুরূপ সমুদয় কার্য্য সম্পন্ন হুইবে তজ্জন্য অগত্যু সৰ্ব্বদা ব্যস্ত থাকে সে বিষয়ে কিছুমাত্র ক্রাট হইলেই মন অত্যন্ত ব্যাকুলিত হয়। সেই রূপ যখন আমরা ঈশ্বরকে প্রীতি করি তখন কোন মতেই উীহার নির্দিষ্ট নিয়ম সকল উল্লঙঘন করিতে পারি না। কিসে তাহার সমুদায় আজ্ঞা সুচাৰু রূপে পালন করিব তজ্জন্য আমাদিগকে সৰ্ব্বদা ব্যস্ত থাকিতে হয়, পাছে কোন প্রকারে কোন বিষয়ে কিছুমাত্র ক্রটি হয় আত্মা সেই জন্য সর্বদা সতর্ক থাকে ; কাজে কাজেই পাপ আসিয়া অন্তরে সহজে প্রবেশ করিতে পারে মা । ঈশ্বরভাবে আত্মা সৰ্ব্বদা পরিপূরিত থাকায় সংসারের কোন প্রকার প্রলে। ভনও সেই অপত্নাকে কোন মতে বিচলিত করিতে সমর্থ হয় না । , প্রীতির আর এক প্রধান লক্ষণ এই ষে যখন আমরা কাহাকেও প্রীতি করি তখন তাছার নিকট সৰ্ব্বদা থাকিবার জন্য মন নিতান্ত