পাতা:দশোপদেশ.pdf/৪১

بسته به دنیا میسیسی প্রলোভনে মুগ্ধ হইয় তাহার পবিত্র নিয়ম সমুদায় উল্লঙ্ঘন করিতেছি । তবে আমাদের প্রীতি কোথায় ? ভাতৃগণ ? ঈশ্বরকে প্রীতি না করিয়া আমরা কি ব্রাহ্ম নামের ষোগ্য হইতে পারি? না ৰিশ্বারের অভাবে আমাদের পরিত্রাণের কিছুমাত্র প্রত্যাশা, থাকে? তবে কি নিমিত্ত অপেক্ষা করিতেছি, কোন সাহসেই বা ঈশ্বরনির্দিস্ট শ্রেয়ের পথকে ত্যাগ করিয়া নিশ্চিন্ত রছিয়াছি । ভ্রাতৃগণ । আর নিশ্চেষ্টতার সময় নাই । মোহ নিদ্রা হইতে উথিত হউন, পতি মুহূর্তেই আমাদের ইহ জীবনের কথঞ্চিৎ ভাগ বিনষ্ট হইতেছে, যে সময় একবার অতিবাহিত হইতেছে তাহা আর ফিরিয়া আসিবে না, যে কিছু সুষেণগ আমাদের হস্তে আছে, সময়ে তাহার সদ্ব্যবহার না করিলে পরে অণর কোন ফল দশিবে না। এ নিৰুদ্যোগের বা দীর্ষস্থত্রিতার সময় নহে ; মৃত্যুর কোন নির্দিষ্ট কাল নাই কখন জাসিয়া গ্রাস করিবে তাছার কিছুই বলা যায় না ; এই নিমিত্ত পুৰ্ব্বান্ধেই আমাদের প্রস্তুত থাকা অবশ্যক। আমুন এই মুহূৰ্ত্ত হইতেই আমরা আমাদের পরম পিতার নির্দিষ্ট নিয়ম সকল প্রতিপালন করিতে এবং সম্পূর্ণ রূপে উপহার আজ্ঞার বশবৰ্ত্তী হইয় তাহার প্রতি একান্ত নির্ভর করতঃ র্তাহার প্রিয় কার্ষ্য সাধনে প্ৰৱত্ত হই। জানিয়া শুনিয়া আর কত দিন আমর জঘন্য মহাপাপে লিপ্ত থাকিব, কত দিন ঈশ্বরের সমুদায় মিয়ম উল্লঙঘন করত উtছর অজ্ঞকে উপেক্ষ করিব। কত দিন অজীৰ স্কৃথিছ কপটাচারের দাস হইয়। আমরা ঈশ্বরের নামে লজ্জিত হইৰ এবং এই পবিত্র ব্রাহ্মসমাজের প্রতি কলঙ্কারোপ করিব । কাহার ভয়ে আমরা ভীত হইতেছি কাহার অনুরোধে আমাদের পরম পিতা পরাৎপর পরমাত্মণকে পরিত্যাগ করিতেছি ? কি নিমিত্তই বা কৰ্ত্তব্যবিমুখ হইয়া পশুবৎ কার্য্য করিতেছি বিবেচন। করিতেছি বলিয়া অণর কত কাল ক্লথ অতিবাহিত করিব ? ভ্রাতৃগণ ! আয় চিন্তার সময় নাই এখন কার্য্যের সময় অতএব এই