পাতা:দশোপদেশ.pdf/৪৫

~ *8 -- কষায় বসন প্রভৃতি বাস্থ চিহ্ন ধারণ করিবার অধিকার কি ? তিনি ত এই জনকোলাহল পূর্ণ সংসারে থাকিয়াই বিষয় বিদ্বেল্পী সন্ন্যাসী হইলেন । উহার সমাধি পৃথিবীতে নয় ঈশ্বরেতেই হইবে। মনুষ্য আপনার প্রকৃতিতে ঈশ্বর জ্ঞান অধিকার করিয়৷ জন্ম গ্রহণ করিয়াছে, জ্ঞান লাভের যে কএকটি দ্বার অাছে, তাহার সাহায্যে সেই জ্ঞানকে পরিবৰ্দ্ধিত করিতেছে, কিন্তু যত দিন ন৷ বিবেককে নিৰ্ম্মল করিৰে যত দিন না বৈরাগ্যের অতিশয় লইবে তত দিন কোন প্রকারে তাহার ঈশ্বর লাভ হইবে না । গ্রন্থ পত্রে ঈশ্বর নাই, গ্রন্থের কীট হইয়া থাকিলেও ঈশ্বরকে পাওয়া যায় না । ঈশ্বর আত্মাতে, আত্মা পৰিত্ৰ ন হইলে তাহার সন্নিকর্ষ উপলব্ধি হইবে না । কিন্তু প্রমাদী মনুষ্য তাহ বুঝে না । সে আপনার দোষেই আপনাকে মষ্ট করে। কোথায় এই সংসার সুখের রাজ্য ধর্মের রাজ্য হইয়া বিরাজ করিবে তাহ ন হইয়া মজুষ্যের দোষে ইছ দিন দিন কি রূপ কলঙ্কিত হইয়া উঠিতেছে। এখনও এই সংসারের কোন স্থলে দেখিতে পাইবে পিতা পুত্রকে ও পুত্র পিতাকে সময় বিশেষে বিশ্বাস করেন না । ভ্রাতা ও ভগিণীতে সম্ভাব নাই। श्वानौ ७ ख्री औखिन्न পৰিত্ৰতা রক্ষণ করিতে পারেন না । বন্ধু বন্ধুর অন্তরে অস্ত্রাঘাত করিয়া থাকেন। তুমি যাহার অন্ধকারে আলোক দিবে সে তোমার অন্ধকারের আলোক নিৰ্ব্বাণ করিবে। তুমি যাহার পথের কন্টক শোধন করিবে সে তোমার পথে কন্টক রোপণ করিবে। আবার কিঞ্চিৎ অনুসন্ধিৎসু হইয়া পরম্পর অসম্বদ্ধ মনুষ্যের বিষয় অালোচনা কর দেখিতে পাইবে ষণস্থায় ব৷ণিজ্যের বার্তা প্রচার করিয়া থাকেন, তাহাদিগের মধ্যে অধিকাংশই আপনার কপটতাকে উৎকৃষ্ট পরিচ্ছদ দিয়া তাহারই বাণিজ্য করিতেছেন। লোককে বঞ্চন করাই ইহাদিগের শিক্ষিত বিদ্যা । ধৰ্ম্মণলয়ে প্রবেশ কয় দেখিতে পাইৰে অনেকেই ধৰ্ম্মকে আপনার সুরভিসন্ধি সাধমের যন্ত্র করিয়া বলিয়া আছেন, ধর্মের সামে পবিত্র ঈশ্বরের নামে আপনার গৌরব প্রচার করাই উহাদিগের কার্য্য। গ্রন্থালয়ে