পাতা:দশোপদেশ.pdf/৫৩

ممسحس يخ85 سم مس হইতেছে, ততই * সৰ্ব্বভূতে শরীর মধ্যে গৃঢ়ৰূপে " সেই অন্তরতম মহা পুৰুষের সত্তা অনুভব করিয়া মানব আত্মা শ্রদ্ধা ভক্তি প্রীতির সহিত র্তাহার পূজায় অগ্রসর হইতেছে। অস্তরে বাহিরে সকল স্থানে তঁহারই পিতৃ ভাব, মাতৃ স্নেহ, কল্যাণ লক্ষ্য উপলব্ধি করিয়া অমূলক ভয়, অন্ধ বিশ্বাস পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক আন্তরিক অনুরাগ, অবিচলিত প্রেমের সহিত র্তাহার সেবায় প্রবৃত্ত হইতেছে। ভীষণ অকার উগ্ৰমূৰ্ত্তি মহান পদার্থ সকল যেমন মানব-হৃদয়কে ভয় বিস্ময়ে অভিভূত করিয়া তাহার অনুগত করিয়া ফেলে, তেমনি আবার সত্য সুন্দর মঙ্গল ভাব, মানব-আত্মণকে প্রীতি সস্তাবে শ্রদ্ধা অনুরাগে সমুন্নত করিয়া তোলে। যখন সূৰ্য্য জ্যোতিকে কেবল দিক্‌দাহ করিতে দেখি, যখন বিদ্যুৎ বজ্র লিনাদে জীব জন্তুকে কম্পিত ও নিহত করিতে অবলোকন করি, নদী সাগরকে নগর গ্রাম সমুদায় প্লাবিত ও বিনষ্ট করিতে দর্শন করি, তখনই তাহদিগকে ভয়ামক বলিয়া অবগত হই, তখনই তাহারদিগকে দর্শন মাত্রেই ভীত হই। কিন্তু যখন বুঝিতে পারি, ষে সূর্য্য আলোক প্রদান না করিলে, ওষধি বনস্পতি বৰ্দ্ধিত হয় না, শরীরের উত্তাপ রক্ষণ পায় না, মেঘ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে না, তখন কেমন জাপমা হইতেই সূর্য্যের প্রতি প্রীতি-প্রবাহ প্রবাহিত হয়। যখন জানিতে পারি যে, বজ্র বিদ্যুৎ দ্বারা বায়ু বিশেধিত হইতেছে, বিদ্যুৎ বলে অত্যপ কাল মধ্যেই সমগ্র ভূমণ্ডলের সংবাদ সংগৃহীত হইতেছে, অনিষ্ট অকল্যাণ হইতে উদ্ধার করিবার জন্যই গভীর নিনাদ, অসামান্য দীপ্তি প্রকাশ করিতেছে, তখন আপনা হইতেই তাহার প্রতি অামারদিগের অনুরাগ ও আস্থ উপস্থিত হয়। যখন দেখি নদী সাগর না থাকিলে যেঘ-বাম্পের সঞ্চার হয় না, বৃক্ষ লতা সমুৎপন্ন হয় না, বাণিজ্য কার্ষ্যের ক্রবৃদ্ধি হয় না, যখন বুঝিতে পারি ষে তাহার কেবল অামারদের কল্যাণ উদেশেই ধরাশায়ী হইয়া রহিয়াছে, আমারদের শুভ উদ্দেশেই দিবারাত্র নিযুক্ত রহিয়াছে, তখন হৃদয়