এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যখন ঈশ্বরের সেই নিত্য ভাব হৃদয়ে প্রকাশ পায়, যখন আত্মার অবিনশ্বর উন্নতিশীল প্রকৃতির প্রতি দৃষ্টিপাত করি, তখন জার পাখিৰ স্বথের প্রতি নির্ভর করিয়া আত্মা সুস্থির থাকিতে পারে ন। যখন দেখি এখানকার সকলই অচির অস্থায়ী ; এ সূর্ধ্যের কথম উদয়, কখন অস্ত ; এখানে কখন পের্ণিমাসী, কখন অমানিশ1; কখন মধুর বসন্ত, কখন নিদাৰুণ গ্রীষ্ম। এখানে কখন আমন্দ উৎসব, কখন বিষাদ ক্ৰন্দন ; কখন মিত্রতার আবির্তণব, কখন শক্ৰতার পরাক্রম। তখন আর এ সংসার-প্রেমে চির-মুগ্ধ থাকিতে কণর ইচ্ছা হয় ? তখন কার হৃদয় না যেখানে রোগ শোক জর মৃত্যুর অধিকার নাই, যেখানে বিষাদ ক্ৰন্দনের আশঙ্কা নাই,যেখানে চির বসন্ত চির-সুখ চির-মেদির্ষ্য সেখানে যাইতে উৎসুক হয় । তথম কণর আত্মা না সেই অজর অমর এৰ-শপন্তি-নিকেতনে যাইতে ব্যাকুল হয়। এই মর্ত্য-লোকে চির-সুখ চির-শান্তির অভাব দেখিয়। কোন আত্মা না সেই পূর্ণ জগন পূর্ণ-মঙ্গল পরমেশ্বরের সন্নিধানে এই শর্থনা করে “ অসত্যেম সদৃগময় তমসোম জ্যোতির্গময় মৃত্যে মামুতং গময় ৷ ” ইহ লোকের কৰুণ বিতরণে সেই সত্যকাম মঙ্গল-সঙ্কল্প পরমেশ্বরের কৰুণর পরিসমাপ্তি হয় না । ইহ-জীবনের কল্যাণ-দানে র্তাহার দান-ক্রিয়ার পরিশেষ হয় না। তিনি নিত্য নুতন মুখ, নিত্য নুতন আনন্দ বিধান করিয়া আত্মার অমৃত লালস পরিবর্জন করিতেছেন। তিনি মুখের উৎস, শান্তির প্রস্রবণ অমৃতের আকর। * সেই বিশ্বের একমাত্র পরিবেষ্টিত। পুরমেশ্বরকে জানিয়া লোক সকল অমর হয়েম । " - হে সুধীর সাধু সজ্জন সকল ! ঈশ্বর “ আপনার বিশুদ্ধ মঙ্গল স্বরূপ এই ভাৰৎ, ভৌতিক পদার্থে এবং মনুষ্যের মানস-পটে মুদ্রিত করিয়া রাখিয়াছেন।” অসীম দমুদ্রে, উন্নত পৰ্ব্বতে, অনন্ত আকাশে উাহীর মহান ভাব উপলব্ধি করিয়া উপহার ইচ্ছার অক্ষগত হও ।