অসীম চরাচরে তঁহার মঙ্গল ভাব শুভ সংকল্প দেদীপ্যমান দেখিয়া সমুদায় হৃদয়ের সহিত র্তাহীকে প্রীতি কর। আপনার জীবনে র্তাহার স্নেহ কৰুণ মূৰ্ত্তিমতী দেখিয়া উপহার প্রতি কৃতজ্ঞ হও । অপমার আত্মাতে র্তাহার আবির্ভাব ও অধিষ্ঠান অনুভব করিয়া তাহাতে আত্ম সমর্পণ কর। আপনাকে অমৃত-ধামের অধিকারী জানিয়। র্তাহার প্রসাদ লাভের জন্য র্তাহার নিত্য পূজা নিত্য উপাসনায় প্রবৃত্ত হও । ও একমেবাদ্বিতীয়ং {} অষ্টম উপদেশ । ৮ মাঘ বৃহস্পতিবার ১৭৯১ শক । ধৰ্ম্মং চর ধৰ্ম্মাৎ পদুং নাস্তি । ধৰ্ম্মীচরণ কর ধর্মের পর আর নাই । যে ধৰ্ম্ম লাভ না করিলে আমরা কখনই মুখ ও শুন্তি ভোগ করিতে পারি না, তাহ কি প্রকারে সাধন করিব-কি প্রকারে তাহা অামাদের জীবনের অঙ্গ স্বরূপ হইবে তাহ আমাদের অন্তরাত্মা বলিয়া দিতেছে । আমরা দেখিতেছি যে দৃঢ় ও সংযত হুইয়া কতকগুলি নিয়ম অবলম্বন না করিলে আমরা ধৰ্ম্মের পথের পথিক হইতে পারি না। অামাদিগের স্বভাব, চিন্তা, বাক্যে ও কার্য্যে সকলের প্রতি সাবধানত সহকারে দৃষ্টি রাখিতে হইবে, কখন কোন টি অপথে পদার্পণ করিতেছে । যখন আমরা ঈশ্বরোপীসমাতে নিযুক্ত থাকি তখন মনে করি যে ঈশ্বরকে কখনই পরিত্যাগ করিব না, প্তাহাকে মনে মনে নয়নে নয়নে রাখিয়া সংসারে বিচরণ করিব কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য ! বিযয় কার্য্যে ব্যাপৃত হইয়া আমাদের রসন লোকের লিন্দাবাদে হঠাৎ প্রৱত্ত হয়—অন্যায় চিন্তা, দ্বেষ, হিংস হঠাৎ হৃদয় অধিকার করে—সামান্য বিষয়ে অনুরাগ ও চঞ্চল্য জন্মে ও স্বার্থের দিকে দৃষ্টি হইয়া আমাদের আত্মা উচ্ছ জ্বল হইয় পড়ে।
পাতা:দশোপদেশ.pdf/৫৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।