এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مسس ۹غ -سسس আমরা কি ঈশ্বর ও ধৰ্ম্মকে সকল কালে সঙ্গের সঙ্গী করিয়া রাখিতে পারিব না ? আমরা কি উপাসনালয়ে এক রূপ ও কৰ্ম্ম-ক্ষেত্রে অন্য রূপ মনুষ্য হইব ? সংসারে—কৰ্ম্ম-ক্ষেত্রে আমাদের অধিকাংশ জীবন অতিবাহিত হয় অতএব যদি আমরা সেখানে ধর্মের প্রতি অপস্থা না রণথিয় প্রবৃত্তি বিশেষ দ্বারা চালিত হই—ঈশ্বরকে ভুলিয়া ষাই তবে আমাদের আর কি হইল ? অমর ঈশ্বরের প্রতি স্থির লক্ষ্য রণথিয়া, ধৰ্ম্মকে সহায় করিয়া সংসারে প্রবেশ করিব—বিষয় কাৰ্য্যে লিপ্ত হইয়। বিষয় প্রলোভনে পতিত হইয়া একটিও অন্যায় কাৰ্য্য ও অন্যায় চিন্ত করিব না—ইতিদয় লালসাকে হৃদয়ে স্থান দিব না অসত্য বলিব না ষে সকল লোকের সহিত মিলিত হুইব তাহীদের গুণ গ্রহণে ও সমাদরে যত্নবান থাকিব—তাহদের দোষণমুসন্ধানে রত থাকিব না সকলের দোষ বিনম্র চক্ষে দর্শন করিব—মনে করিব যে দোষি ব্যক্তির অবস্থায় পতিত হইলে আমরাও প্রলোভনের দাস হইয় তাহার ন্যায় দোষী হইতে পারিতাম বিশেষতঃ আমরা জীহার্কেঅসৎ ও নিরর্থক আলাপ ও কথাবাৰ্ত্ত হইতে বিরত রাখিতে সৰ্ব্বদা সচেষ্টিত থাকিব। জপন দ্বারা বিশেষ কি হানি হইবে ইহ মনে হইতে পারে বটে কিন্তু বিবেচনা করিয়া দেখিলে প্রতীতি হইবে ষে আমাদিগের চিত্ত যদি আসার না হইত তাহ হইলে আসার বিষয়ে কথোপকথনে আমাদের প্রবৃত্তি হইত ন লোকের অনুরোধে বা সমাজের প্রথানুসারে ঐরূপ কথার তামোদে প্রবৃত্ত হইলে তামাদের চিত্তও ক্রমে আসার ও ক্ষুদ্র হইয়া যায় । “ যেনাহং নামৃত স্যাং কিমহং তেন কুৰ্য্যাৎ । ” যাহা দ্বারা আমি অমর না হই তাহ লইয়া আমি কি করিল। এই মহাবাক্যের তাৎপৰ্য্য যেন আমাদের হৃদয়ে সৰ্ব্বক্ষণ জাগরূক থাকে মধ্যে মধ্যে সাবহিত রূপে অক্সি জিজ্ঞাসা করা একান্ত অবশ্যক। আমরা কি কাৰ্য্য করিতেছি কোন বিষয় চিন্ত৷ করিতেছি—কি কি বিষয় লাভের জন্য মন উৎকণ্ঠিত ও ধাৰিত হইতেছে আত্মার গভীরতম প্রদেশে কিসের অভাব আছে ?—