এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারী; এই হেতু র্তাহার অন্তরে নিহিত দেবভাব মহান মুখের অভাবে তাহীকে ব্যাকুলিত করে। কেহ যদি আপনার সমযোগ্য অথবা শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির সহিত মিলিত হইয়া কালযাপন করিতে পারেন, তবে উপহার মনে কি আহ্বাদের উদয় হয় ; কিন্তু তদ্বিপরীতে, যদি নীচাশয় ব্যক্তির সহিত সংযুক্ত হয়েন, তবে উহাকে অসুখ ও অতৃপ্তি কেনই না ভোগ করিতে হইবে । মনুষ্যের আত্মা ক্ষুদ্র নহে, ইহা অবিনাশী এবং সেই মহানৃ পুৰুষ যিনি সকলের প্রভু, তাহারই পুত্র; অতএব ক্ষণভঙ্গর অতি ক্ষুদ্র বিষয়ের লোগে কেমন করিয়া তাহার তৃপ্তি লাভের সস্তাবনা ; ক্ষণভঙ্গর মুখ তাহার পক্ষে সুখই নহে। হে মানব ! তুমি মুখামুসন্ধানে কি না করিতেছ, আহ ! দীপ্তশিরীর ন্যায় কোথায় না ভ্রমণ করিতেছ, সুখ লাভের আকভক্ষায় কত কষ্টই না বহন করিতেছ, কত দুঃসাহসিক ক্রিয়াতেই ম৷ রত হইতেছ। সেই মুখের জন্য ভীষণ রণস্থলে যাইতে কিছু মাত্র সমুচিত হইতেছ না, কিন্তু কি পরিতাপ, একটী মহাত্ৰমে পতিত হইয়। তাছ লাভ করিতে সমর্থ হইতেছ না । সুখ কি মর্ত্য পদার্থ যে মৰ্ত্ত্য বস্তুর মধ্যে তাহ পাইবে ? কৈ এত আড়ম্বরান্বিত রাজভবনে ইহার অধিষ্ঠান তো দৃষ্টিগোচর হয় না ; অথবা ভূগভস্থ রত্নখনির মধ্যে ইহাকে পাওয়া যায় না । কৈ প্রভুত্বের উচ্চ সোপণনে ইহার তো বসতি নহে, বিদ্যার প্রতিষ্ঠা-পুস্প মাল্যে ইহার সৌরভ পাওয়া যায় না। ইহা স্বৰ্গীয় রত্ন । ইহাকে মৰ্ত্ত্যলোকে লাভ কর। অতি দুষ্কর, কেবল হৃদয়কে বিকশিত করিতে পারিলে সুলভে প্রাপ্ত হওয়া যায়। এক বার পরীক্ষণ করিয়া দেখ যে, যে সকল ক্ষুদ্র পদার্থে আমরা সতত নিযুক্ত থাকি তাহাতে সুখ আছে কি না। ঐ দেথ কত উদ্যমের সহিত শত শত ব্যক্তি ধনের পশ্চাতে গমন করিতেছেন, মনে করিতেছেন, তাহা লাভ করিতে পারিলে সকল কামনা পূর্ণ হইবে; এই আশাতে অসহ ক্লেশ স্বীকার করিতে ক্রটি করিতেছেন না। কিন্তু হ ! সেই ধন যখন র্তাহাদের হস্তগত হইল তখন র্তাহারদের আশানুযায়ীকি সুখ লাভ লইল ?