এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سیاہ ریS ہیS سسیہ অদ্বিতীয় ব্রহ্মেতে মনের ষে অবস্থান—তদগতচিত্তত, তাহার নাম সৰিকল্প সমাধি । আর কৰ্ত্ত ক্রিয়। এই ছুইটী প্রকার বোধ না থাকিয় লবণ মিশ্রিত জলে চক্ষুরাদি দ্বারা কেৰল জলমাত্র জ্ঞানের ন্যায়, অদ্বিতীয় ত্ৰক্ষেতে নিৰ্ব্বাত নিষ্কম্প দীপের ন্যায় সমান ভাবে মনের যে অবস্থান-তন্মস্ক হওয়া, তাহাকে নিৰ্ব্বিকম্প সমাধি বলে। বৈদাস্তিক আচার্য্যের এই স্থলে “অহং ব্রহ্মান্মি” আমিই ব্রহ্ম, এই রূপ উপদেশ দেন, কিন্তু ব্রাহ্মধৰ্ম্ম বলেন “প্ৰণবোধক্ষুঃ শরেস্থাত্মা ব্ৰক্ষ্ম তল্লক্ষ্যমুচ্যতে অপ্রমত্তেন বৌদ্ধব্যং শরবত্তন্মষেণভবেৎ’ *প্রণব ধনুঃস্বরূপ, জীবাত্মা শর স্বরূপ এবং পরব্রহ্ম লক্ষ্য স্বরূপ; প্রমাদ শূন্য হইয়। সেই প্রণবধল্পর অৰলম্বনেতে জীবাত্ম রূপ শর দ্বারা ব্ৰহ্ম-রূপ লক্ষ্যকে বিদ্ধ করিবেক। তার যেমন শর লক্ষ্যকে বিদ্ধ করিয়া তাহার মধ্যে প্রবিষ্ট হইয় তাহার দ্বারা সম্পূর্ণ রূপে আৱত হয়, তদ্ৰুপ জীবাত্মা ব্রহ্মকে বিদ্ধ করিয়া তাহার মধ্যে প্রবিষ্ট হুইয়। তাহার দ্বারা সম্পূর্ণ রূপে অৱত হুইবে” তাহার সহিত মিশ্রিত হইবে না। এই উভয় বিধ সমাধির সাত প্রকার সাধন। যম, নিয়ম, আসন, প্রণয়াম, প্রত্যাহার. ধারণা, এবং ধ্যান । অহিংসা, সত্য ব্যবহার, অচৌর্য্য ও ব্রহ্মচৰ্য্য, এই কয়টির নাম যম । শোঁচ, সন্তোষ, তপস্যা, অধ্যয়ন ও ঈশ্বরপ্রণিধান, এই গুলির পাম নিয়ম । কর চরণাদির সংস্থান বিশেষ ও বক্ষ গ্রীব শিল্পোদেশ উন্নত দ্বারা সমভাবে শরীর স্থাপন করার মাম আসন । প্রাণ প্রভৃতি শরীরস্থ বায়ুগণকে আয়ত্ত করাকে প্রাণায়াম বলে। ইন্দ্রিয়গণকে স্বীয় স্বীয় বিষয় হইতে প্রত্যাবৃত্ত করার নাম প্রত্যাহার। এই প্রত্যাহার ও পূৰ্ব্বোক্ত দম সামান্যত এক অর্থে দুইটীরই প্রয়োগ হইয়াছে কিন্তু তাহার মধ্যে এই মাত্র বিশেষ আছে, যে দম শব্দের অর্থ-দমন করা—ইন্দ্রিগণকে স্ব স্ব বিষয়ে প্রৱত্ত হইতে না দেওয়া, আর প্রত্যাহার শব্দের অর্থ-ইন্দ্রিয়গণ যদি