পাতা:দশোপদেশ.pdf/৭৮

-سسس گری -سسس স্বস্ব বিষয়ে গমন করে, তবে তাহারদিগকে তাহ হইতে নিরক্ত করা । পরব্রহ্মেতে অন্তরিক্রিদয়ের ধারণ করাকে ধারণা কহে । পরব্রহ্মেতে অন্তরিক্রিায়ের রক্তি প্রবাহের নাম ধ্যাম । এই সাতটী সাধন বিশিষ্ট উভয় প্রকার সমাধির অনুষ্ঠান কালে—লয়, বিক্ষেপ,কষায় ও রসাস্বাদ নামে চারিটী বিশ্ন সম্ভব হয় । তাহার মধ্যে সত্য জ্ঞান অনন্ত স্বরূপ সৰ্ব্বব্যাপী ব্রহ্মচৈতন্যের স্বরূপ গ্রহণে অসমর্থ হইয়া অন্তঃকরণে যে নিদ্রা উপস্থিত হয়, তাহার নাম লয়। এই প্রকার লয়রূপ বিঘ্ন অবিভূতি হইলে, অন্তঃকরণকে উদ্বোধিত করিবেক । এই জন্যই প্রতি উপাসনার পূৰ্ব্বে উদ্বোধন করিবার রীতি প্রচলিত হইয়াছে। ব্ৰহ্ম চৈতন্য ভ্ৰমে অন্তঃকরণের যে অন্যাবলম্বন, তাহাকে বিক্ষেপ বলা যায। এই বিক্ষেপ উদিত হইলে সাবধানে তাহার শমতা করিবেক । বস্তু বিশেষের প্রতি অনুরাগ বশতঃ ব্রহ্ম স্বরূপ গ্রহণ করিতে ম। পারিয়া অন্তঃকরণের নিম্ভব্ধ ভাবের নাম কষায় । এই রূপ নিস্তব্ধ ভাবে অন্তঃকরণ ক্যায়িত হইলে যত্ন পূৰ্ব্বক তাহ নিবারণ করিবেক । অদ্বিতীয় ব্রহ্মরস ভ্রমে বিষয়রস অস্বাদন করার নাম রসাস্বাদ । সমাধিকালে এই রূপ বিষয় রসাস্বাদ অনুভূত হইলে সতকতা পূৰ্ব্বক তfহ পরিভ্যাগ করিয়া ব্রহ্মরস অনিয়ম করিবেক । এই সকল বিঘ্ন হইতে বিরহিত অন্তঃকরণ যখন নিৰ্ব্বণত নিষ্কম্প দীপের ন্যায় অচল হইয়। অদ্বিতীয় অখণ্ড ব্রহ্ম চৈতন্য গ্রহণ পূর্বক তস্থানস্ক হইয়া ব্রহ্মরস আস্বাদন করে; এতদ্রুপ অবস্থাকে সমাধি কহ যায় । এই রূপে শান্ত দান্ত উপরত তিতিক্ষু ও সমাহিত হইলে পর স্বীয় অক্সিাতে পরব্রহ্মকে দর্শন করিবার অধিকার জন্মে,এতদ্ভিন্ন অসংস্কৃত আত্মাতে র্তাহার দর্শন লাভ হয় না। এবপ্রকার সাধন সম্পন্ন হইয়া স্বীয় সংস্কৃত আত্মাতে পরমাত্ম দর্শনে অধিকার জন্মিলে, তখন