পাতা:দাক্ষিণাত্য.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় গর্ভাঙ্ক । ] দাক্ষিণাত্য সাহারা। তা বটে ! কিন্তু বুক্কাকে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আমি খে আর অন্য উপায় দেখছি না ! মহম্মদ। বুক্কাকে আমি ছাড়তে পারবো না ভগ্নি ! অন্য উপায় থাকে। তো সাধ্যমত চেষ্টা করবো। সাহারা। পাষণ্ড! চেষ্টা করবে-সাধ্যমত-অন্য উপায় থাকে তো ? তারপর যখন উপায় না পাবে, সাধ্যে না কুলোবে, চেষ্টা বিফল হবে ? তখন বুঝি বলবে, কি কবৃবো ভগ্নি, খোদার ইচ্ছা। মহম্মদ ! তুমি মানুষ ? সম্রাট গিয়াসুদিনের পুত্ৰ ? আমার ভাই? না-কে তুমি হল্মবেশী, ভাই হ’য়ে ভগ্নীর জন্য ছুরী শাণাও—সম্রাটের আসনে ব’সে স্বার্থের পূজা কর-মানুষ হ’য়ে মানুষ খাও ? তাও নিজের ভাগিনেয়-জামাতা, পুত্ৰ হ’তেও,-পশুতেও যা পারে না ! তুমি কোন জাহান্নামের ? না মহম্মদ ! তোমার দোষ নাই, এ খোদার মার-আমার দুরাশার পুরস্কার । এসেছিলুম। আমি অনাথিনী তোমার সংসারে, পুত্রকে রাজ্য দেবার লোভে,-দিয়ে চলুম তোমার রাজ্য-পিপাসার পায়ে সেই পুত্ৰকে নরবলি। তুমি বেঁচে থাক-জামাতার রক্তে পরিখা দেওয়া রাজ্য মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে উপভোগ কর-খোদার চিন্তা ভুলে গিয়ে খাম-খেয়ালীই তোমার জীবনের মূলমন্ত্র হােক। আর তুমি সাকিনা, তোমায় আর কি বলবো! তোমায় আশীৰ্ব্বাদ করি, একটা দিনের জন্যও তুমি স্বামী-স্ত্রী সম্বন্ধের আস্বাদ পাও, আর সংসারের নারী-চরিত্রের সঙ্গে নিজের প্রবৃত্তির তুলনা ক’রে । অনুতাপে মাটী হ’য়ে যাও। [ প্ৰস্থান । মহম্মদ। সাকিনা! থাকু না হয় আজ বুক্কার বিচার ; সে তো আর পালাতে পাচ্ছে না। তুমিও আর একটু ভাব, আমিও আর খানিক দেখি। [ প্ৰস্থান । সাকিনা । কি আশীৰ্ব্বাদ ক’রে গেল আমায় বঁাদি ? \* ৩৯ )