পাতা:দায়ে খুন - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দায়ে খুন।
৫১

পারি না। আপনি তাহাদিগকে যেন কোনরূপেই ছাড়িয়া দিবেন না। আমরা আপনার নিকট গমন করিতেছি, সাক্ষাৎ হইলে সমস্ত ব্যাপার জানিতে পারিবেন। আমরা অদ্যই মেল ট্রেণে রওনা হইব।”

 এই সংবাদ পাইয়া মনে মনে অতিশয় আনন্দিত হইলাম। কেবলমাত্র সন্দেহের উপর নির্ভর করিয়া যে কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিয়াছিলাম, দেখিলাম, তাহার সুফলই ফলিয়াছে।

 সময় মত দুইজন পুলিস-কর্ম্মচারী বোম্বাই হইতে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তাঁহারা সেই চোর ও হত্যাকারী হীরালালকেও তাঁহাদিগের সঙ্গে করিয়া কলিকাতায় আনিলেন। হীরালাল প্রথমতঃ কোন কথাই বলিয়াছিল না; কিন্তু কলিকাতায় আসিয়া মাণিকচাঁদ ও দ্বারবানকে বন্ধনাবস্থায় দেখিতে পাইবার পরই সমস্ত কথা স্বীকার করিল। সে যাহা কহিল, বোম্বাই-পুলিস-কর্মচারীদ্বয় তাহা লিখিয়া লইলেন। উহা আমার লিখিবার প্রয়োজন না থাকিলেও, আমার অভ্যাসের দোষে আমি তাহা লিখিয়া লইলাম। হীরালাল যাহা বলিয়াছিল, তাহার সারমর্ম্ম এইরূপ:—

 “আমার নাম হীরালাল। আমার জন্মস্থান মধ্য ভারতে; কিন্তু আমার থাকিবার নির্দিষ্ট কোন স্থান নাই। ভারতবর্ষের প্রধান প্রধান সহরমাত্রেই আমার একটী না একটী আড্ডা আছে। যখন যে স্থানে গমন করি, তখন সেই স্থানেই দুই চারিদিবস অতিবাহিত করিয়া থাকি। আমি বাল্যকালেই আমাদিগের ভাষায় একরূপ শিক্ষিত হইয়াছিলাম, এবং সকল প্রকার কর্ম্মকার্য্যই আমি করিতে জানি। কিন্তু চুরি ভিন্ন কখনও অপর