পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তামাঙ্গগণের উৎপত্তি সম্বন্ধে প্রাচীন গল্প ৮৩ দিবসে বাটীতে “ছানডে” নামক অপদেবতার পূজা করিয়া শবানুগমনকারী ও অন্যান্য আত্মীয়-কুটম্বগণকে জারমদ্য, মাংস ও পিষ্টকাদি সংযােগে ভােজন করান হইয়া থাকে । মৃত্যু সংঘটনের ৪৯ দিন মধ্যে মৃতের শ্রাদ্ধকাৰ্য্য সম্পন্ন করিবার প্রথা আছে এবং শ্রাদ্ধদিনেও দেবার্চনা, মন্ত্রপাঠ ও বন্ধুবান্ধব ভােজনাদি কাৰ্য অনুষ্ঠিত হয়। তামাঙ্গগণ ব্যতীত, অশৌচ পালনার্থে কেহই কেশ শ্মশ্রু আদি মুণ্ডন করে না। তিব্বতীয়গণের ন্যায় মৃত ব্যক্তির চিতার উপর “মানেগুম্পা” বা মঠ নির্মাণ প্রথা ইহাদিগের মধ্যেও দৃষ্ট হয়। (ক) তামাঙ্গগণের উৎপত্তি সম্বন্ধে প্রাচীন গল্প - তামাঙ্গগণ সাধারণতঃ মুৰ্মী, লামা, সায়াঙ্গ, ঈশাঙ্গ, প্রভৃতি নামে অভিহিত হইয়া থাকে। তামাঙ্গগণের মধ্যে মৃত গাে মাংস ভক্ষণ প্রথা প্রচলিত ছিল বলিয়া গুখালিগণ ইহাদিগকে অবজ্ঞাসূচক ‘সায়েন। ভুটীয়া” আখ্যা প্রদান করিয়াছে। মুৰ্মীগণের গাে মাংস ভক্ষণ সম্বন্ধে বেশ একটী প্রাচীন গল্প প্রচলিত আছে। কথিত হয় যে একদা ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর তিন ভাতা একত্রে মৃগয়ায় বহির্গত হইয়াছিলেন, এবং সমস্ত দিবসের নিষ্ফল প্রয়াসের পর একটী “গৌরীগাই মাত্র প্রাপ্ত হইয়া