পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮। দার্জিলিংএর পার্বত্যজাতি। widow as the 'Bel fruit to which she was first married is presumed to be always in existence' অর্থাৎ নেওয়ার রমণী কখনও বিধবা হয় না এবং তাহারা চিরায়তী থাকিয়া এক স্বামীর মৃত্যু ঘটিলে স্বচ্ছন্দ প্রত্যন্তর গ্রহণ করে। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে, পার্বত্য প্রদেশবাসী সমস্ত জাতিগণের মধ্যে বিধবা বিবাহের প্রচলন, থাৰিলেও একমাত্র নেওয়ার সমাজেই বিধবা নারীর পুনর্বিবাহের বিধান নাই। অপর, কোন রমণীর দুশ্চরিত্রতা প্রকাশ পাইলে তাহাকে সমাজ হইতে বহিস্কৃত করিয়া দেওয়া হয়, সুতরাং উক্ত ভানসিটার্ট সাহেব কৃত “The marriage tic however amongst Newars is by no means so binding as amongst Gurkhas” অর্থাৎ নেওয়ারগণের বিবাহ বন্ধন আদৌ সুদৃঢ় নহে, এ মন্তব্য কখনই সত্য ও সঠিক বলিয়া গ্রহণ করা যাইতে পারে না। তিব্বতীয়, ভূটিয়া, লেপচা ও নেপালীপাহাড়িয়ার অন্তভূক্ত অন্য কোনও জাতির মধ্যে “বিবিবাহের অনুরূপ কোনও প্রথার অস্তিত্ব লক্ষিত হয় না। একমাত্র বঙ্গদেশে কুলীন কুমারীর নিম্ন ঘরে বিবাহ সম্বন্ধ স্থিরীকৃত হইলে পিতার কৌলিন্যাভিমান অক্ষুন্ন রাখিবার নিনিত্ত কন্যা সম্প্রদানের পূর্বে কূশপুত্তলিকার সহিত “করণ বিবাহ” হইয়া থাকে। এইরূপ ‘করণ’ প্রথার প্রচলন বঙ্গদেশেও আধুনিক ব্যতীত পুরাতন নহে। সুতরাং “বিহুবিবাহ প্রশ্ন কিরূপে এবং কি উদ্দেশ্যে