পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫১ লামা তত্ত্ব বুদ্ধদেবের অবতার। এ নিমিত্ত অনেক উৎকট-ধৰ্ম্মোন্মত্ত ব্যক্তি জন্মান্তরে সঙ্ঘবাসী লামারূপে জন্মগ্রহণ কামনায় বা সংযমী ও সদাচারী হইয়া ধৰ্ম্মানুশীলন করে, এবং ব্যবসায়ীর মত পাপপুণ্যের দৈনিক আয়ব্যয়ের বহি খুলিয়া সর্বশেষে কৃতকর্মের হিসাব নিকাশ করিয়া থাকে। কেহ, নিজ পরিবারবর্গব্যতীত মনুষ্য জগতের, কেহ শিষ্য বা অনুচর ব্যতীত অপর সকলের সংশ্রব ত্যাগ, কেহ কেহ চন্দ্র সূৰ্য ব্যতীত জীব জগতের দৃশ্য বর্জন করিয়া, এবং কেহ বা অন্ধকার কুটীর বাসী হইয়া পক্ষ, মাস, বর্ষ বা যাবজ্জীবন কঠোর ধর্মাচরণে প্রবৃত্ত হয়। | এরূপ কঠোর ধর্মচৰ্য্যায় প্রবৃত্ত ব্যক্তিগণকে তিব্বতীয় ভাষায় “শ্যাম্পা” এবং ধর্মচিন্তার নিমিত্ত নির্জন অন্ধকার গৃহগুলিকে “শ্যাম-ক্যোং” বলে। প্রত্যেক সমঠেই এরূপ দুচারিটি “শ্যামক্যোং ” দৃষ্ট হয়, এবং “শ্যাম” অর্থাৎ তপশ্চরণের প্রকার ভেদ অনুসারে ‘শ্যামকোং” গুলিও পৃথক ও বিভিন্ন ধরণে নির্মিত হইয়া থাকে। দৈহিক, ঐহিক ও পারত্রিক সকল ব্যাপারেই লামাগণ দেশের সর্বময় কর্তা। লামার অনুজ্ঞা ব্যতীত তিব্বতীয়গণ কোন কার্যে হস্তক্ষেপ করে না, এবং তাহাদিগের ইহজীবনের কোন ব্যাপারই লামার অনুপস্থিতিতে সম্পাদিত হইতে পারে না। সন্তান ভূমিষ্ঠ হইলে দৈবজ্ঞ লামা ডাকাইয়া তাহার পূর্বজন্ম বৃত্তান্ত সঠিক নিরূপণ করিয়া নামকরণ করা হইয়া থাকে।