পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দণ্ডবিধি ৫৩ তিব্বতদেশে প্রচলিত ত্রিবিধ দণ্ডের কোনটী প্রযােজ্য তন্নিরূপণ করিয়া তাহাকে “গিয়ালসা’ব” অর্থাৎ সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারালয়ের উপরাজের নিকট প্রেরণ করেন। | তিব্বতের নিয়মানুসারে একমাত্র “গিয়ালসা’ব” বা উপরাজই অপরাধীর প্রতি দণ্ডাদেশ প্রদানে সমর্থ, এবং “দলাই লামা” বা রাজা তাহার হ্রাস বৃদ্ধি বা পরিবর্তন করিতে পারেন। (গ) তিব্বতীয়দিগের শব সৎকার প্রথা - তিব্বতে, কাহারও মৃত্যু ঘটিলে লামার আদেশ প্রতীক্ষায় শবদেহটি শ্বেত বস্ত্রাবৃত করিয়া কয়েকদিন পর্যন্ত গৃহকোণে রাখিয়া দেওয়া হয়, এবং দিন ক্ষণাদি বিচার পূর্বক লামা সৎকারের প্রকার নির্দেশ করিলে শব যাত্রাপযােগী আয়ােজনাদি হইতে থাকে। শবটিকে, কাষ্ঠ নির্মিত শবাধার মধ্যে স্থাপিত করিয়া সমবেত আত্মীয় কুটুম্বগণ পরলােক গত আত্মার প্রতি শেষ। সম্মান প্রদর্শনােদ্দেশ্যে তন্মধ্যে এক একখানি শ্বেত বস্ত্র খণ্ড নিক্ষেপ করিয়া থাকেন। তৎপরে নিশানাকার একখণ্ড শ্বেত বস্ত্র হস্তে লইয়া লামা ঘণ্টাধ্বনি করিতে করিতে “মুর্দা পাহাড়” বা সমাধি পাহাড় (শ্মশান) অভিমুখে অগ্রসর হইলে প্রজ্জ্বলিত ধূপ হস্তে ধূপবাহক ও তৎ পশ্চাতে শববাহী ডােমগণ শবটিকে দণ্ডায়মান ভাবে স্থাপিত করিয়া তাহার অনুসরণ করিতে থাকে।