পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দার্জিলিংএর পার্বত্যজাতি তিব্বতে শব বহন, শবানুগমন ও শব সৎকার প্রভৃতি। কাৰ্য্য “শববাহী ডোেমগণ কর্তৃক অনুষ্ঠিত হইয়া থাকে, মৃতের আত্মীয়গণের মধ্যে কেহই শবের সঙ্গে সঙ্গে শ্মশানে গমন করেন না। দার্জিলিংবাসী প্রবাসী তিব্বতীয়গণের মধ্যে এ নিয়মের বিশেষ ব্যতিক্রম দেখিতে পাওয়া যায়; এ দেশে তিব্বতের ন্যায় শববাহী ডােমজাতির বসতি না থাকা বশতঃ মৃতের পরিবারস্থ ব্যক্তিগণকেই সৎকার সম্বন্ধীয় যাবতীয় কৰ্ম্ম করিতে হয়। তিব্বতে, এক একদিনের পথ ব্যবধানে প্রত্যেক গ্রামের নিমিত্ত স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র ‘মুর্দা-পাহাড়” নির্দিষ্ট আছে এবং নির্দিষ্ট মুর্দা-পাহাড়ে শব আনীত হইলে, লামার নির্দেশানুসারে কোনটি ভূমিতে প্রােথিত, কোনটি অগ্নিতে ভস্মীভূত, কোনটি নদীতে নিক্ষিপ্ত, কোনটি বা গৃধের জন্য উৎসর্গীকৃত হইয়া থাকে। অগ্নি সৎকার প্রায় অধিকাংশ লােকের ভাগ্যেই ঘটিয়া উঠে না, একমাত্র বিশেষ সঙ্গতিসম্পন্ন ও প্রতিপত্তিশালী লামাগণের মৃতদেহ চন্দনকাষ্ঠ সংযােগে দাহ করা হয়। সাধারণতঃ সমাধি ও গৃধভােজন, এই দ্বিবিধ প্রথাই বিশেষরূপে প্রচলিত দেখিতে পাওয়া যায়। সমাধি প্রদান করিতে হইলে, শবটিকে শবাধার হইতে উত্তোলন