পাতা:দার্জ্জিলিংএর পার্ব্বত্যজাতি - নলিনীকান্ত মজুমদার.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৬ দার্জিলিংএর পার্বত্যজাতি এমনি ভাবে সম্পন্ন হইয়া যায়। নিজ বাটীতে প্রত্যাগমন করিয়া বর আত্মীয়-কুটুম্বগণকে আর একটি বিবাহ-ভােজ প্রদান করিয়া থাকেন। স্বামী স্ত্রী উভয়ের জীবদ্দশায় কেহই অন্য পত্নী বা পতি গ্রহণ করিতে পারে না। উভয়ের মধ্যে কাহারও অন্যাসক্তি বা দুশ্চরিত্রতা প্রকাশ পাইলে দুজনের একের ইচ্ছানুসারে দাম্পত্য সম্বন্ধ বিচ্ছিন্ন হইয়া যাইতে পারে এবং অপরাধী স্বামী বা অপরাধিনী স্ত্রী ক্ষতিপূরণ স্বরূপ কিঞ্চিৎ অর্থদণ্ড প্রদান করিতে বাধ্য হইয়া থাকে। লেপচা সমাজে বিধবা বিবাহের প্রভূত প্রচলন থাকিলেও স্বামীপরিত্যক্তা স্রষ্টা নারীকে কেহই পত্নীরূপে গ্রহণ করিতে পারে না। কুলত্যাগিনী দুশ্চরিত্রাগণকে চীনীয়গণ কখন কখন উপপত্নীরূপে লইয়া যায়। স্বামী বিয়ােগ ঘটিলে লেপচা রমণী দেবরগণের মধ্যে কাহাকেও, অথবা তদভাবে স্বামীর কোন আত্মীয়কে পতিত্বে বরণ করে। সামাজিক নিয়মানুসারে শ্বশুর বা তৎস্থলাভিষিক্ত কোন ব্যক্তি স্বামীবিয়ােগ বিধূরা যুবতীকে পত্যন্ত গ্রহণ বিষেয়ে সর্বথা সাহায্য করিতে বাধ্য থাকেন। পিতৃনির্দেশানুসারে পুত্রকন্যাগণ সকলেই পৈতৃক সম্পত্তির অংশ প্রাপ্ত হইতে পারে ; পিতা ইচ্ছা করিলে কাহাকেও সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাবে সম্পত্তির অংশ হইতে