পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনেকের মাখে শানেচি'। এতদৱে যখন এসেচি, লছমীপর দেখে যাওয়াই ভালো। অনেক রাত পৰ্যন্ত কথা-কাটাকাটির পরে অবিককে রাজী করানো গেল'। পরদিন খাব ভোরে উঠে নদীয়াচাঁদবাবার কাছে বিদায় নিয়ে লছমীপরে রওনা হবার জন্যে বাঁ-দিকের বনপথ ধরলাম। কুখন সবে সােয্য উঠেছে। সত্যিই পথটির দশ্য চমৎকার। এই প্রথম রাঙা মাটি’ চোখে পড়ল-উচনীচ জমি, শাল পলাশ ও গাছের সারি, মাঝে মাঝে দ-একটা বটগাছ। নানা জায়গায় বেড়িয়ে আমার মনে হয়েচে, বটগাছ যত বেশি বনে, মাঠে, পাহাড়ের ওপর অযত্নসম্পভূত অবস্থায় দেখা যায়, অক্ষবন্ধ তেমন নয়। বাংলার বাইরে, বিশেষ করে এই সব বন্য অঞ্চলে, অশবথ তো আদৌ দেখোঁচি বলে মনে হয় না-অথচ কত বন-প্ৰান্তরে, কত পাহাড়ের মাথায়, সঙ্গিহীন সপ্রাচীন বটব্যক্ষ ও তার মাথায় সাদা সাদা বকের পাল যে দেখোঁচি, তাদের সংখ্যা নিতান্ত তুচ্ছ হবে না। দক্ষিণ-ভাগলপরের এই অঞ্চলের জমি গঙ্গা ও কুশীর পলিমাটিতৃে গড়া উত্তরভাগলপরের জমি থেকে সম্পর্শ স্বতন্ত্র। এদিকের ভূমির প্রকৃতি ও উদ্ভিদসমাবেশ সাঁওতাল পরগনার মতো, তেমনি কাঁকরভরা, রাঙা, বন্ধীর-শধ শাল ও মউল বনে ভরা, ঠিক যেন দেওঘর মধপর কি গিরিডি অঞ্চলে আছি বলে মনে হয়। বেলা প্রায় নটার সময় দীর থেকে একটা মন্দিরের চড়ো দেখা গেলা-কিন্তু চড়োটা যেন পথের সমতলে অবস্থিত। অবিকা বললে-ওই লছমীপর। আমি জানি রাজবাড়ির काव्नौर्भावनद्ध थव वg, Gा उाब्र३ bgा। কিন্তু মন্দিরের চড়ো পথের সমতলে কি করে থাকে, আমরা দজনে প্রথমটা বাঝতে পারিনি বঝলাম যখন আমরা লছমীপরের আরও নিকটে পৌছেচি। লছমীপর একটা নিম্পন্ন উপত্যকার মধ্যে অবস্থিত, চারিদিক থেকে পথগালো ঝরনার মতো নীচের দিকে নেমে পড়েচো উপত্যকার মধ্যে। আমাদের পথ ক্রমশ নীচে নামচে, দাধারের শাল বন আরও নিবিড় হয়ে উঠেচে, অথচ কোন ঘরবাড়ি চোখে পড়ে না-কেবল সেই মন্দিরের চড়োটা আরও বড় ও সাপটি দেখাচে। একটা জায়গায় এসে হঠাৎ নীচের দিকে চাইতেই অনেক ঘরবাড়ি একসঙ্গে চোখে পড়ল। সত্যিই ভারি সদর দশ্য। বনজঙ্গলে ভরা একটা খাব নাবাল জায়গায় এই ক্ষমাদ্র গ্রামটির ঘরবাড়ি যেন ছবির মতো সাজানো। গ্রামের ঠিক মাঝখানে একটা সেকেলে ধরনের পরনো ইটের বাড়ি ও সেই মন্দিরটা। অবিবেকা বললে-ওই রাজবাড়ি নিশ্চয়। নদীয়াচাঁদবাব সােথানীয় কোনো এক কম্পমচারীর নামে একখানা পত্র দিয়েছিলেন আমাদের সম্পবন্ধে, যার বলে আমরা রাজবাড়ীর অতিথিশালায় স্থান পেলাম। অতিথিশালাটি বেশ বড়, খোলার ছাদওয়ালা চারপাঁচটি কামরাযন্ত বাড়ি। দড়ির চারপাই ছাড়া ঘরগলিতে অন্য কোনো আসবাব নেই। এখানে একটি অদ্ভুত বেশভুষাধারী যবককে দেখে আমরা দশজনেই কৌতহলী হয়ে পড়লাম। তার সঙ্গে আলাপ করবার জন্যে। যবকটির বয়স ত্ৰিশের মধ্যে, রং মিশকালো, মাথায় লম্বা লবা বাবরি চলে কেয়ারি করে টেরি কাটা, গায়ে সাদা ফলদার) আদির পাঞ্জাবি, গলায় রঙীন রােমাল বাঁধা-আর সকলের চেয়ে যা আমাদের চোখে বিস্ময়কর ঠেকলো, তা-হচ্ছে এই যে, এই দিন-দর্পারে লোকটার পকেটে একটা পাঁচ ব্যাটারির প্রকাশড টিচ্চ। বাঙালী নয় যে, তা বঝতে এতটকু দেরি হয় না। Se निड' s-ख्ख्यावििक-१