পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেলাম করে বললে, গরিব পরওয়ার, আমার আউরং আমায় বাড়ি থেকে লছমীপরে DDB BBB BD DBBBS DD BLE BDS DDD DDD BDD BBBD আমরা তো অবাক। বিঠল। ভকৎ তার সত্ৰীকে নিয়ে এই প্রকাশড বনের মধ্যে দিয়ে রাত্রিকালে শবশরিবাড়ি চলেচে! আমরা বললাম, বন আর কতটা আছে ? বিঠল। ভকৎ বললে, আর এক ক্লোশ, কিন্তু ডানদিক ঘোষে যান। বাঁদিকের পথে চললে এখনও দ-তিন ক্লোশ বন পাবেন। —কোনো ভয়-ভীত আছে। এ বনে ? —জানোয়ার আছে বৈকি। ভালকের ভয় এই সময়টা খাব। --তোমাদের খাব সাহস তো! এই রাত্রিকালে বনের মধ্যে দিয়ে বউ নিয়ে যাচ্চ ! —আমাদের এই জঙ্গলের দেশেই বাড়ি বাবাসাহেব, ভয় করলে চলে না। আমাদের সঙ্গে অসন্ত্র আছে। ওরা চলে গেল। আমাদের সাহস বিঠল। ভকৎ। অনেকটা বাড়িয়ে দিয়ে গেল সন্দেহ নেই। আমরা দরজনেই তখন এগিয়ে চলেচি, ডানদিক ঘেষে। জঙ্গলের মধ্যে জ্যোৎস্নার আলোছায়ার জাল ক্রমশ খাব সম্পন্ট হয়ে উঠলো। নিস্তব্ধ বিজন অরণ্যানী আমাদের চারিদিকে বিস্তৃত, নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে কতদরে এসে পড়েচি, কোথায় যেন চলেচি-এ কথা ভাবতে আমার এত আনন্দ হচ্ছিল, নৈশ পাখীর আওয়াজ-আর বনের মধ্যেও কোথাও বনশিউলি ফটেচে, তার গন্ধ সন্ধ্যার পর থেকে শরা হয়েচে । মাঝে মাঝে গন্ধটা খাব ঘন, এক এক জায়গায় বড় পাতলা হয়ে যায়, এক এক জায়গায় থাকেই না-কিন্তু একেবারে কখনোই যায় না। বন ক্রমশ কমে আসচে বোঝা গেল। আর আধঘণ্টা জোর হাটবার পরে বন ছাড়িয়ে আমরা ফাঁকা মাঠের মধ্যে পড়লাম। কিন্তু কোনোদিকে একটা বসিতে নেই। মাঠে শািন্ধ শাল আর মউল গাছ দরে দরে, জ্যোৎস্নার আলোতে এই দীঘ অজানা প্রান্তর যেন আমাদের কাছে দক্ষিণ আমেরিকার। পাম্পাস তৃণভূমি-আকাশের নেশা, পথহীন পথের নেশা, অজানার উদ্দেশে ক্লান্তিহীন যাত্রার নেশা ! অথচ কতটকুই বা যাবো! আমরা উত্তরমের আবিস্কার করতে যাইনি, যাচ্ছি তো ভাগলপার থেকে দেওঘর, বড়জোর একশো পাঁচিশ কি ত্ৰিশ মাইল। কিংবা হয়তো \5ाइ९3 दŞका ! আসল কথা, মনের আনন্দই মানষের জীবনের অস্তিত্বের সব চেয়ে বড় মাপকাঠি। আমি দশ মাইল গিয়ে যে আনন্দ পেলাম, তুমি যদি হাজার মাইল গিয়ে সেই আনন্দ পেয়ে থাকো তবে তুমি-আমি দজনেই সমান। দশ মাইলে আর হাজার মাইলে পাথক্য নেই। তবে ঘরকে একেবারে মন থেকে তাড়াতে হয়। ঘর মনে থাকলে পথ ধরা দেয়। না। ঘর দদিনের বন্ধন, পথ চিরকালের। জয়পাের ডাক-বাংলোয় পৌছে গেলাম আরও প্রায় একঘণ্টা হোটে। এখানে চৌকিদারকে ডেকে বললাম-বাপা, রঘনাথ পাটোয়ারী কোথায় থাকে, তার হাতে এই চিঠিখানা দিয়ে এসো তো। চিঠিখানা লছমীপরের দেওয়ান দিয়েছিলেন পাটোয়ারীর কাছে আমাদের সম্পবন্ধে। চৌকিদার চলে যাওয়ার কিছ পরেই দেখি চার-পাঁচজন লাঠি-হাতে লোক সঙ্গে করে জনৈক পাগড়িবাঁধা, মেরজাইঅাঁটা বন্ধ এদিকেই আসচে। কাছে এসে লোকটি একটা লম্বা সেলাম দিয়ে সামনে দাঁড়ালো, তারই নাম রঘানাথ-বাবরা SOS)