পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বচ্ছদে থাকুন। ডাকবাংলোয়, সে এখনি খাওয়া-দাওয়ায় বন্দোবস্ত করে দিচ্ছে। বিশেষ BOL SLDBLGLLL O E LB Ss L -পাহারার লোক কেন ? -বাবাসাহেব, এই ডাকবাংলো জঙ্গলের ধারে মাঠের মধ্যে। লোকজন নেই কাছে —এখানে প্রায়ই ডাকাতি হয়। এক মারোয়াড়ী শেঠ এখানে ছিল সে-বছর, তাকে মেরেধরে টাকাকড়ি নিয়ে যায়। জায়গা ভালো না। -আমাদের সে ভয় নেই পাটােয়ারীজী-সঙ্গে কিছ নেই যে নেবে। তবে লোক থাকে রেখে দাও। আর খাওয়া-দাওয়ার হাঙ্গামা করো না-কেবল একটি চা যদি a\Ј- সব বন্দোবস্ত করে দিচ্চি এখনি। আপনারা স্টেটের অতিথি-খাবেন না। তা কি কখনো হয়! দেওয়ানজী লিখেচোন। আপনাদের আদর-যত্নের কোনো এটি না হয়। আর টাকাকড়ির কথা বলচেন, এ জংলী দেশে চার আনা পয়সার জন্যে অনেক সমন্ন মানষি খােন হয়। পাহারা রাখতেই হবে। রাত্রে পরী ও হালয়ার ব্যবস্থা করে দিলে রঘনাথ পাটােয়ারী। একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম, এমন চমৎকার ভয়সা ঘি আর কখনো দেখিনি কোথাও—লছমীপর আর এই জয়পাের ডাকবাংলো ছাড়া। কলকাতার বাজারে আমরা যে জিনিস ভয়সা। ঘি বলে কিনে থাকি, তা আর যাই হোক, খটি ভয়সা ঘি যে নয়, তা বেশ ভালো ভাবেই বাঝলাম। এই রকম ঘি আর দেখেছিলাম। বৈকুণ্ঠ পাঁড়ের বাড়িতে। পাটোয়ারীজীকে ডেকে বললাম-পরী কি ঘিয়ে ভাজা ? -कन बादनाCश्व, ख्छझना घिCन्न। -একটা নিয়ে এসে দেখাতে পারো ? একটা বাটিতে খানিকটা ঘি ওরা আমাদের কাছে নিয়ে এল-তার রং কলকাতার বাজারের ঘিয়ের মতো সাদা নয়-কটা, মাছের ডিমের মতো দানাদার। সগন্ধে ঠিক গাওয়াঘির মতো-বিশেষ কোনো প্ৰভেদ নেই। পাটোয়ারী বললে-বাবাসাহেব, দেহাত থেকে মারোয়াড়ীরা এই ঘি নিয়ে গিয়ে পাইল করে ; মানে চবি আর অন্য বাজে তেলের সঙ্গে কিংবা খারাপ ঘিয়ের সঙ্গে মেশায়-তারপর টিন-বন্দী করে বাজারে ছাড়ে। শহর-বাজারে সেই জিনিস ভয়সা ঘি বলে চলে। খাটি ভয়সা ঘি কোথা থেকে আপনারা বাজারে পাবেন ? রাত্রে সনিদ্রা হল, শরীর দািজনেরই ছিল খােব ক্লান্ত। একবার মাঝরাত্রে উঠে বাংলোর বাইরে এসে চেয়ে দেখলাম-দরে লছমীপরের জঙ্গলের সীমারেখা আলোঅাঁধারে অদ্ভুত দেখাচ্চে। আকাশে বহিস্পতি ও শনি এক সরলরেখায় অবস্থিত ; জৰলজৰল করচে বহিস্পতি, তার নীচে কিছ দরেই শনি মিটমিট করচে। বিশাল মাঠের সবত্র বড় বড় শাল ও মহীয়া ছড়িয়ে আছে দরে দরে। অলপদারেই ত্রিকটের দটি শঙ্গে আধো-অন্ধকারে আকাশে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে। কি একটা রাতিজাগা পাখী প্রান্তরের নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করে মাঝে মাঝে কুস্বরে ডাকচে। ডাকবাংলোর বারাণদায় রঘনাথ পাটোয়ারীর দরওয়ান তিনটি নাক ডাকিয়ে অঘোরে ঘািমচে। বন্যপ্রান্তরে যেন কি একটা অব্যক্ত রহস্য থমা থম্য করচে-যা মনেই শােধ অনভব করা যায়কিন্তু মাখে। কখনো প্রকাশ করা সম্পভব নয়। দােপর পয্যন্ত হোটে মহিষারডি বলে একটি গ্রামে এক আহীর গোয়ালার বাড়ি একটি জল চাইলাম। NOS