পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেখান থেকে রওনা হবো ঠিক করেচি, কিন্তু অবিকা বললে-এতদর এসে একবার ত্রিকট পাহাড়ে ওঠা দরকার। পাহাড়ে না উঠে যাবো না। দজনে পাহাড়ে উঠতে আরম্পভ করলাম। প্রথম অনেকদরে পয্যন্ত কাঁটা-বাঁশের বন। পাহাড়ে উঠবার পথ বেশ ভালো, বড় বড় পাথরের পাশ বেয়ে ঝরনার জল গড়িয়ে আসচে-কিছদর উঠে। জন-দই সাধার সঙ্গে দেখা হল। একজন বললেন-বাবজিরা কোথেকে আসচেন ? - —ভাগলপার থেকে, পায়ে হেটে দেওঘর যাবো। --আপনাদের ধর্মে মাতি আছে ; একালে এমন দেখা যায় না। সাধ বাবাজিদের কাছে মিথ্যে ভক্ত সেজে কি করব, আমরা খালেই বললাম সব কথা। আমাদের আসল উদ্দেশ্য পায়ে হেটে দেওঘর আসা, বৈদ্যনাথজীর দশন নয়, যদিও মন্দিরে নিশ্চয়ই যাবো এবং দেবদর্শনও করবো। ওঁরা আমাদের ঠাকুরের প্রসাদ খেতে দিলেন, হালয়া ও দটি কলা। আমরা কিছ প্ৰণামী দিয়ে সেখান থেকে নেমে এলাম। বেলা পড়ে এল পথেই-দেওঘর পৌছতে প্রায় রাত আটটা বাজালো। ১৯৩২ সালে আমার একটি বন্ধ মধ্যপ্রদেশের রেওয়া সেন্টটের দারকেশা বলে একটি ক্ষদ্র পাব্বিত্য গ্রাম থেকে আমায় চিঠি লিখলেন, সেখানে একবার যাবার অনরোধ করে। তাঁর চিঠিতে স্থানটির অদভুত প্রাকৃতিক দশ্যের কথা পড়ে আমি স্থির থাকতে পারলাম না। মধ্যপ্রদেশের ঘন বন ও পাহাড়ের মধ্যে গ্রামখানি অবস্থিত। তিনি সেখানে কণট্রাক্টরের কাজ করেন, ইদানীং কাঠের ব্যবসাও আরম্ভ করেছিলেন, দ-তিনটি ভালো ঘোড়াও কিনোচেন অনেক কুলি ও লোকজন তাঁর হাতে, বনে বেড়াতে ইচ্ছে করলে তিনি সেদিকে যথেষ্ট সবিধে করে দেবেন লিখেচোন। আমি কখনও মধ্যপ্রদেশে যাইনি তার আগে, বেঙ্গল নাগপাের রেলের গাড়ি চড়ে এমন কি কোনোদিন রামরাজাতলাতেও যাইনি। তিনি লিখলেন, বিলাসপার থেকে যে লাইন কাটনি গিয়েচে, তারই ধারে কাগি রোড বলে একটি ছোট স্টেশন আছে, সেখান থেকে বত্ৰিশ মাইল ঘোড়ায় চেপে যেতে হবে তাঁর ওখানে পৌঁছতে। তিনি সেন্টশনে ঘোড়া ও লোক রেখে দেবেন। আমার চিঠি পেলে। আমার সেই বন্ধটির ছোট ভাই কলকাতায় থেকে কলেজে পড়ে। তার সঙ্গে গিয়ে একদিন দেখা করলাম। সে-ও আমায় খাব উৎসাহ দিলে। সে ছটিতে একবার সেখানে গিয়েছিল, চমৎকার জায়গা, গ্রামের ধারেই বিশাল বনভূমি, হরিণের দল চারে বেড়ায়, ময়র তো যথেস্ট, গ্রামের গাছপালার ডালে বনময়র এসে বসে-ইত্যাদি। আমি বললাম—কোন সময় যাওয়া ভালো ? এখন তো বর্ষাকাল। —পজোর সময় রাস্তাঘাট ভালো হয়ে যায়, পাহাড়ী ঝরনার জল শকিয়ে যায়। --সেই সময়েই যান। ঠিক হল সে-ও পড়জোর ছটিতে আমার সঙ্গে যাবে। কিন্তু মাস-দাই পরে যখন পিজোর অবকাশ এসে পড়লো সে বললে, তাকে একবার তাদের গ্রামে যেতে হবে, 6q3NN (GzGVS5 1PKSGK rNT আমি তাকে বললাম-তোমার দাদাকে চিঠি লিখে দাও আমি ষািঠীর দিন কলকাতা থেকে রওনা হবো, তিনি যেন সব বন্দোবস্ত রাখেন। ን সে বললে-ঘোড়া চড়তে পারেন তো ? বত্ৰিশ মাইল ঘোড়ার ওপর যেতে হবে। SO4.