পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করে মারোয়াড়ী মহাজনদের কাছে বিক্রি করা সারা উড়িষ্যা, ছোটনাগপাের ও মধ্যপ্রদেশের একটি প্রধান কুটনীর বাণিজ্য। আকাশের দিকে চেয়ে প্ৰমাদ গনলাম। আবার ভয়ঙ্কর মেঘ জমা হয়েচে, বিষ দেখাচি নামলো কালকের মত। এই বর্ষার মধ্যে এই আশ্রয় ছেড়ে রওনা হব। কিনা ভাবতে ভাবতে বন্টি নামলো সত্যিই। প্রথমে ফোঁটা ফোঁটা, তারপর মষিলধারায়, সঙ্গে সঙ্গে ঝড়। সেই সময়টা আমার ঘরে কেউ নেই, সবাই গল্প করে উঠে গিয়েচে। একটি বালক ভিজতে ভিজতে এক ঘটি দধি নিয়ে এল আমার জন্যে। আমি তাকে বলি-চা পাওয়া যায় না। এখানে ? —না বাব-সাহেব।—এ কথা আমার আদৌ মনে ছিল না যে বন-জঙ্গলের দেশে চা পাওয়া যাবে না হয়তো। মনে পড়ল বিলাসপার থেকেও তো নিতে পারতুম। অগত্যা গরম দািধ খেয়ে চায়ের পিপাসা দর করতে হল। ছেলেটি দধি জৰাল দিয়ে দিলে। দধি এক সেরের কম নয় ? আমি ওকে বললাম-কত দাম দেবো ? সে বললে, প্রধান বলে দিয়েচে বাব-সাহেবের কাছে দধের দাম নিবিনে। —তোর দািধ ঐ -श्ाँ बावडि, आभाcपद्ध दार्गफुब प्रक्ष। भा निक्षत। —তোর জল-খাবার বলে দিচ্চি—দধের দাম না হয় না নিবি ! —না বাব-সাহেব, পয়সা আমি নিতে পারবো না। —আমি তোকে বিকশিশ দিতে পারিনে ? --না। বাবা, আমরা বকশিশ নিইনে। আমরা মাহাতো, গোয়ালা-দধই বেচি। না, একে দেখচি কিছ বোঝানো যাবে না। ভিজতে ভিজতেই ছোকরা চলে গেল। দিপরের আগে সে-ই আবার এল কিছ চাল ও ঢেড়শ নিয়ে। নন তেল কাল রাত্রের দরন কিছ অবশিষ্ট ছিল। ওর সাহায্য নিয়ে ভাত ও ঢেড়শ-ভাতে রান্না করলামদধি ছিল আধ সেরের ওপর, সেটা আর একবার গরম করে নিলাম। খাওয়া শেষ হল ; ছোকরাকেও খেতে বললাম, সে আপত্তি করলে। দেখা করতে এল, ওদের চাল-ডালের দাম দিতে গেলে কিছতেই নিলে না। মন্ডপঘরে যারা আশ্রয় নেয়, তারা গ্রামের অতিথি। প্রধানেরা এ সব ব্যবস্থা করে, গ্রাম-ভাটি থেকে এর খরচ হওয়ার প্রথা এদেশে বহন প্রাচীন। মুম্ন বললাম-বেশ, গ্রাম-ভাটিতে কিছ চাঁদা দিতে কোনো আপত্তি হতে “পারে কি ? —না বােব সাহেব, অতিথির কাছ থেকে কিছ নেওয়া নিয়ম নেই। সত্যিকার ভারতবর্ষকে চিনতে হলে এ ধরনের গ্রামের, অরণ্যে, পাহাড়-পাবতে, নানা শ্রেণীর লোকের সঙ্গে মিশে পায়ে হেটে বেড়াতে হয়। ট্রেনের ফাসটি ক্লাসে বেড়ালে আর যাকেই চেনা যাক, চীরবাসা ভৈরবী ভারত-মাতাকে চেনা যায় না। বেলা দটোর পরে একটা ঘোড়া ভাড়া করে দিলে। ঘোড়ার সহিসই আমার জিনিস পত্তর নিয়ে ঘোড়ার সঙ্গে যাবে ঠিক হল। দারকেশা পৰ্য্যন্ত ঘোড়ার ভাড়া সেহিসের মজরি ধায্য হল পাঁচ টাকা। আমি রওনা হয়ে পথে বেরিয়োঁচ-মাইল দই এসে দেখি দজন লোক আসচে, একটা ছোট টাট্র ঘোড়ায় চড়ে একজন, ঘোড়ার পেছনে পেছনে আর একজন। আমাকে দেখে ওরা দাঁড়িয়ে গেল। আমিও ঘোড়া থামালম। SSct