পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-5ाद था: 55 ? —কাগিরোড স্টেশনে। প্রতাপবাব পাঠিয়েচোন। বাবজি কি কলকাতা থেকে আসচোন ? আপনার নাম ? আমি বললাম-এত দেরি করে এলে কেন ? তোমাদের জন্যে স্টেশনে বসে বসে কাল হয়রান হয়েচি। আসলে এদের চিঠি পেতে দেরি হয়েছিল। এ সব জংলী জায়গায় চিঠি বিলি হতে দ-একদিনের এদিক-ওদিক হয়ে যাওয়া খাব অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। আমি আমার আগের ঘোড়াকে বিদায় দিয়ে নতুন ঘোড়ায় চড়লাম। নতুন সঙ্গীদের বললাম।--বেলা তো এখনি যাবো-যাবো হল, রাত্রে কোথায় থাকা যাবে ? ওরা বললে—চোরামািখ গালার কারখানায়। -সে কতদার ? --- এখনও বাবজি, আট মাইল। রাত সাতটায়। সেখানে পৌছবো। পথের সৌন্দয্য সত্যই বড় চমৎকার। পথের বাঁ-পাশে একটা ছোট নদী একে বেকে চলেচে, অন্দ্রকণা মেশানো বড় বড় শিলা দিয়ে তার দই পাড় যেন মাঝে মাঝে বাঁধানো। এক একটা গাছের কি অাঁকা-বাঁকা ভঙিগ। পড়শী ও ভেলা গাছ। এ অঞ্চলে প্রায় সব্বত্র, কিন্তু কোথাও বেশি বড় বন নেই। একটা পাহাড়ের আড়ালে সায্য অস্ত যাওয়ার দশ্যটা সন্দর লাগলো। তখন আকাশ অনেকটা পরিস্কার হয়ে সস্থানে স্থানে নীল রং বেরিয়ে পড়েচে। কিছশক্ষণ পরে অন্ধকার হয়ে এল, তারপরেই অস্পষ্ট জ্যোৎসনা ফািটলো। দ-তিনটি বস্তি পার হওয়া গেল রাস্তায়। একটা বস্তিতে কি একটা পাঠ হচ্চে। চাঁদোয়ার নীচে বাতি জৰলচে, অনেকগলি মেয়ে-পরিষ পাঠককে ঘিরে দাঁড়িয়ে শনিচে। আমাদের দেশের কথকতার মতো। সন্ধার পর বন আর চোখে পড়ে না, শধই একঘেয়ে মোরাম ছড়ানো বড় বড় মাঠ-এ মাঠে যদি ডাকাত পড়ে আমাদের সবাইকে খান করেও যায়, তাহলেও কেউ দেখবে না। কোনো দিকে লোক নেই, একটা বস্তির আলোও চোখে পড়ে না। আমার মনে হয়। পরো দি ঘণ্টা লাগলো এই বিস্তীর্ণ প্রান্তর পার হতে, অবিশ্যি ঘোড়া ছটিয়ে যাবার উপায় ছিল না, আমার —কারণ পথ চিনি না, সঙ্গের দজন লোক ঘোড়ার পাশে হোটে যাচ্চে-তাদের ছাড়িয়ে दा९3शा 56० का । প্রায় যখন সাড়ে সাতটা, তখন দরে আলো দেখা গেল। ওরা বললে—ওই চোরামািখ বস্তির আলো। বেশ শীত করচে, বোধ হয় বাদলার হাওয়া আর এই একদম খোলা মাঠের জন্যেই। অগ্রহায়ণের প্রথমে যেমন শীত পড়ে। বাংলা দেশে, সেই রকম শীতটা। গরম কাপড় সঙ্গে বিশেষ কিছ আনিনি, মনে হল না-এনে বড় ভুল করেচি। চোরামখ পৌছে একটা বড় খোলার কুলি-ধাওড়ার মতো ঘরে আমায় ওঠালে। সঙ্গে কোনো আলো নেই-আমার সঙেগও না। জায়গাটা নিতান্ত অন্ধকার। জিনিসপত্র নামিয়ে বিশ্রাম করচি, এমন সময় আমার নজরে পড়লো ঘরটার সামনের রাস্তা দিয়ে বাঙালী ধরনের ধাঁতি-কামিজ পরা একজন লোক যাচ্চে-কিন্তু অস্পষ্ট জ্যোৎস্নার আলোয় ঠিক চিনতে পারলাম না লোকটি বাঙালী কি না। আমি ওদের বললাম—এখানে দোকান আছে তো ? -হ্যাঁ বাবা, ছোট একটা বাজার আছে-সব পাওয়া যায়। ওদের পয়সা দিলাম চাল ইত্যাদি কিনে আনতে। মোমবাতি যদি পাওয়া যায়, V