পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শধ, Space যাদের ভালো লাগে, জনহীন মন্ত Space, তাদের কাছে এমন স্থান হঠাৎ কোথাও মিলবে না। পথিবীর মন্ত-রাপের মহনীয় সৌন্দয্যে এ স্থান সত্যিই অতুলনীয়। তবে অনেকে এর মধ্যে গাছপালা হয়তো দেখতে চায়, হয়তো ভাবে, এতটা ফাঁকা কেন রে বাপ, মাঝে মাঝে দ-দশটা শালঝোপ থাকলে এমন বা কি মন্দ হত ! কিংবা যদি থাকতো মাঝে মাঝে শিমল গাছ বা রক্তপলাশ, তবে ফালগন মাসের প্রথমে ফল ফটলে এই অঞ্চল হয়ে উঠতো মায়াময় পরীরাজ্য। এই সব ভাবতে ভাবতে বেলা প্রায় পড়ে গেল। রোদ রাঙা হয়ে এসেচে। সেই সময় অপব্ব দশ্য। হঠাৎ আমি ঘোড়া থামিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম। বহন দরে, পশ্চিম দিক চক্রবালের অনেকটা জড়ে কালো বনরেখা দেখা দিয়েচে । রেখা ক্ৰমে সম্পন্টতর হয়ে উঠলো, তখন বেলা নেই, সন্ধ্যার অন্ধকার নামলো। আমার সঙ্গীদের জিজ্ঞেস করলাম, ওই কি দারকেশা ? ওরা বললে, বন আরও অনেক দারে, দারকেশা আর বেশি দীর নেই। একটা ছোট পাহাড়ের আড়ালে অনেকগলো ঘরবাড়ি দেখা গেল, এতক্ষণ আমি YDD DBBBD DDL DBBDSTBD BDBB দারকেশা একটি ছোট বসিত। এর পশ্চিম দিকে চক্রবাল জড়ে অরণ্যরেখা ও শৈলশ্রেণী। গ্রাম থেকে বনের দীরত্ব দ্য মাইলের বেশী নয়। কিন্তু বন এখানে কোণাকুণি ভাবে বিস্তৃত, উত্তরপশ্চিম কোণ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের দিকে চলে গেল। লম্বা টানা বনরেখা ; যে জায়গাটা খব নিকটে এসে পড়েচে সেইটিই দ মাইল। বনের মধ্যে ছোট বড় চুনাপাথরের টিলা ও অনাচ শিলাশঙ্গ। এই বন তেমন নিবিড় নয়। এক ধরনের শত্ৰকান্ড, বনস্পতিজাতীয় বক্ষ এই বনে আমি প্রথম দেখি। এর গাড়ি ও ডালপালা দেখলে মনে হবে কে যেন গাছের গায়ে পঙ্খের কাজ করেচে, চকচকে সাদা। গাড়ির গায়ে হাত দিলে হাতে খড়ির গড়োর মতো এক প্রকার সাদা গড়ো লেগে যায়, মাখে। মাখলে পাউডারের কাজ করে। এই গাছের নাম রেখেছিলাম। শিব গাছ। দারকেশা একটা উচু পাথরে-ডাঙার ওপর, তিনদিক থেকে ডাঙাটা নীচু হয়ে সমতল জমির সঙ্গে মিশেচে, ছোট একটি পাহাড়ী ঝরনা ডাঙার নীচে বয়ে যাচ্চে ঝিরঝির করে ঝরনার দাধারে ছোট ছোট গাছ ও এক প্রকারের লতার ফল। আমার বন্ধটি এখানে কন্ট্রাকাটারি করেন। দ্য পয়সা হাতে যে না করেচেন। এমন নয়। অনেক দিন পরে একজন বাঙালী বন্ধ পেয়ে তিনি খাব খাশী। আমি রোজ সকালে উঠে বনের দিকে বেড়াতে যাই, কখনো ফিরি দাপরে, কোনদিন সন্ধ্যাবেলা। বন্ধ বললেন-বনে যখন তখন অমন যেও না-বন্ড জন্তুto[CNRICoo! Vol 鸭 —কি জন্তু ? —ভাল্লােক তো আছেই, বাঘ আছে, বনো কুকুর আছে। এখানে ছত্তিশগড়ি রাজপত অধিবাসীদের মধ্যে একজন ব্যবসায়ী আছে, সে আমার বন্ধীর অধীনে কাঠ যোগানোর কাজ করেছিল অনেকদিন। লোকটার নাম মাধোলাল। আমি তার সঙ্গে অনেক সময় বসে বসে তাদের দেশ সম্পবন্ধে গল্প করতুম। মাধোলাল একদিন আমায় তার বাড়িতে নিমন্ত্রণ করলে। খাওয়ালে মোটা মোটা NdRSR