পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার উদ্দেশ্য খানিকটা ভয় ও রহস্যের সন্টি করা, এই অরণ্য-প্রান্তের এমন অপশব পণিমা রাত্রিকে আরও নিবিড় ভাবে পাবার জন্যে। শীত করতে লাগলো। তখন রাত বারোটার কম নয়। আমি ওকে বললাম-এ বন খাব বড়। --রেওয়া স্টেট পয্যন্ত চলে গিয়েচে-বেশি নয়, মাইল বাইশ-তেইশ। এখান থেকে। ওদিকে অমর-কণ্টক পয্যন্ত চলেচে। খাব বড় বন। —বেশ দেখবার জায়গা-না ? সিনারি ভালো ? -সিনারি আপনারা কাকে বলেন বঝি না। তবে এমন সব জায়গা আছে, যেখানে গেলে আর বাড়ি ফিরে আসতে ইচ্ছা করে না, এখানেই থাকি মনে হয়। একটা জায়গার কথা বলি। পশ্চিম দক্ষিণ কোণে এই বনের একটা পাহাড়ের নাম ঘোড়াঘাটির পাহাড়। দেখতে চান তো একদিন নিয়ে যাবো। সাদা পাথরের পাহাড়টা, অনেকটা উচু, বড় কাঁটাগাছের জঙ্গল, আর পাথরের ফাটলে পাহাড়ী মৌমাছির চাক । গ্রামের লোকেরা ঘোড়াঘাটির পাহাড়ে মধ্য সংগ্ৰহ করতে যায় চৈত্র মাসে। সে-সময় একরকম সাদা ফল ফোটে, খাব বড় বড়, ভারি সিগন্ধ। ঘোড়াঘাটির পাহাড়ে ওই ফলের গাছ অনেক। বেশ বড় গাছ। আপনি গিয়ে দেখবেন, যাকে আপনারা সিনারি বলেন, তা আছে কি না। —এখান থেকে কতদর হবে ? SDD BDBSLL0BDD DDD DB S BDD BBBDB BB D BBD DBYS চলে গিয়েচোন। আর একটা গহায় ঢোকা যায় না, মািখটা কাঁটাজঙগলে বজোনো। যাবেন একদিন ? যাবার যথেষ্ট আগ্রহ সত্ত্বেও আমার সেখানে যাওয়া হয়নি। এর দদিন পরে আমি এখান থেকে রওনা হই পদব্রজে। বনের মধ্যে দিয়ে উনিশ মাইল রাস্তা হোটে গিয়ে তবে রেওয়া সেন্টটের প্রান্তে শালগঢ়িসান্তারা ডাকবাংলো। বনের বিচিত্ৰ শোভা এই উনিশ মাইল হোটে না গেলে কিছ বোঝা যেতো না। আসল ভারতবর্ষের রােপ যেন দেখচি, প্রাচীন ভারতবর্ষ। আয্যাবত্তের বিশাল সমতলভূমি নয়, যা নাকি গঙ্গা ও যমনার পলি-মাটিতে সেদিন তৈরী হল—কালকের কথা । এ ভারতবর্ষ যখন হয়েচে তখন হিমালয় পৰ্ব্ববত গজায়নি, বহর প্রাচীন যাগযােগান্তর পকেবর বদ্ধতম ভারতবর্ষ এ ; এর অরণ্য এক সময় বৈদিক আষ্যগণের বিস্ময়, রহস্য ও ভীতির বস্তু ছিল ; প্রথম ইউরোপীয় পৰ্য্যটকদের কাছে কঙ্গো ও ইউগান্ডার আগ্নেয় গিরি শ্রেণী ও ঘনারণ্য যেমন ছিল, ঠিক তেমনটি। বনের অদভুত রােপ দেখতে হয় যদি তবে পদব্রজে এ পথে অমরকণ্টক পৰ্য্যন্ত যাওয়া উচিত। তবে হিমারণ্যের মতো বিচিত্র বনপালপশোভা এ বনে নেই, মধ্যপ্রদেশের বনভূমির রােপ অন্য ধরনের, একটা বেশি রক্ষা ও অনাড়ম্ববর। । বনপল্প ও ফান পাওয়া যায় যেখানে আছে বড় বড় পাহাড়ী ঝরনা, তার ধারে বড় বড় আদ্র শিলাখন্ডের গায়ে কত কি ছোট ছোট লতা ও চারাগাছে রঙীন ফল কটে আছে বটে। কিন্তু বাইরের বনে এ সময়ে কোনো ফল দেখিনি, কেবল বন্য gभश्गव्नि छाgा। এ বনে বন্য শেফালি গাছ অজস্র। পথের ধারে যা পড়ে, তাতেই আমার মনে হয়েচে এই গাছের সংখ্যা এ অঞ্চলে যথেস্ট। তবও আমি গভীর বনের মধ্যে যাইনি, ১২৬ - , .