পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

था6वन्, ऊन्त्रक ख्ञा ना या । প্রমোদবাবকেও ফোন করে সে কথা জানানো হল। বনজঙ্গলের পথে কয় বন্ধতে মিলে একসঙ্গে যাবো, মনে যথেষ্ট উৎসাহ ও আনন্দ। নিদিষ্ট সময়ে হাওড়া স্টেশনে গিয়ে দেখি শািন্ধ কিরণবাব দাঁড়িয়ে আছেন টিকিটঘরের সামনে। ট্রেন ছাড়তে মিনিট কুড়ি মাত্র বাকি-আমাদের দািজনেরই মন দমে গেল। বন্ধীরা সব একসঙ্গে গেলে যে আনন্দ হবার কথা, দিজনে মাত্র গেলে সে আনন্দ পাওয়া যাবে না। অনেকবার এ-রকম হয়েচে, যারা যারা যাবে বলেচে কোথাও, শেষ পয্যন্ত তাদের অধিকাংশই আসেনি। কিরণবাব বললেন-টিকিট করে চলন আমরা আগে গিয়ে জায়গা দখল করি। নাগপাের প্যাসেঞ্জারে বেজায় ভিড়, আমরা সবাই তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রী, সতরাং কথাটার মধ্যে ব্যক্তি ছিল। গাড়িতে উঠে আমরা বেপরোয়া ভাবে চারজনের জন্যে চারখানা বেচিতে বিছানার চাদর, গায়ের কাপড় ইত্যাদি পেতে জায়গা দখল করলাম। তারপর কিরণবাবকে পাঠিয়ে দিলাম। বাকি দর্জনের খোঁজে। গাড়ি ছাড়বার মিনিট দশেক আগে ছটিতে ছািটতে সবাই এসে হাজির। পরিমলবাবা শেষ মহত্তে তার ক্যামেরার জন্যে কি একটা জিনিস কিনতে গিয়েছিলেনতাই দেরি হল। একজন রেলওয়ে কম্পমচারী বলে গেল-এ গাড়ি সিনি জংশন হয়ে যাবে। আমরা বললাম—মশাই, বেলপাহাড় যাবে তো ? বেলপাহাড় বহন্দরের স্টেশন। লোকটি খোঁজ রাখে না, নামও শোনেনি। বললে -সে কতদরে বলন তো ? বিলাসপরের এদিকে ? —অনেক এদিকে, ঝাসাগন্ডার পরে। —নিভাবনায় যান-এ লাইন খারাপ হয়েচে তার অনেক আগে। চক্ৰধরপরে গিয়ে আবার মেন লাইনে উঠবেন। ট্রেন ছাড়লো। আমাদের ঘােম নেই উৎসাহে পড়ে। অনেক রাত পয্যন্ত সবাই মিলে বকবক করাচি। রাতে সাড়ে বারোটায় ট্রেন খড়গপরে এলে আমরা চা খেলাম। খড়গপরের লম্বা প্ল্যাটফর্মে পায়চারি করে বেড়ালম। চমৎকার জ্যোৎস্না। শব্লকা ত্রয়োদশী তিথি। সামনে আসচে। পণিমা। খড়গপাের ছাড়িয়ে জমির প্রকৃতি একেবারে বদলে গেল। রাঙা মাটি, উচুনীচু পাথরে জমি, বড় বড় প্রান্তর-জ্যোৎসনারাত্রে সে সব জায়গা দেখাচ্চে যেন ভিন্ন কোনো রহস্যময় জগৎ, আমাদের বহদিনের পরিচিত পথিবী যেন এ নয়। যেন কোন অজানা গ্রহলোকে এসে পড়েচি-যেখানে প্রতিমহত্তে নব নব সৌন্দয্যের সম্পভার চোখের সামনে উদঘাটিত হবার সম্পভাবনা। এ পথে আমার সঙ্গীরা কেউ কোনোদিন আসেনি। বিশেষ করে প্রমোদ ও পরিমল দাজনেই প্রকৃতিরসিক, তারা ঘমোবার নামটি করে না। আমিও এ পথে একুবার মাত্র এসেচি, তাও অন্ধকার রাত্রে, পথের বিশেষ কিছই দেখিনি-সতরাং আমিও জেগে বসে আছি। সডিহা ছাড়িয়ে রেললাইনের দাধারে নিবিড় শালবন, বসতে শিমল ফল ফটে আছে শালবনের মাঝে মাঝে-যদিও রাত্রে কিছ বোঝা যায় না, গাছটা শিমল বলে চেনা যায়। এই পয্যন্ত । গিডনি ছাড়িয়ে গেলে আমি বললাম-এইবার সব ঘামিয়ে নাও-রাত একটা S9S