পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মতলব জাগলো। এই সন্দির জ্যোৎস্নারাত্রে সামনের সেই পাহাড়জঙ্গলের পথে এক যাবো। নতুবা ঠিক উপভোগ করতে পারা যাবে না। সন্ধ্যার পরেই সবাই রওনা হল। আমি বললাম—হোটে আমি এক পা-ও যেতে পারবো না, পায়ে ব্যথা হয়েচে । আমি গোেরর গাড়িতে যাবো। কিরণ বললে-বৰ্ব্বতে পেরেচি, মাখেই শােধ বাহাদারি। পরিমল বললে—বিভূতিদার সব মাখে। আমি ও অনেককাল থেকে জানি। আমরা এবার রওনা হবো। জনৈক গহসােথ আমাদের সামনে এসে বিনীতভাবে জানালে আজ রাত্রে তার মেয়ের বিয়ে—আমরা যদি আজ এখানে থেকে যাই এবং বিবাহ-উৎসবে যোগ দিই।--তবে বড় আনন্দের কারণ হবে। অবিশ্যি থাকা সম্পভব হয়নি। কিন্তু ওদের ভদ্রতা আমাদের মগধ করলে। আমরা মিন্ট কথায় তুষ্ট করে বিবাহ-উৎসবে আমাদের যোগ দেওয়ার অক্ষমতা জ্ঞাপন করলাম । যাওয়ার সময় বিশ্বব্যাধর হঠাৎ হাত জোড় করে বললে – আমার একটা আজিজ আছে বুকুন্দর颈夺T夜一 —আমাকে একটা বন্দকের লাইসেন্স করে দিতে হবে। হজরদের মেহেরবানি । গ্রামসদ্ধ লোক সেখানে উপস্থিত—সবাই আমাদের ঘিরে বিস্বাধরের আক্তিজাির ফলাফল জানিবার জন্য আমাদের মখের দিকে তাকিয়ে আছে। প্রমোদবাব বললেব্যাপার কি হে, বন্দকের লাইসেন্স দেওয়া না দেওয়ায় আমাদের হাত কি তা তো বাঝলাম না। আমাদের ঠাউরেচে। কি এরা ? কিরণ বললে—গবন মেণ্টের চিফ সেক্রেটারী আর তার সন্টাফ। বিক্ষবাধরকে আমরা বঝিয়ে বলতে পারলাম না। অতগলো লোকের সামনে যে, আমাদের কোনো হাত নেই। এ ব্যাপারে, গবন মেন্টের ওপর আমাদের এতটকু জোর নেই। গম্ভীরভাবে বলতে হল—আমরা বিশেষ চেন্টা করে দেখবো। বদ্ধকে প্রতারণা করতে আমাদের খবই কষ্ট হচ্ছিল, কিন্তু আমাদের মানও তো বজায় রাখতে হবে ! প্রমোদ, পরিমল ও কিরণ হোটে রওনা হয়ে গেল। আমি একটি পরে গোরার গাড়িতে রওনা হলাম। বিশদ্বাধর অনেকখানি রাস্তা আমার গোেরর গাড়ির পাশে পাশে এল। পথের পাশে শালবনে সেই নাচের দল রোধে খাচ্চে-শালপাতায় ভাত বেড়ে নিয়েচে, আর একটা অদভুত গড়নের কাঁসার বাটিতে কি তরকারি। বেশ জায়গায় বসে খাচ্চে ওরা। গ্রাম সেখানে শেষ হয়ে গিয়েচে, ডাইনে বনশ্রেণী, পেছনের শৈলমালা জ্যোৎস্নায় কেমন অদভুত দেখাচ্চে। শালমঞ্জরীর গন্ধে-ভরা সান্ধ্যবাতাস। ইচ্ছে হয়। ওদের নাচের দলে যোগ দিয়ে এই সব জংলী গাঁয়ে ঘরে বেড়াই। গ্রাম ছাড়িয়ে চলেচি। বিশদ্বাধর ও তার দল বিদায় নিয়ে চলে গেল। আমার দধারে নিজজন, শিলাখণড-ছড়ানো প্রান্তর, প্রান্তরের মাঝে মাঝে শালপলাশের বন। পথ কখনো নিচে নামচে কখনো ওপরে উঠচে। গাড়োয়ান নীরবে গাড়ি চালাচ্চে, দীন-একবার কি বলেছিল। কিন্তু তার দেহাতী উড়িয়া বলি আমি কিছই বাবলাম না। অগত্যা সে চপ করে আপন মনে গাড়ি চালিয়ে চলেচে। সতরাং এই জ্যোৎস্নালোকিত পাহাড়ে, অরণ্যে ও প্রান্তরে আমি যেন একা । জ্যোৎসনা ফািটলে শালবনের রােপ যেন বদলে গেল, পাহাড়শ্রেণী রহস্যময় হয়ে উঠলো। অনেকদিন কলকাতা শহরে বদ্ধ জীবন-যাপনের পরে এই রোদপোড়া মাটির ভরপর S) लिन्र्ताब्जर्गा s/उर्धाख्वाधिक-s (क)