পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उा जकलद्ध (डा0ा ना। সাহিত্যিকদের কাজ হচ্ছে এই আনন্দের বাত্তা সাধারণের প্রাণে পৌছে দেওয়া । তারা ভগবানের প্রেরণা নিয়ে এই মহতী আনন্দবাত্তা, এই অনন্ত জীবনের বাণী দুৰ্ভুক্ত জগতে এসেছে, এই কাজ তাদের করতে হবেই—তাদের অস্তিনের এই শব্দ সােথ কত ।। ৩০শে এপ্রিল, ১৯২৫, ভাগলপাের। আজ বসে বসে অনাগত দাির ভবিষ্যতের ছেলেমেয়েদের কথা মনে পড়ছে। তাদের কচি কাঁচ মািখ, তাদের হাসি, তাদের পাগলামি, তাদের সরল শিশ চোখের দািণ্টমির চাউনি, হাজারে হাজারে, লাখে লাখে মনে পড়ছে—ফলের মত মাখে। কচি ফলের মত হাসি.আমার সেই সব অনাগত শিশ প্রপৌত্র, বদ্ধ-প্রপৌত্র ও অতিবন্ধ-প্রপৌত্রদের জন্যে কি রেখে যাব তাই ভাবছি। আগামী হাজার বছরের মধ্যে লাখে লাখে, কোটিতে কোটিতে কত শিশফল ফটে উঠছে নিম্পমাল শত্ৰ হাসিভরা সন্দের সৌম্য মেশামোশি গলাগলি করে—তারা সব একসঙ্গে যেন পরস্পর ঠেলাঠেলি করতে করতে তাদের শিশমখগলি তুলে, অজস্র খইয়ের মত, ফোটা ঘোটফলের দলের মত-নীল আকাশে অনাদি অনন্ত কালের রঙের খেলার নীচে—চিরযাগব্যাপী অপরাহের শান্ত ছায়াভিরা মাঠে বসন্তের হাসি দেখছে... ওদের দেখতে পাচ্ছি বেশ-আসবে, ওরা আসবে। অনন্ত মেঘভরা আকাশে এখানে ওখানে দা একটা তারা দেখা যাচ্ছে। এই সামান্য দদিনের অতি একঘেয়ে সঙ্কীর্ণ পথিবীর জীবন ফরিয়ে গেলে মনে হয় ওরাই আমাদের ভবিষ্যৎ ঘরদের হবে। হয়ত ওদের অদশ্য সাথী। তারাগালো, বড় বড় বিশব, কত সভােতাকৈত নািতন প্রাণী, নতুন বিবৰ্ত্তন ওগালোর মধ্যে। কত স্নেহ ভালবাসা প্ৰেম জ্ঞান সমিতি প্রীতি, কত নতুনতর জীবনযাত্রা, কত অভিজ্ঞতা, কত বিচিত্রতা ওদের জগতে আছে, কে জানে! এই পার্থিব অস্তিত্বের ওপারে সেই সব নতুনতর জীবন হয়ত আমাদের জন্যে অদশ্যভাবে অপেক্ষা করছে।--এই পরিদশ্যমান নক্ষত্ৰজগতের থেকেও কোটি কোটি আলোকবর্ষ দরে। ব্ৰহ্মান্ডের কোন দরতম প্রান্তের মোহানায় হয়ত আরও কত লক্ষ বিশব আছে। তাদের প্রত্যেকটিতে হয়ত কত নতুন সৰ্য্যে, নতুন গ্রহ, নতুন নক্ষত্রমন্ডল আছে। কত নতুন প্রাণী, কত বিচিত্র জীবনযাত্রার ইতিহাস, কত কলপনার সম্পপণ্য অতীত ভাবের লীলা, সে সব দর বিশেবর চিরদিনের সম্পত্তি - 4दक 36न्म 2 ।। ২২শে জন, ১৯২৫, ভাগলপাের । এখন থেকে বিশ কি ত্ৰিশ হাজার বছর পরের কথা। এই প্রকান্ড কলকাতা শহরের ওপরে কয়েক শত ফিট পলি জমে গিয়েছে, মনমেণ্টের চড়োটারও অনেক উপর পয্যন্ত মাটি জমে গিয়েছে, তার উপর দিয়ে এক বিরাট বিশাল মহাসমদ্র প্রবাহিত হচ্ছে, কত মাছ কত প্রবাল কত ভীষণদর্শন সব সামাদ্রিক প্রাণী তার কুক্ষির মধ্যে. অনাগত সেই সাদর ভবিষ্যতের দটি মানষ একটা জাহাজে চড়ে সমদ্ৰ-যাত্রা করছে, একটি বালক, বয়স দশ এগার বৎসর। অপরটি তার এক আত্মীয়, প্রৌঢ় । নিজের দেশ ছেড়ে তারা বিদেশে চলেছে জীবিকাক্তিজনের আশায়। প্রৌঢ় তার আবাল্য সহচরদের ছেড়ে চলেছে, মনে কত কািন্ট হচ্ছে। বহ পরাতন পিতৃপিতামহের পণ্যপাদপতে জন্মভিটা ছেড়ে যাচ্ছে। কাজেই চিরপরিচিত স্থান আত্মীয়স্বজন বন্ধবান্ধব ছেড়ে যাবার দঃখে সে চুপচাপ। উদাসভাবে জাহাজের রেলিং-এর ধারে দাঁড়িয়ে