পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুঃখ করেন। তাঁর এই বিপােল রহস্যেভরা সন্টুির সৌন্দৰ্য্য ভাল করে বাবালে বা বাঝতে চেন্টা করলে এমন লোক খািব কম। তিনি যে যােগ যােগ ধরে তপস্যার পর শান্ত মাতুত্যুঞ্জয়, অমােতরস মন্থন করে তুললেন—এই বিরাট, বিদ্রোহী, জড়-সমদ্র মন্থন করে.তাঁর অনন্ত যাগের তপস্যার ফল। এই অমতে কেউ পান করলে না, কেউ আগ্ৰহ দেখালে না পান করবার। কোন যে তার বরপত্রেরা মাঝে মাঝে পথিবীতে পথ ভুলে এসে পড়ে, তারা এ জগতের তুচ্ছ জিনিসে ভোলে না, তাদের মন পথিবীর সখ দঃখ ভোগলালসার অনেক উদ্ধে, ঐ অমতলোকে, ঐ cosmic সৌন্দয্যে ডবে আছে, অনেক বড় vision)। তারা দ্যাখে, সকলের জন্যে বিজ্ঞানে ও জ্ঞানে, গানে কবিতায়, ছবিতে কথায় লিখেও রেখে যায়, কিন্তু তাদের কথা শোনে বোঝে খব কম লোকেই—তার চেয়ে সদের হিসেব কষলে ঢের বেশী আনন্দ এরা পায়। ৷৷ ২১শে আগস্ট, ১৯২৫), ভাগলপলে । সব ছোট্ট ছোট ছেলেমেয়োগলি পথিবীতে নেমে আসছে, নীল অকল থেকে পথিবীর মাটির তীরে। মাখে তাদের প্রাণ-কাড়া দন্টিমির হাসি, চোখে দেবদাতের সরলতা। কোঁকড়া চলে ঘেরা। টকটকে মািখগলি—সকলেরই হাতে তাদের ছোট ছোট সব মশাল। চন্দন কাঠের তৈরী চন্দন কাঠের গড়ে দিয়ে বাঁধা মশালগলি, জবললে। গন্ধে দিক আমোদ করে। ওদের দিকে কেউ চাইছে না। বাঁশবনের অন্ধকার ছায়ায় সারাদিন ওদের কাটল, রাত আসছে, কিন্তু ওদের মশালগলো কে জবালবো ? অনেক লোকে জবালাতে এল, কেউ জে বলে দিয়ে তাড়াতাড়ি চলে গেল, নিবে যে গেল তা পিছন ফিরে চেয়েও দেখলে না। কেউ বহবার চেন্টা করেও জবালাতে পারলে না, কেউ চেষ্টা করলে না জবালাবার। কেউ চোখ নীচ করে চেয়েও দেখল না যে শিশদের হাতে মশাল আছে। অথচ সব সময় শিশিরা অনন্ত নিভািরপািণ মিনতির চোখে চেয়ে রয়েছে সকলেরই দিকে, কে তাদের মশাল জেবলে দেবে ? কে সে নিপািণ অথচ প্রেমিক মশালচী ? কত শিশ বাবতে না পেরে আশাভঙ্গ হয়ে নিজেদের হাতের মশাল ফেলে দিলে, হয়ত যা জবলতে পারত অতি সন্দর, যােগ যােগ ধরে বিশেবর দিগ দিগন্ত যে সৌরভো আকুল হয়ে উঠত, তা অনাদত হয়ে পড়ল কাদায়। অবোধ শিশদের বলে দেবার, দেখিয়ে দেবার, মশাল তুলে জেবলে দেবার তো কেউ নেই। গহন অরণ্যের অন্ধকার বীথি বেয়ে কে একজন আসছে। বাঁশবনের ছায়া সিনীগন্ধ হয়েছে কার সন্দর মখের হাসিতে ? তার হাতে মস্ত মশাল, শত্ৰ আলোয় সমস্ত অন্ধকার আলো হয়ে গেল এক মহত্তে । গহনান্ধকার বেণবীথির অজানা ওপার থেকে সে এসেছে, চিররান্ত্রির অন্ধকার দর করতে। ভগবানের বিশেবর সে এক মশালচী। হাসি মাখে কোঁকড়ান চলে দলিয়ে, আলোর জ্যোতিতে আকৃষ্ট হয়ে শিশপতঙ্গের দল সব ছটে এল ওদের ছোট ছোট্ট চন্দন-মশলায় বাঁধা মশাল হাতে নিয়ে। চারধার ঘিরে কড়াকড়ি, সবাই আগে চায়। কত ধৈয্যের সঙ্গে নতুন মশালচী আলো জৰালতে লাগল, যাদের নিবে যাচ্ছিল তাদের বার বার ফর দিয়ে—কাত অসীম ধৈয্যের সঙ্গে। সকলেরই জবালল। sh amh V