পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু ক’জন জগতের বাইরের এই বিরাট শন্যের দিকে চেয়ে পথিবীর জীবনের সখদঃখের উদ্ধের্বর কথা ভাবে ? Crowd mind-এর বাইরে সকলেই নয়সকলেই গডলিকা। খেয়েদেয়ে ঘামিয়ে নিশিচন্ত আছে। জগতের বড় বড় মনীষাসম্পন্ন চিন্তাবীর কয়জন ? উপনিষদের ঋষি পথে-ঘাটে সালভাদর্শন নন। সকলেই শঙ্কর নন, প্লেটাে নন, নিউটন ফ্যারাডে গ্যালিলিও কোপারনিকাশ গাউস ইনস্টিন নন। পথিবীর বায়মন্ডলের ধালিরাশির আবরণ ভেদ করে ক'জনের চোখ বাইরের অনন্ত উদ্ধৰ আকাশের ঘণ্যমান...সাদাচঞ্চল বিরাট বিশ্ববজগতের দিকে যাবে? দই এক জনের-তারা জনপ্রবাহের কেউ নয়, তার অনেক উদ্ধেৰ । । ১৭ই নভেম্বর, ১৯২৫ । সন্ধ্যার সময় টেবিলে আলো জবলছে। লেখার পাতাগলো ছড়ানো আছে। ফলদানিটাতে chrysanthemum, কলাফল। এই সন্ধ্যা, এই লেখবার টেবিল অত্যন্ত রহস্যময়, অর্থব্যক্তি-হয়ত একান্ন বৎসর পরে আমার কোনও চিহ্নও পথিবীতে খাঁজে মিলবে না, কিন্তু আমার এই লেখা * হয়ত থেকে যাবে। হয়ত লোকের মনে আশা সান্ত্বিনা দেবে। হয়ত পাঁচশত বছর পরে—যদি আমার লেখা বেচে থাকে। তবে —আমি-এই আমি-এই অত্যন্ত জীবন্ত প্রত্যক্ষ আমি, অনেক প্রাচীনকালের এক লেখক হয়ে যাবো। আমার বই-পত্তর বড় বিশেষ কেউ ছোবে না। তখনকার দিনের নতুন নতুন উদীয়মান লেখকদের বই সব খােব চলবে। অনাগত ভবিষ্যতের সে-সব বংশধরগণের জন্যে আমি আলো জেবুলে তেল খরচ করে, আমার যথাসাধ্য বন্ধির অঘ্য, যতই সামান্য হোক, যতই অকিঞ্চিৎকর হোক তবও দেবো, দিতেই হবে। মনের মধ্যে সে প্রেরণা যেন অন্যভব করছি। তারপরে তা বাঁচকে আর না বাঁচকে। আমি আর দেখতে আসবো না। আমার ফলদানীর এই অত্যন্ত বড় বড় ও সন্দের chrysanthemum ফলটা আর বছর এ সময় কোথায় থাকবে ? আশি বছর পরে আমি কোথায় থাকবো ? এই তো যাগ-যাগের শিক্ষকতা। যাগ-যাগের জনসেবা সে। এক জন্মের Suffering সেখানে সার্থক। উত্তরকালের শত শত অনাগত তরণেমনে যখনই দঃখ আসবে, তাদের কচি প্ৰাণে আশা, বল, আনন্দ দেওয়া, জীবনের পথ দেখিয়ে দেওয়া-এক জন্মের জন্য জীবন নয়, দদশ বৎসরের সাময়িক উত্তেজনা নয়, যাগযাগের জনসেবা। সে দিকে মনে রেখে কাজ করতে হবে। সাময়িক হাততালির দিকে নয়। কবিরাজ গোস্বামী মহাশয় চৈতন্য-চরিতামতে কি করেছেন ? বন্ধদেব কি করেছেন ? স্বয়ং চৈতন্য কি করেছেন : তাঁদের এক জন্মের Suffering ব্যাকুলতা, ধ্যান সব ধন্য হয়েছে—কারণ যাগে যাগে তাঁদের কাহিনী পড়ে লক্ষ লক্ষ কুয়াশাচ্ছন্ন মন আলোর সন্ধান পাচ্ছে। Suffering, এদিক থেকে মদত জিনিস, কেউ যেন সে কথা না ভোলে। জীবনে যদি বড় দঃখ পাও, সে দঃখ লিখে রেখে যেও উত্তরকালের জন্য। Sincere দঃখের কাহিনী চিরদিন অমর থাকবে, তা চিরদিন লোকের মনে বল দেবে। পণ্য-অন্ধকার অমাবস্যার পরই শহরু পক্ষের চাঁদ ওঠে—দঃখের রাত্ৰিতেই তারা খাব উত্তজবল হয়। i ROOT NCV9*<<, SSSRG | | সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা। এই মাত্ৰ দিয়ারা থেকে আসছি। আজ ইসলামপাের থেকে

  • “পথের পাঁচালী” লেখা হচ্ছিল।