পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রয়েছে! কি অনন্ত ধ্যানের চিন্তার সৌন্দয্য স্বপ্নের ধারণার জ্ঞানের বিষয় ওই পাথরের ধাতুর টাঁকরোগলো তা কে ভেবে দ্যাখে ? আবার আকাশে চাও, Serius-এর পাশের, কত গ্রহনক্ষত্রের পাশের অদশ্য জগৎগলোর কথা ভাবো! অন্ধকারে গা লকিয়ে কোথায় ওরা অনন্ত পথে ঘরছে ? কি জীব-বাস তাতে ? তাতে এরকম কত জীবের উত্থান-পতন ? কত দিনের ইতিহাস ? তবে এই পরিবত্তানের মধ্যে, এই তাসের ঘরের মধ্যে, এই মেঘের প্রাসাদদাগের মধ্যে আসল জিনিসটা কি ? জনসেবা-এ জীবনের নয়। যাগযগের জনসেবা। বিশবকে উপলব্ধি করে সত্যকে উপলবিধ করে শাশবত সৌন্দয্যাকে উপলবিধ করে, ধ্যানে কলপনায় ছবিতে তাকে একে যাওয়া। নয়ত এমন কাঁদিয়ে যাওয়া যে মানষি চিরকাল কাঁদবে, এমন হাসিয়ে যাওয়া যে মানষে চিরকাল হাসবে, এমন ভাবিয়ে যাওয়া যে মানষে চিরকাল ভাববে, এমন দেখিয়ে যাওয়া যে তারা চিরদিন দেখবে। শিক্ষকতা নয়, জনসেবা-দীন নিরহত্তকার অথচ দািঢ় পবিত্র হয়ে অবহিত মনে এই অতি মহৎ সার্থক সেবা। বৎসরে বৎসরে এরকম বসন্ত কত আসে—কত নতুন মাখের আশা, কত নতুন স্নেহ প্ৰেম-মাথার উপরে নিঃসীম নীল শান্য অনন্তের প্রতীক—এই নীল আকাশের তলে বৎসরে বৎসরে এরকম কচি পাতা ওঠা গাছপালা, বেলফলের ঝোপের নীচে বৈচি-যাঁড়া-বাঁশবনের আড়ালে যে শান্ত জীবনগতি বহদিন ধরে ছাতিমন্বনের আমবনের ছায়ায় ছায়ায় বেয়ে চলছে, তারই কথা লিখতে হবে। ওদের হাসিখশি ছোটখাটাে সখদঃখ, আশা ভরসার যে কাহিনী ওই দিয়ে দিতে হবে-তাদের সঙ্গীবনের যে দিক আশাহত, ব্যর্থতায়, দীনতায়, চোখের জলে, অপমানে উদাসকরণ, চাঁদের আলো যাদের চোখের জলে চিক চিক করে, ফালগন-দপরের অলস গরম, সমকা হাওয়ায় যাদের দীর্ঘশবাস ভেসে বেড়ায়, নিস্তবধ শান্ত সন্ধ্যা যাদের বনের মত ঝলিঝলি অন্ধকার ভরা নিউজনি—তাকেই আকিতে হবে-মানষের এই Suffering এতে 2V বেড়াতে বেড়াতে চারধারের কাশজঙ্গলের গন্ধ ভেসে আসছে। চড়াইপাখী কিচ কিচ করছে। সন্ধ্যার শান্তি ও অন্ধকার—অনেক দরে এই ফালগন মাসে দক্ষিণ হাওয়া বইছে। বনে বনে বাতাবী লেবর গন্ধ ভেসে আসছে। এখন শান্ত সন্ধ্যায় মিলিট বাতাবী লেবফলের গন্ধ পকুরের ঘাটের পথে বইছে। রাঙা কাঞ্চনফলের ছায়া পকুরের জলের ওপর পড়েছে। ভিজে কাপড়ে বধটা ঘাট থেকে বাড়ী যাচ্ছে। আর এখানে ? এখানে চারিদিক কাশের গন্ধে ভরপাের। মহিষের ধরাইয়া চিৎকার করছে। হ হ পশ্চিম বাতাসে বালি উড়ে চারধার অন্ধকার করে দিয়েছে। ঝাউয়া খবড়ী রামজোত, লোধাই, এই বসন্ত, এই নেবফল, সন্টির আনন্দ-এই সব তুচ্ছ জিনিসে জীবনের মাদকতাময় আনন্দ- magic of life যাগে যাগে, বিবত্তানে এরকম আসবে-এই আনন্দ, এই উৎসব যাগযগের মাঝখান দিয়ে অনন্ত কাল ধরে চলেছে—তারই মধ্যে জন্মেছি আমি-এরকম কত যাবো, কত আসবো—কত চড়কে কলেজ স্কোয়ারে বেড়াবো, কত সরস্বতী পজায় গান শোনা, “ফাগান লেগেছে বনে <Go, SFS Abyssinian horseman, কত চাঁপা-পাকুর, কত অন্ধকারময়ী রাত্ৰি, কত বৰ্ষসিন্ধ্যায় কত অজানা বাধাের মিলন গলিপ, কত জনের সঙ্গে বাহতে বাহতে বাঁধা কত উৎসবের দিন-কত সকুমার, কত হগলী ব্রিজ, কত কেওটার সিক্ষেতার গন্ধ কত গডফ্রাইডের ছটিতে ছায়াভিরা বৈকালে বোডিং থেকে বাড়ী যাওয়া, কত ফালগন দিনে প্রতিভা-সন্দিরী পড়া, কত জানালায় ধাপগন্ধ-কত জন্মের মধ্য দিয়ে SS