পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশকে প্রথম চিনেছিলাম, কিন্তু কি চমৎকার লাগে। ( আবার চব্বিশ বৎসর আগের একটা এমনি দিন থেকে জীবন আরম্পভ হয় না ? আমি অমনি লফে নেবো। ) বহন্দরের নক্ষত্রে, গ্রহে কেমন সব জীবনধারা ঐ সময়ের মাপকাঠিটা তাদেরও কি আমাদের মত ওই রকম ছোট, না বড় ?...সেখান থেকে এসে আবার পাকড়াটোলার পথটায় আসন্ন সন্ধ্যায় ঘোড়া ছটালাম। কখনো মাঠ, কখনো ঝোপ-ঝাপ, কখনো উলবিন, কখনো শােধ আকাশ, কখনো ভুট্টাক্ষেত—এই রকম থরে থরে নাতন পরিবত্তানের মধ্যে দিয়ে এই উন্মত্ত গতি বড় ভাল। সন্ধ্যার অন্ধকারে ঘোড়া ছটলে অন্থকারে ধসের পাহাড়টাও যেন সঙ্গে সঙ্গে নাচতে থাকে—দর আকাশে শকতারা উঠেছে, কি জানি কোন দরের জগৎ, সেখানে কি ধরনের জীবনযাত্ৰা! | 1 ৬ই আগস্ট, ১৯২৭ সাল । দরের দিগন্তপ্রসারী মাঠের শ্যামলতা, চারিধারের সিনপদ্ধ শান্তি, পাখীর ডাক, প্রথম শরতের নীল আকাশ এ সবের দিকে চেয়ে মনে হােল কত যাগ-যাগের এমন ধারা সম্পন্দন যেন এসে মনে পৌছবে। একটা কথা মনে ওঠে-মানষের অমরত্ব ব্যটি হিসাবে সত্য না সমন্টি হিসাবে সত্য ? হাজার বছর পরে মনষ্য জাতি কিরকম —এই আমার অত্যন্ত পরিচিত আমিত্বটাঁকু নিয়ে হাজার বছর পরে কি রকম দাঁড়াবো -এই প্রশনটা আরও বেশী কৌতহলপ্রদ। কে এর উত্তর দেবে ? আজকার এই পরিপািণ শান্তির মধ্যে হঠাৎ মনে যেন ভাসা ভাসা রকমের এই কথা এল যে, মানষের এই যে সৌন্দয্যানভূতি, এই গভীর ভাবজীবন-ভগবান কি জানেন না। এসব পণতা প্রাপ্ত হতে কত সময় নেয় ? যিনি সদেীঘ যােগ ধরে এই পথিবী সন্টি করেছেন তিনি সময়ের এ উপযোগিতাটকু নিশ্চয়ই জানেন। তা হোলেই কি দাঁড়ায় না যে মাতৃত্যুর পরেও ব্যান্টি-জীবন চলতে থাকবে- থেমে যাবে না। তাই তো মনে হয়, সাদীঘ ভবিষ্যৎ ধরে এই আলো পাখী ফল আকাশ-বাতাসের মধ্যে দিয়ে কত শত শৈশবের হাসি খেলার মধ্যে দিয়ে কতবার কত আসা যাওয়া । আজ দাপরের নরম রোদে বড় বাসায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছেলেবেলাকার কত এরকম দাপরের কথা মনে হোল-সেই সাইমা, দিদিদের কুলতলা, সাইমার বাড়ী রামায়ণ পড়া, সেই হাটবার—সব দিনগালো একেবারে সেদিনের লগুপ্ত সমিতি নিয়েই যেন আবার سس--}^{ গভীর রাত্রি পয্যন্ত বড় বাসার ছাদে বসে মেঘলা রাতে কত কথা মনে আসেআবার যদি জন্মই হয় তবে যেন ঐরকম দীন-হীনের পণ্য কুটিরে অভাব-অনটনের মধ্যে, পল্লীর সবচ্ছতোয়া গ্ৰাম্যনদী, গাছপালা, নিবিড় মাটির গন্ধ, অপব্ব সন্ধ্যা, মোহভরা দর্পরের মধ্যেই হয় যে জীবনে এ্যাডভেনচার নেই, উত্থান-পতন নেই-সে। কি আবার জীবন ? সেই পর্তুপ তু ধরনের মেয়েলি একঘেয়ে জীবন থেকে ভগবান তুমি আমায় রক্ষা করো। । ৯ই আগস্ট, ১৯২৭ সাল । পৰবদিকের জানালাটা দিয়ে আজ বেশ ঝির ঝির করে হাওয়া বইছে-একটা মািখ তুলে জানালার ওপর গরাদের ফাঁক দিয়ে চেয়ে দেখলেই বটেশ্ববরনাথ পাহাড়টা দেখা যায়। খাটের পাশে টাটকা তাজা বেল ফসলের ঝাড়টা। টবে বসানো, একরাশ ফোটা-ফােল বিছানায়। শয়ে শয়ে এমাসন পড়তে পড়তে মনে হোল ১৯১৮ সালের NA निळ्निश् ि२/न्भऊझ ८द्भश्चा-२