পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এমনি রাত-সেও ১৪ই ভাদ্র। অশিবানীবাবর বোডিং-এর একটা এদো ঘরের গমট গরমে প্রথম সিট নিয়ে এই রাত্রিটা কাটিয়েছিলাম। কত আনন্দে, কত উৎসাহে-কি অপব্ব মোহ, সেদিনের রাত্রির ঘামঘোরে। আমাকে আচ্ছন্ন করেছিল—তার পরদিন সকালটিতে আমার সেই নতুন জামাটি গায়ে দিয়ে কত যত্নে কামিয়ে গাড়ী ধরতে ছটেছিলাম। সে সব দিনের ইতিহাস আর কোথাও লেখা থাকবে না-নেইও। শািন্ধ এক তরণ-মনে তা অাঁকা আছে—আর পঞ্চাশ বছর পরে, কি আর পাঁচশো বছর পরে —সেসব দিনের অপব্ব পালকের কাহিনী শতাব্দী-পব্বের প্রথম বসন্তের পপস্তবকের ন্যায় লগুপ্ত হয়ে যাবে। তব যেন মনে থাকে একদিন সে অমাতধারা বাস্তব জগতের ছিল। তাই যখন মিউজিয়মে মমি দেখি তখন সেসব চৰ্ণায়মান সাদা হাড়টির বকে, এই পথিবীর নীল আকাশ, রাগরক্ত সন্ধ্যা, বাতাস, আলো, কোনো সশ্রী শিশির মািখটি, তরণীর চোখের দীপ্তি, কোন নিভৃত অপরাজেয় অজানা ফলের সবাসএই সব একদিন যে আনন্দের বাণ ছিটিয়েছিল—তিনি হাজার বছর অতীতের যে লিপ্ত হাসিগান, মনের শান্তি-বিহদিন লগুপ্ত যেসব জ্যোৎস্নারাত্রি, প্রাসাদশিখরে পদচারণশীল সম্রাট থটমোমিনের চক্ষকে মগধ করেছিল—মরভূমির দরপ্রান্তনীল সে সব সান্ধ্যসােয্যরক্তচ্ছটাি, সে উদ্ধ মািখ উল্ট্ৰশ্রেণী, খন্ডজাের কুঞ্জের শ্যামলতা আবার জীবন্ত হয়ে ওঠে। তখনও পথিবী এমনি সন্দর ছিল, ঐ জানলার ছোট্ট ছায়াভিরা ঝোপে। খঞ্জন পাখী এমনি নাচত—সে মাধবী রাত্রি, সে নাচ আজিকালিকার কালে কােরর জানা না থাকলেও একদিন তারা সত্য সত্যই বজায় ছিল। এমনি আমরাও চলে যাবো। কত হাজার বছর পরে আমাদের হাড় মাটির তলা থেকে হয়তো প্রস্তরীভূত অবস্থায় বেরবে। তখনকার সে হাজার বছর পরের ভবিষ্যৎবংশধরগণ যেন না ভাবে এগালো বঝি চিরকাল এইরকম দাঁত-বার-করা সাদা হােড়ই ছিল—তারা যেন ভুলে না যায়, এককালে সেগলোও তাদের মতই এই বিশেবর আলো জ্যোৎস্নার সকাল-সন্ধ্যার অংশীদার ছিল। তাদের বীণায় যে সরপঞ্জে বেজে বেজে নীরব হয়ে গিয়েছে তাদের বকে অদশ্য কালমহত্ত গলিতে তার লিখন আছে। হে আমাদের স্নেহ-ভাজন উত্তরপরিষগণ, সে কথা মনে রেখো। কাল এমনি কেটে যায়, বৎসরে বৎসরে ঝোপেকাপে ফলদল এমনি ফোটে আবার ঝরে পড়ে, একদল পাখী গান শেষ করে মরে হেজে যায়। তাদের ছানারা মানষ হয়ে আবার গান ধরে—গান বন্ধ হয় না তা বলে, ফলফোটা বন্ধ থাকে না তা বলে। শধ আমাদের পথিবীতে নয়, অনন্ত আকাশের অসীম গ্রহ তারার মধ্যে হয়ত কত লকোনো অদশ্য জগৎ আছে। তাদের মধ্যের জীবেদের সম্পবন্ধেও এই কথাই খাটে। উচ্চস্তর বিবত্তানের প্রাণী হলেও জন্মমত্যুে আছেই আছে। এত বড় নাক্ষত্রিক বিশেবর যখন আরম্ভ ও শেষ আছে তখন প্রাণীর কথা তুচ্ছ। অনন্তকালের মহত্তগলি এই রকম শত শত দশ্য অদশ্য বিশেবর কত শত প্রাণীর বকের কথায় ভরা, কত হাসি ব্যথার গানে সরময়। অনন্ত দেবের বাঁশির তান অনন্ত যাগমহত্ত ছেয়ে ভেসে আসছে—কান পেতে শািনলেই শোনা যাবে। শােধ আনন্দ দেওয়াই তার লক্ষ্য। এক পলকে জীবনকে চিনে নাও-দঃখের পথ বেয়ে যেতে হবে কিন্তু সামনে আনন্দধাম-দঃখানদীর vG93 উঃ! কি সত্যি কথাই বেরিয়েছে উপনিষদের ঋষির মািখ দিয়ে— आननएकव शल, शैभानि जबदीश छूऊानि छान्दन्ऊ. SY