পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংসারে কলকোলাহলের উদ্ধেৰ নিত্যকালের মশালচীদের যাবার পথ, তোমার ব্যাকুলতা দেখে তোমার মশাল তাঁরা জেবলে দেবেন, নয়তো অনেকের মত তোমার মশাল এমনিই থেকে যাবে। v "Let us not fag in paltry works which serve one not and lag alone. Let us not lie and steal. No God will help. We shall find all their terms going the other way-Charle's Wain, Great Bear, Orion, Leo, Hercules, every God will leave us. Work rather for these interests which the divinities honour and pror mote-justice, love, freedom, knowledge, utility.' | || ২২শে সেপ্টেম্বর, ১৯২৭ । ভবঘরের রক্ত পেয়ে বসেছিল, তাই আজ বেরিয়ে পড়লাম। আমি ও অস্বিকা। সকালে হেমন্তবাব এসে প্রথম মাইল পোস্ট পয্যন্ত এগিয়ে দিয়ে গেল। চারধারে সবজি ধানক্ষেত, জলাতে কুমদ ফল ফটে আছে, দরে তালগাছের সারি ও নীল পাহাড়শ্রেণীর সীমারেখা। বারো মাইল চলে এসে রামবাবার বাড়ী রয়ে গেলাম। সেখানকার অভ্যর্থনা, পান, করণ8ার সিরাপ দিয়ে চাটনি কখনো ভুলবো না। রামবাবার বাগানটিতে ছায়াভিরা পোপেগাছ ফলগাছ বড় ভাল লাগল। সেখান থেকে বার হয়ে বৈকালের দিকে কি সন্দির দশ্য! খড়কপর পাহাড়ের ওপর সােয্য অস্ত গেল। পাহাড়ের কি নীল রং, ধানের রং কি সবাজ! সন্ধ্যার সময় এসে রজৌল থানায় পৌছে মসলমান দারোগটির আতিথ্য গ্রহণ করলাম। বেশ ভাল লোক-আজকাল এই হিন্দৰ-মাসলমানে বিবাদের দিনে এরপ আতিথ্য দেখলে বড় আনন্দ হয়-মানষের আত্মা সব সময়ে যেন বাইরের কুয়াশাতে দিশাহারা হয়ে থাকে না—বরং যখন আপনিআপনি থাকে তখনই সে মক্ত, সুনন্ত সখী থাকে-এর আমি অনেক প্রমাণ আগে পেয়েছি, এখানেও পেলাম। এই থানা, সামনের মণাল-ফোটা বহৎ পকুরটা, এই কি সন্দির হাওয়া-সন্ধ্যার পর এই থানার আয়না বসানো টেবিলটার ধারে বসে লিখছি—এ সব যেন কোথায় এসে পড়েছি!—সেই—সেই সময় পাকাটি হাতে শিবাজীর মত যন্ধ-যাত্রা মনে পড়ে—সেই মারি তালের বড়া ভাজা, কলকাতা থেকে এসে খাওয়া-বাবার দেশভ্রমণের বাতিকসেই বড়দিনের সময় আমবনের কাছে বেড়ানো-কত পরোনো দিনের কথা মনে পড়ে। ভগবান, তুমি সামনে টেনে নিয়ে যােচ্ছ—সামনে নিয়ে চল। সেই সোনারপরে এমন সময়ে মা মারা যাওয়ার দিনটি থেকে খাব নিয়ে চলেছি—সেই কিশোরীবাবর বাড়ী, জ্যোৎস্যনাময় পণিমার কথা মনে পড়ে। ।। ২৬শে সেপ্টেম্বর ১৯২৭, রজৌল থানা । কাল রিজৌল থানা থেকে বেরিয়ে অত্যন্ত খারাপ রাস্তায় মাঠের বাঁকা আলপথে এসে পৌছনো গেল। চানন নদীর কােল থেকে কি সন্দির দশ্যটা! গাপিবাবর বাড়ীতে সেদিনটা থেকে আজ ভোর পাঁচটাতে জামদহের পথে রওনা হলাম। চাননের বাঁধ থেকে দরে পর্বদিকে তালের সারির আড়াল দিয়ে সিদর রং-এর অরণ আলো দেখা দিচ্ছে—আরও দরে ডাইনে বাঁয়ে পাহাড়-এধারে কাকোয়ারা ওধারে বোংশীর পাহাড়। পথে কেবলই দরে দরে পাহাড়, উচ্চ নীচ ঢেউ-খেলানো লাল কাঁকরের পথ-চাননের জল স্থানে সংস্থানে জমে আছে—দরে দরে তালের সারি, শাল গাছের বন-রাঙা বালির ওপর দিয়ে শীর্ণকায় নদী বয়ে যাচ্ছে-সাঁওতাল পরগণার ছায়াময়ী SG