পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাতঘড়ি। রং কালো, আবলিশ কাঠ হার মেনেছে। পথে সাহেবের বাংলা থেকে অম্বিকাবাব কি সন্দির ফল তুলে নিলে। আমি আমলকী, হরীতকী, বয়েড়া তুলে পকেট বোঝাই করলাম। এত বড় বন আমি এর আগে কখনো দেখিনি। সারাদিন লছমীপরের আমলাদের উপর অস্বিকাবাব ও আমি খাব হকুমটা চালালাম যাহোক। ৷৷ ২৯শে সেপ্টেম্বর, ১৯২৭, জয়পর ডাকবাংলা ৷ কাল সকালে উঠে গেলাম পজা দেখতে আমলাকুণড কাছারী। খাওয়া-দাওয়া সেরে বিকেলে চা খেয়ে সন্ধ্যার একটি আগে ঘোড়া করে বেরিয়ে পড়লাম। আসবার সময় নৌকায় উন্মত্ত গঙ্গার উপর জ্যোৎসনা কি অমল, উদার. এই সব জ্যোৎস্নায় যেন কার মখ মনে পড়ে ! এই মদ, হাওয়ায় তার সপশ আছে..ছেলেবেলাকার সেই নবীন শিশিরসিক্ত প্রভাতগালি দিদির মখের হাসি মাখানো, মায়ের হাসি মাখানো। সেই পাকাটির গন্ধ, নািতন গ্রামে এসেছি, একটা একটা ভারী ম্যালেরিয়া ভরা যেন হাওয়াটা, উঠানে শিউলিফােল ফটেছে, সম্পম খে বিস্তৃত অজানা জীবন মহাসাগর। সেই রঘনাথজী হাবিলদারের কালো তরণ চোখ দটি ও শিবাজীর হাতের কম্পায়মান উন্নত বশ্য মনে পড়ে। নবীন তাজা প্ৰভাতে পাজার ঢাক বাজছিল গ্রামান্তরে ছাব্বিশ বছর আগে--- ছাব্বিশ বছর আগের পাখীর দল, ফলের গচ্ছি। আমার গ্রামের পথে পথে বনে বনে অমর হয়ে আছে। এই যে আজ পজোতে কাহলগাঁতে ঢাক বাজে, পাঁচিশ বছর আগে কি বেজেছিল ঠিক এই রকম! এই রকম হাসিভরা ছেলেমেয়ের দল...তারা কোথায় সব চলে গিয়েছে! আড়াই শত বছর পরে যারা আসবে তারা অনাগত ভবিষ্যতের সম্পদ, তাদের ভেবে মন কেমন মগধ হয়। কয়দিন সরেনবাবরে ওখানে রামচন্দ্রপরে কাটিয়ে আজ হোটে ফিরে এলাম। কয়দিন বেলিবনে বসে বসে কি আড়া! কাল বৈকালে চক্ৰতোর নদীর ধারে বেড়াতে বেড়াতে কত কথা গলপ হোল। আমি, সরেনবাব ও মরালীধর নদীর ধারে ঘাসে বসে অস্তগামী সংয্যের দিকে চেয়ে বিত্তমান সাহিত্যের প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করছিলাম। শেষ রাত্রে জ্যোৎসনা উঠলে রওনা হলাম। সকলে আটটার মধ্যে ভাগলপাের এসে দেখি মেজ মামা এসেছেন। ৷৷ ৪ঠা অক্টোবর, ভাগলপাের, ৷ সরেনবাবরে ওখান থেকে গেলাম C. M. S, School এ । সেখান থেকে এসে নিজজন বহনক্ষণ অন্ধকারে বসে রইলাম। মানষে কি ধলোয় গড়াগড়ি দিতে জন্মেছে? তার অদম্পট কি তাকে শস্যক্ষেত্রে ফসলের অাঁটি বাঁধতে চিরকাল চালিয়ে নিয়ে বেড়ায় ? তামাকের দোকানে পোদারের নিক্তির সাহায্যে, মণিকারের কন্টিপাথরের সঙ্গে সপরিচয়ের বন্ধনে ? যে মানষের চারধারে গহন অসীম বিস্তৃত, মাথার ওপরে শন্যে এখানে ওখানে ক্ষণে ক্ষণে মিনিটে চার-পাঁচটা করে কত না-জানা প্রাচীন জগতের ভাঙা টািকরোর তারাবাজি ধমভসেম পরিণত হচ্ছে, যে শান্ত সন্ধ্যায় পাখীর গানে নদীর মন্মরে রক্তসায্যের অস্ত-আভায় অনন্ত জীবনের সর্বপ্ন দেখে—যে মানষ পাথরে কাপড়ে ক্যান” ՀԳ