পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখছি বিকারের তৃষ্ণার মত। যত জল খাই, আরও জল, আরও জল। ততই গলা শকিয়ে যাচ্ছে। ! s१३ नcठवद्ध, ss२१ ॥ এইমাত্র থিয়েটার দেখতে যাবো। টিকিট কিনেছি। বড় বাসার নিজজন শীতসন্ধ্যায়। গঙ্গার বকের শেষ রোদ মিলিয়ে যাওয়া ঝিকিমিকি ছায়াভিরা রোদের রেশটকুর দিকে চেয়ে চেয়ে দরে ইছামতীর বকের একটা অন্ধকার-ঘন তীরের কথা মনে পড়ল। ঠিক এই সময়ে-“যতবার আলো জবালাতে যাই—নিভে যায় বারে বারে”- সেই শীতের বিষন্ন প্ৰভাতে গানটির কথা মনে আসে। সেই সন্ধ্যা-সেই দোকান। যাক সে কথা। আকাশের দিকে এখানে ওখানে দ একটা নক্ষত্র জবলছে। দেখে মনে হোল এই পথিবীট কুই কেবল জানা—তার ওপারে অনন্ত অজানা মহাসমািদ্র। (Tor Sirius, Vega, Spiral Nebula fast for:Girl age GITGS siteদের যাতায়াতের বীথিপথ। অনন্ত, অজানা সেই ছেলেবেলার রাজ গাের মহাশয়ের -গগুধনের দেশ, তেমনি ঠিক। ক্লাব থেকে আভাসবাবার সঙ্গে থিয়েটার দেখতে গেলাম। অমরবাবকে দেখলাম —কথাবাত্তা হোল। “ষোড়শী” বইখানা শানেছিলাম। খব ভালো। কিন্তু একটা সন্দেহ নিয়েই গিয়েছিলাম মনে মনে। শেষ পয্যন্ত দেখলাম যে সন্দেহ করে আমি শরৎবাবর প্রতিভার প্রতি অবিচার করেছি। বই বেশ ভাল লাগল। ওরকম নতেন ধরনের কথাবাৰ্ত্তা বাংলা সেন্টজে বোধ হয় বেশী নেই। পরদিন বড়-বাসার ছাদে বসে বসে সন্ধ্যাবেলা ভাবছিলাম। অনেক কথা। জীবনে কত ভাল জিনিস পেয়েছি সে কথা—আগাগোড়া ভেবে দেখলাম। কি গ্রামেই জন্মেছিলাম! এই তো আরা জেলা, ছাপরা জেলা ঘরে এলাম। কোথায় সেই পরিপািণ, সন্দর, স্নিগধ শ্যামলতা, সেই বাঁশবন ঝোপঝাপ! বড় ভালবাসি তাদের, বড় ভােলবাসি। কেউ জানে না। কত ভালবাসি। আমি আমার গ্রামকে-আমার ইছামতী নদীকে, আমার বাঁশবন, শেওড়া ঝোপ, সৌদালীফল ছান্তিমফােল বাবলা বনকে। সে ছায়া, সে সিনপদ্ধসেনহা, আমার গ্রামের সে সব অপরাহ্ন—আমার জীবনের চিরসম্পদ হয়ে আছে তারাই যে আমার ঐশ্বৰ্য্য। অন্য ঐশবষ্যকে তাদের কাছে যে তুণের মত গণ্য S এই শীতের অপরাহ, রাঙা রোদ যখন বাবলা বনে লেগে থাকে তখন শৈশবে কতদিন শ্যামছায়া ঘনিয়ে আসা ইছামতীর তীরে নিজনে বসে বর্ষার ভাঙ্গনে শিমলতলার দিকে চেয়ে জীবনের মরণের পারের এক রহস্যময় অজানা অনন্তলোকের স্বপ্ন আবছায়া ভাবে মনে আসতো-কতদিন চেয়ে থাকতাম শিমলতলার নীচে, লক্ষণ জেলের শাশাড়ি, ক্ষদে গোয়ালা যখন মারা গেল, তাদের পোড়ানোর জায়গার দিকে —কেমন যেন উদাস ভাব, দিগন্ত বিস্তৃত মাধবপরের উলখেড়ের মাঠটার বহন্দরে পার থেকে কে যেন হাতছানি দিত। তারপর সত্যি সত্যি কত ভাল জিনিসই পেলাম। গৌরী, সেই বনগাঁয়ের গাড়ীতে বসা, সেই বেলেঘাটা ব্রিজ সেন্টশনে আমাদের প্রথম ও শেষ ঘরকন্না, সেই আয়না বার করে দেওয়া, সেই চিঠি বাকে করে মাথায়-কপালে ঠেকানাের কথা মনে হয়ে পুলক 交可日 তারপর চাটগাঁয়ের সন্দর দিনগালো-মণি! ফরিদপরের সত্যবাবদের বাড়ীt VOC). দিনলিপি ২/পমতির রেখা-৩