পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হোমার ভাজিলের কবিতা প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠত। কিনা। এদের তুচ্ছ কথায় আমি ভূমি নূরুত্ব উত্তরপরিষদের কৌতুহল, স্নেহ ও সম্মানের অধিকারী হােত তারা KRIT TEKS I কেবল মাঝে মাঝে এখানে ওখানে ঐতিহাসিকদের পাতায় সম্মিলিত সৈন্যবাহের ফাঁকে পড়ে যায়, সারিবাঁধা বশার অরণ্যের ভিতর দিয়ে দরের এক ভদ্র গহন্থের ছোট বাড়ী নজরে আসে, অজ্ঞাতৃ কোন লেখকের জীবন-কথা, কি কালের স্রোতে কুল-লগা একটকরা পাত্র, প্রাচীন ইজিপ্টের কোন কৃষক শস্য কাটবার জন্য তার পত্রিকে কি আয়োজন কুরবার কথা বলেছিল-বহৰ হাজার বছর পর তাদের টাঁকরো ভাঙা ফাটা মাটির-তলায়-চাঁপা-পড়া মণিময় পাত্রের মত পরাতত্ত্বের কৌতহলী পাঠকের চোখে পড়ে। তারপর কলপনা-আর কলপনা ! প্রস্ফাট সর্ষে ক্ষেতের সগন্ধের মধ্যে বসে প্রভাতের নীল আকাশের দিকে চেয়ে চেয়ে আবার সেই দরকালের পািকব পরিষদের কথা ভাবি। বত্তমানে একদল লেখক উঠেছেন, যাঁরা ইতিহাসের এই ফাঁক পণ্যে করবেন। দ্রুটা তাঁরা—দিনলিপি-লেখক—এদের দল। চেবাঙ, এইচ. জি. ওয়েলস, গকি, ব্রেট হাট, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, শৈলজা মখোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ মিত্ৰ—এদের লেখা ভবিষ্যৎ যাগের পস্তকাগারে দেশের ও জাতির সামাজিক ইতিহাসের তালিকার মধ্যে স্থান পাবে-খািব সক্ষম খাঁটি বিস্তৃত এবং অত্যন্ত পাকা দলিল হিসাবে এদের মাল্য হবে। রোমান্স লেখকগণও সম্পপণ্য বাদ পড়ে যাবেন না-তাঁদের কলপনার উল্লাসে, আবেগে অনেক সময় জীবনের সক্ষমা দপািণকে মাঝে মাঝে হারিয়ে ফেলেন বটে, কিন্তু তব্যও সকটের লেখা থেকে মধ্যযাগের ইউরোপের সম্পবন্ধে যা জানতে পারি, কোন যাত্রা প্ৰণালীর উপর ফেলতে পেরেছেন ? কিন্তু আরও সক্ষম আরও তুচ্ছ জিনিসের ইতিহাস চাই। আজকার তুচ্ছতা হাজার বছর পরের মহাসম্পদ। মানষে মানষের বকের কথা শািনতে চায়। কোটী মানষের মনের ইতিহাস, তার প্রাণের ইতিহাস। কাবাল যন্ধ কি করে জয় করা হয়েছিল, সে সবের চেয়েও খাঁটি ইতিহাস। এই যাগ-যগ-ব্যাপী বিশাল মানবজাতি—শধ, তাও নয়—এই বিশাল জীবজগৎ-কোন মহাওঁপন্যাসিকের কলমের আগায় বেরনো উপন্যাস! অধ্যায়ে অধ্যায়ে ভাগ করা আছে। মহাসমািদ্রগভে বিলীন কোন বিস্মত যাগের আটলাণ্টিস জাতির বিস্মত কাহিনীও যেমন এর কোন অধ্যায়ের বিষয়ীভূত ঘটনা, তেমনি আজ মাঠের ধারে বন্যাশাগালের নখদন্তে নিহত নিরীহ ছাগশিশর মাতুতে যে বিয়োগান্ত ঘটনার পরিসমাপ্তি হোল তাও এর এক অধ্যায়ের কথা। ঐ যে কচ বাড়া বাঁশবনের আওতায় শীণ হয়ে হলদে হয়ে আসছে-ওর কথাও । কিন্তু এ উপন্যাস মানষের পাঠের জন্যে নয়। মানষি শােধ মাটি-পাথর খড়ে, ওতে তাতে জোড়াতালি দিয়ে, দস্যবিত্তি করে লকিয়ে-চরিয়ে এর এক-আধা অধ্যায় চাবি-অটিা পেটরা থেকে দিনের আলোয় এনে পড়ছে—সব বাবতেও পাচ্ছে না। ৷৷ ৩০শে নভেম্বর, ১৯২৭, ইসমাইলপত্র ৷ সন্ধ্যার আগে লাখপতি মডেলের টোলার পিছনের কুন্ডীটা পার হয়ে ঘোড়া sc