পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কয়দিনই উপরি উপরি পাখী মারতে গিয়ে অকৃতকায্য হওয়ার দরুণ শিকারে আর পাহা নেই। বাংলা ধাপের ওপারের জঙ্গলের মাথায় সােয্য অস্ত গোল-দিয়ারায় সােয্য-অস্ত একটা দেখবার জিনিস-কি রাঙা টকটকে আগন্ন রং-এর সোনা!! সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে-জোরে ঘোড়া ছটিয়ে দিয়ে দিলবারের টোলায় বাসবিরিদের বাসা পার হয়ে চললাম। বশনা মন্ডলের টোলা যেতে যেতে বেশ জ্যোৎসনা উঠলো। লোধাইটোলায় যখন গিয়েছি, তখন তারা আগন পোয়াতে বসেছে। তারপরই নিজজন জঙ্গলের মধ্যে BDBD DBBBB DBD BB DD BB BBDBD DDBBDDS DDD DDD BDBD গাছগালো শিশিরে ভিজে গিয়েছে। জঙ্গল ক্লামে ঘনতর হোল, পথ শেষ হয়ে এল। আগে আর বছর যেখানে রাঁইচি-খামার লাট হয়েছিল, সেইদিকে ঘোড়া নিয়ে চলা গেল । অবশ্য একটা একটা ভয় হয়েছিল। বনে শােয়র বাঘের ভয় খব। কাল অনেক রাত্রে ফেউ ডাকছিল। ভয়কে জয় করবার জন্যে জিদ করেই আরও ঘন নিজজন বনে ঘোড়া ঢাকিয়ে দিলাম। পরে অনেকটা গিয়ে ঘোড়া ফিরিয়ে আনলাম। দরে পািব্বদিকে চেয়ে মনে হোেল আমাদের বাড়ীর নিজজন ভিটায় বাঁশবনের ফাঁক দিয়ে একটা একটা জ্যোৎসনা পড়েছে-এই শীতকালে কবে দোলাই গায়ে দিয়ে শৈশবে পাটালি চালভাজা খাবার লোভে তাড়াতাড়ি বাড়ী ফিরে এসেছি। তারপর লোধাইটোলা ছেড়ে সোজা পথটায় ঘোড়া ছািটলো। চতুদর্শীর মাঠভরা ধপধাপে জ্যোৎস্না, নিজজন মেঠো পথ -হ-হ করে ঘোড়া ছেড়ে একেবারে বম্পনা মন্ডলের টোলার কাছটােয় এসে পড়লাম। মনে পড়লো। ১৯১৮ সালের এই সময় এই দিনগালোতে হরিপদদার সঙ্গে দাবা খেলে সকাল বিকাল কি করেই কাটােতাম। পাশের মাঠটায় অনেক লাল হাঁস (চক্ৰবাক) কাল সন্ধ্যায় বসেছিল। রামচরিতের সঙ্গে মারতে এসেছিলাম, কিন্তু গলি করতেই সব পালিয়ে গিয়েছিল। জ্যোৎস্নার মধ্যে দিয়ে শাধাই ঘোরা হোল। ইউনিভাসিটির সিলোেকর চাদর ওড়ানো মেয়েলী কলকাতার ছেলের সঙ্গে ও এই ইংরাজ explorer যািবকদের কি তফাৎ! ঐ রকম হওয়া চাই-ব্দদ্ধাষ, দঃসাহসিক ঘোড়সওয়ার। বনেজঙ্গলে মেরপ্রদেশের তুষারভূমিতে কাটিয়ে এসেছে—কতবার মাতুত্যুর সম্পমখীন হয়েছে-ভয় নেই। Ob tags—out of chaos he has created something, VT57KG (TDGF, Grifikirদীপ্তি, জ্ঞান। অথচ কলকাতায় যখন ক্লাবে গিয়ে বসবে তখন শোঁখীন খব। সেও সিলোেকর চাদর ওড়াবে, বেয়ারার হাতে কোকো বা কফি খাবে। আজ সতীশের পত্র পেয়েছি বহদিন পরে। সে দরজীর কাজ শিখতে কোন স্কুলে পড়ছে—কিছ, সাহায্য চায়। কতকালের কথা—সেই জাঙ্গিপাড়া-সেই ঠিক এই সময়ে জাঙ্গিপাড়া রেলস্টেশনের মধ্যে রাখালবাবার সঙ্গে বসে গলপ করা, সেই ত্রিপরাবাব, বড়ো চক্ৰবত্তী মশায় চাল-কড়াই ভেজে আনতেন-সতীশ দধ জৰাল দিয়ে নিয়ে আসতো, আর রাটি করে নিয়ে আসতো। সেই একদিনের ছটিতে কোথাও না গিয়ে জাঙ্গিপাড়াতেই কাটানো গেল। লাইনের ধারে চেয়ারে বসে তেল মাখলাম -সে এক জীবন কেটেছে। মনের কোথায় যেন অদৃশ্য খোপে গত জীবনের সমিতি সব ঠাসা আছে,- পিয়ানোর চাবিতে হাত-পড়ার মত দৈবাৎ কোন পরোনো খোপে হাত পড়ে যায়-হঠাৎ সেটা বড় পরিচিত সরে বেজে ওঠে—অনেক কালের আগের একটা দিন অলপক্ষণের জন্য বর্ণে গন্ধে রূপে রসে আবার ফিরে আসে। এই রকম এল কাল-হঠাৎ অনেককাল আগে রংপর থেকে ফিরে আসার পথে রাণাঘাট এসে অমতকাকার সঙ্গে যে রাণাঘাট Exhibition দেখতে গিয়েছিলাম, খামোেকা সেই দিনটার কথাই মনে পড়ে। ©tዖ