পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গেল। সেই “সাজাহান” থিয়েটার হবে অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে তার বিজ্ঞাপনসেই চানাচর ভাজা কিনে খাওয়া-সেই বাবার পাতানো মায়ের বাড়ী যাওয়া-সপশট उछाgद अद <5था बा6न्म ५éछ । আজ আর একটা আজগবী কথা মনে এল। হঠাৎ কলকাতায় গিয়ে প্রসন্ন্যদের বাড়ীটা কি মদনমোহন ঠাকুরের বাড়ীর সামনে সেই শৈশবের মাঠগদামটা ভাড়া নিয়ে বাস করা যায় ? করবো নাকি ? পাঁচিশ বছর পরে আবার যদি সেই পাঁচিশ বছর। আগের দিনগালো ফিরে আসে। তবে তো! ৷৷ ৭ই ডিসেম্বর, ১৯২৭ ৷৷ কাল রাত্রে সব্ব গ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ছিল। অনেক রাত পযািত আমি গোষ্ঠবাব দরবীন দিয়ে চাঁদ দেখলাম। খাব যখন অন্ধকার হয়ে গেল। তখন গিয়ে শয়ে পড়ি। আজ সকালে উঠে প্ৰথমে জিনিসপত্র রওনা করে দিলাম। পরে খাওয়ার পরে ঘোড়া করে রওনা হলাম, মিত্র সঙ্গে সঙ্গে এল। লোধা মন্ডলের টোলা ছাড়িয়ে এসে কাদা ততটা নেই, সেদিন অনাদিবাবার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার দিন যতটা ছিল— পরে এসে পরাশীরামপাের ঘাটে পৌছনো গেল। কাছারীটা চিনতাম না-অড়হরের ক্ষেত বেয়ে বেয়ে এসে কাছারী পৌছানো গেল। গত বৎসর মোহিনীবাব ধামশ্রেণী গিয়েছিলেনসেই ধামশ্রেণী। শৈশবের কত সন্মতি মাখানো! জিজ্ঞাসা করলাম, রাণী সত্যবতীর ঠাকুর, বাড়ীতে আজকাল রাত্রে সে রকম ভোগ হয়। কিনা-সেই মজাপাকুরটা আছে কিনা! সেখােন থেকে ঘোড়া ছেড়ে কার মন্ডলকে সঙ্গে নিয়ে আসতে আসতে কলািবলিয়ার ধারের পথ বেয়ে দেখি বনোয়ারী পাটোয়ারী আজমাবাদ চলেছে। তারই হাতে ইম্পিপরিয়াল লাইব্রেরীর বড় খামখানা দিয়ে দিলাম। কলবালিয়ার পথ বেয়ে বেয়ে কখনো জোরে কখনো আস্তে ঘোড়া ছটিয়ে ভগবানদাস-টােলার মধ্যে এলাম। পাছে পথ ভুলে যাই, এইজন্য সব সময়ে ডান দিকে বটেশ্ববরনাথের পাহাড়টার দিকে নজর রাখছিলাম। সে টোলা ছাড়িয়ে সোজা কলবলিয়ার ধারে ধারে ঘোড়া ছটিয়ে এলাম। কলাই ক্ষেতে ক্ষেতে তিনটাঙার প্রজারা কলাই তুলছে। একটা বাবলা বন পেরিয়ে একটা সন্দর পথে এলাম। বামদিকে পথের ছায়াঝোপ, কি সব ফল ফটে আছে, বেশ ছায়া পড়েছে--সেইদিকটা কিছফক্ষণ ধীরে ধীরে ঘোড়া করে এলাম, পরেই আবার একটা উলখিড়ের মাঠের ভেতর দিয়ে ঘোড়া খাব জোরে ছটিয়ে দিয়ে সামনে দেখি কুতরাটােলা। তারপরই পরিচিত সহদেব সিং-এর বাসা দিয়ে লছমন মন্ডলের টোলার অড়হর ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে সোজা চলে এলাম। কাছারী। পথে পথে উৎসব-বেশে সক্তিজতা নরনারী চন্দ্রগ্রহণের মেলা দেখে গলপ-গজব করতে করতে কোশকীপার অঞ্চলে ফিরে যাচ্ছে। এ যেন বহন দাির থেকে অজানা পথ বেয়ে মোটরে কি এরোপ্লেনে করে নিজে পথ চিনে চিনে কখনো ধীরে কখনো জোরে এঞ্জিন চালিয়ে চলে এলাম-পথে পাহাড়, নদী, অজানা বনজঙ্গল, বেশ লাগল। আজকার দিনটায়। সন্ধ্যার সময় বসে আরাম চেয়ারটায় ঠেস দিয়ে অনেক কথা ভাবছিলাম। এই চেয়ারটা যেদিন থেকে তৈরী হয়েছে-ভ্ৰমণ শহর হয়েছে সেদিন থেকে। সেই সত্যবাবার বাড়ীর দেউড়িতে সন্ধ্যার সময় গিয়ে চেয়ারটা নিয়ে নামলীম-সেই ঢোকে ঢেকে জল খেয়ে তৃপ্ত হলাম-পরদিন থেকে যাত্রা শার হোল। মহারাণী সবৰ্ণময়ী রোড, ৪৫ মীজাপাের সন্ট্রীট। সেই ফরিদপরে সত্যবাবার বাড়ী, গোয়ালন্দর সন্টীমারে মাদারিপর, বরিশালে অনাদিবাবার বাড়ী, চাটগাঁয়ের সন্টীমার, কক্সবাজারের সন্টীমারের ডেকে, সীতাকুগেড, নরসিংদিতে, জোতিৰ্ম্ময়ের ওখানে ঢাকায়-আবার ৪৫, মীজাপাের 巴为