পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DBBDuS BDD DuD BBS DBBBD DuBD DBB DDBBD DDBB BBDD তোমাদের মর্টগেজ ট্রান্সফার প্রপাটিজ এ্যাক্ট, কোবালা, ওআর বন্ড তোমাদের থাকুক। -এই নিঃসীম নীল শান্য, ওই তারকারাজি, শেষরাত্রির জ্যোৎস্নায় নাগকেশর ফলের থাকুক। বেশ মনে আছে, বহকাল আগের শৈশবে, সেই শিউলিফলের তলায়। ওদিককার ঘাসবনে যখন চড়াই পাখী বসতো, এই শীতের দিনে প্রথম প্ৰভাতের রাঙা রৌদ্রে পিঠ পেতে বসে মায়ের হাতের পিঠে খেতে যে অপব্ব কলপনা জগতের সর্বপ্ন দেখেছি।-- আমার বাঁশবনের ভিটার প্রতি ধলিকণায় তার লিখন আছে-কোেনা এটনি অফিসের মর্টগেজ দলিল দস্তাবেজের মধ্যে তার জড়ি খাজে মিলবে ? সেই “নন্দসত নীল নলিনাও” গান, সেই বালক কীৰ্ত্তন, সেই বকুলতলা, নাটকান গাছ, বিলবিলে, পােবমাখো যাওয়া, ভরত—সেই অদ্ভুত শৈশব সর্বপ্ন-আমার সে-সবই চিরদিনের সম্পদ হয়ে থাকুক। আর সম্পদ হয়ে থাকুক, এমাসন শেলি শেকভ রবীন্দ্রনাথ, আমার ঐ ছোড়া কালিদােসখানা, রামায়ণ বানােড শ-এদেরই আমি চাই, এরাই আমার ঐশবষ্য। আজ আবার শান্ত গ্রাম্যজীবনের মধ্যে এসে পড়েছি। আবার প্রশান্ত জীবন, সন্দর নাক্ষত্রিক শান্য, সন্ধ্যার বিচিত্ৰ কৰ্ণ কদম্ব, বলোয়া এসে গলপ করছে, বলছে-- ম্যানেজারবাব, তুমি যখন আসছিলে তখন আমি কুলোকুমারের কলাইক্ষেতে বসেছিলাম, তার পর ভাই কডুরিয়া এসেছে, আনন্দিয়া এসেছে—এই সব গলপ করছে। আজ নববর্ষের প্রথম দিনটা যেমন শান্তিতে কাটল-সারা বছরটা এই রকম কাঢ়ক। ১লা জানিয়ারী, ১৯২৮ ৷৷ আবার সে শান্ত জীবন আরম্পর্ভ হয়েছে। কাল ও আজ আবার আজমাবাদের কুলবন দিয়ে পাকা কুল খেতে খেতে ঘোড়া ছটিয়ে, সহদেব টােলার সেই তেলাকুচো ঝোপবনের ভেতর দিয়ে অস্তসায্যের আলোয় ধীরে ধীরে কুতর তোলা দিয়ে গঙ্গার ধারের দরের পাহাড়গলোর ধােসর দশ্য দেখতে দেখতে গঙ্গার ধারে গিয়ে নিদিষ্ট স্থানটাতে ঘোড়া দাঁড় করালাম। সন্ধ্যার ধােসর আলোয় নদীজািল, পাহাড়, বহদরের দিকচক্রবাল কোন মায়াজগতের ইন্দ্রজালিময় সর্বপ্ৰনছবির মত অপরােপ দেখাচ্ছে। আবার সেই মাথার উপরে প্রায়ান্ধকার আকাশের প্রথম নক্ষত্রটি লক্ষ আলোকবষ দরের জগতের অজানা কুহক নিয়ে আমার দিকে চেয়ে আছে-শৈশবের বাঁশবনের গভীর রাত্রে লক্ষীপেচার ডাকের মত গভীর রহস্যভরা জীবনকে আবার ফিরে পেলাম । সন্ধ্যা হয়ে গেলে বাবলা গাছের পাশের সর খালের পথ দিয়ে ঘোড়া ছটিয়ে দিই, ক্ষেতে ক্ষেতে লোক গান গাচ্ছে, কলাই-এর বোঝা মাথায় করে ক্ষেত থেকে ফিরছে—ভীমদাস টােলার ঘরের উঠানে কলাই-এর ভূষায় আগমন করে গোল হয়ে লোকে বসে আগনি পোহাছে আর গলপ করছে, ঝল্লীটােলার ইদারায় মেয়েরা জল তুলছে—দেখতে দেখতে বাইরের মাঠে পড়ি, একটা একটি জ্যোৎসনা ওঠে, হা-হ পশ্চিমে বাতাসে কনকনে শীত করে, বাঁধটার ওপর দিয়ে ঘোড়া ছটিয়ে দিয়ে ডানদিকের অস্পষ্ট দিক চক্রবালের দিকে চেয়ে চেয়ে দেশের কথা ভাবি-ঠাকুরমা, পিসীমা, বড় চারা আমগাছতলায়, নদীর ঘাটে কি করে আনন্দ ভোগ করে গিয়েছেন গত 8