পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসিরহাট থেকে পত্র এসেছে বহদিন পরে পাটালি পাঠানোর জন্যে। বহলদিনের কথা মনে পড়ে। ৬o, মিজাপারের কলেজ হোসেন্টলে এই শীতের দিনের যে অপব্ব দিনগালো—সেই প্রথম যৌবনের দীপ্ত উৎসাহ, মায়াজগতের সর্বপ্ন, শিশিরবাবর অভিনয় ইনস্টিটিউটে দেখে এসে পথের মোড়ে ফটপাথে তাই নিয়ে যে মেতে থাকা! তারও আগে এই প্রথম বসন্তের দিনে রমাপ্রসনের জন্যে ফালগনী দেখতে যাওয়া—সেই “ফাগান লেগেছে বনে বনে—সেই ভূতনাথের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তার সঙ্গে Landor পড়ার দিনগলো! সেই গ্রামের বসন্ত দেখেছি ১৯১৭ সালে এই দশ বৎসরের মধ্যে তা আর হয়নি। In des TERRIK, SNR v আজ এত জোরে ঘোড়া ছটিয়ে না এলে কি সন্টীমার ধরতে পারতাম ? জগুগল থেকে বার হয়েই দেখি সন্টীমার এপারে। ভাগ্যিস ছিল ছোট ঘোড়াটা-বালির চর বেয়ে ঝড়ের বেগে ঘোড়া উড়িয়ে তবে এসে সন্টীমার ছাড়বার ঘণ্টা দেবার সঙ্গে সঙ্গে शब्ला शाळे । দেবীবাবর ধৰ্ম্মশালায় উঠেছি আজ। একবার সরাইখানার অভিজ্ঞতাটা হোক না ? দনিয়াটা তো একটা বহৎ ধৰ্ম্মশালা-বড়ির মধ্যে যে জিনিসটা ছোট অথচ বড়রই প্রতীক সেটাকে চিনে নিই। পাশের ঘরে কে একজন গান গাচ্ছে আর বেহালা বাজাচ্ছে-বাঙ্গালী মনে হচ্ছে। ‘ওগো মাঝি’ তরী হেথা” গান ধরেছে। একটা জিনিস নতুন ঠেকছে। কয়দিন হাতে অনেক কাজ, দেখি কি করি! আজ ছিল বহিস্পতিবার-আমাদের দেশের হাটবার। সন্টীমারের ডেকে বসে বসে কেবল মনে ভেবেছি আমাদের বাঁশবনে ঘেরা ভিটাটিতে দীর শৈশবের একদিনে সামনের পরানো পাঁচিলটা দেখতে দেখতে হাটে বেরাচ্ছি। খানসামা চা দিয়ে গেল, চুমাক দিতে দিতে বার বার সেই কথাই মনে আসতে লাগল। উপরের ডেক আজি ছিল বড় নিজজন, বাসে ভাববার বড় সংবিধা। মানসিক ঘািম বলে একটা জিনিস আছে.শারীরিক ঘােমর চেয়েও তাতে মানষেকে লক্ষীছাড়া করে ফেলে। দেহে সজাগ থাকা কঠিন না হতে পারে, কিন্তু মুদ্রািজাগ থাকা কঠাের সাধনার ওপর নিভাির বরে। সেটা মাঝে মাঝে বকতে ৷৷ ১৮ই জানায়ারী, ১৯২৮), ভাগলপাের ৷ এই দিনটাতে বড় আনন্দ পেয়েছিলাম সাজকীর টিলায়। দাপরের পর আজ হেটে সাজকী চলে গেলাম। উচু টিলাটার ওপর তেতুলগাছটার তলায় চুপ করে অনেকক্ষণ বসে বসে চারদিকের রৌদ্রদীপ্ত মধ্যাহের অপব্ব শান্তির মধ্যে শ্যামল তালাশীষ গলোর দিকে চেয়ে রইলাম। কত বছর আগেকার সে শৈশব সরটা যেন বাজে-এক পরোনো শান্ত দাপরের রহস্যময় সর। কত দিগন্তব্যাপী মাঠের মধ্যে এই শান্ত দাপরে কত বটের তলা, কত মধ্যাহ্ন। আবার যেন ফিরে আসে। পাঁচিশ दछद P6 । এই শান্ত সন্তব্ধ মধ্যাহ্নে কেবলই মনে পড়ে জীবনটা কি-তা ভেবে দেখতে হবে। এই পঞ্চাশ-ষাট বছরের এবারকার মত জীবনে কি সারাজীবন ফরিয়ে গেল ? এই দর্পাের, এই প্রথম বসন্তের আবেশ, এই নীল আকাশ, এই বাঁশের শকিনো পাতা Sa