পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও খোলার আহবান, তেলাকুচালতার দলনি-এ সব যে বড় ভাল লাগে। কে জানে হয়ত যদি আসতেই হয় তবে হাজার বছর পরে। কারণ পার্থিব জীবন ছাড়া আরও একটা অপার্থিব জীবনধারা কলপনা করতে পারা যায় যাতে আনন্দ বা সৌন্দৰ্য্য আরও ক্রমপরিস্ফট হবে।--সৌন্দয্যের সত্যের উপভোগই জীবনের উদ্দেশ্য, এ সম্পবন্ধে আমার কোন সন্দেহ নাই। তা যদি হয় তাতে সময় নেবে। হাজার বছর না হয়। পাঁচশো বছরও হতে পারে। এসব বিষয়ে কিছই নিশ্চয়তা নাই। চিন্তার গোঁড়ামি আমি বড় অপছন্দ করি, স্থিতিস্থাপক মন না হ’লে সত্যদশী হওয়া বড় শক্ত। কাজেই যদি ধরে নেওয়া যায়। ওপরের কথাটাই সত্য তো এই পথিবীর আলো হাওয়া জল মাটির কাছ থেকে বিদায় নিতে হবে ? তাই নীরব রহস্যভরা মধ্যাহ্নে সেই বিদায়-বেদনার সাের বড় दा४टा । অমরাবাব, উপেনবাবর সঙ্গে রণজিৎবাবার বাড়ী যাওয়া গেল। ফিরে আসতে আসতে কথা হ’ল, আমরা বেদের দল, তাঁব ফেলে ফেলে বেড়াচ্ছি। রাখালবাব চলেন কলেজে-উপেনবাব তলিপ নিয়েই মঙ্গলবারে কলকাতা। ভাগলপার শান্য হয়ে পড়েছে। কাল আবার সঙগীতসমাজে Recitation-এ বিচারকের আসন গ্ৰহণ করতে হবে।

২১শে জানায়ারী, ১৯২৮ ৷৷

সঙ্গীতসমাজে আব্বত্তির প্রতিযোগিতার বিচারক গিরি করতে গেলাম বেলা তিনটার সময়। সেখানে একটা ছেলে বড় সন্দর আবত্তি করলে। সেখানে থেকে চন্ডীবাব, অম্বিকাবাব ও আমি গেলাম ক্লাবে। সেখানে থেকে চা-এর নিমন্ত্রণে গেলাম। সারাদিন Engagement-এর ভিতর দিয়ে দিনটি বেশ গেল। একদিকে যেমন সরল সহজ জীবন দরকার, অন্যদিক থেকে আলো শিলপ সৌন্দৰ্য্য সঙ্গীতও যে বিশেষ প্রয়োজনীয় এটা ভুলে গেলেও তো চলবে না। ক'ল। যেমন সারাদিনটি বাদলা গিয়েছে, ঘোরাও গিয়েছে। সারাদিন খব। বেলা চারটার সময় বেরিয়ে ভিজতে ভিজতে উপেনবাবরে বাড়ী, সেখান থেকে সেন্টশনে উপেনবাবরে টিকিট বিক্ৰী করতে। সেখান থেকে ধৰ্ম্মশালায় খেয়েই বেরনো হ’ল চন্ডীবাবর বাড়ী। সেখান থেকে অমরবাবার বাড়ী হয়ে উপেনবাবরে বাড়ী গিয়ে রাত কাটানো গেল। সকালে উঠে চা খেয়ে সেখান থেকে এলাম সরেনবাবরে বাড়ী । তারপর ধৰ্ম্মমতলায় বসেই ইসমাইল।পরে রওনা হওয়া গেল। খাব মেঘ মাথায়, ঘোড়াটা জোরে ছটিয়ে ভিজে কাশের গন্ধ উপভোগ করতে করতে এলাম। কাছারীতে। পরদিন বৈকালে বর্ষণ সিক্ত সবজি কচি গমের ক্ষেত ও হলদে রং-এর ফলে ভরা রাইক্ষেতের ভিতর দিয়ে ঘোড়াটা নিয়ে বেড়াতে গেলাম। দারের পাহাড়গলোয় আবার পরিস্কার নীল রং ধরেছে।--বান্টি-ধোয়া আকাশের তলে সবজি গমক্ষেত ও হলদে রং-এর সমদ্রের মত ফলে ভরা রাইক্ষেত আমার চোখে কি মোহ-অঞ্জন যে পরিয়ে দিল ! ঈশবর ঝা লোধাইটোলা থেকে বেরিয়ে দঃখের কথা বলতে বলতে আমার ঘোড়ার পিছৰ পিছত কুন্ডীর কাছাকাছি গেল। সেখান থেকে সে পথে গঙ্গা দেখে ফিরলাম। বালা মন্ডলের টােলা আসতে আসতে অন্ধকার হয়ে গেল। কিন্তু ঘোড়াটা ষা ছটল! শয়োর যেসব ক্ষেত খড়ে ফেলেছে তার মধ্য দিয়ে খাব জোরে चाgा छल। A Risco EFFT, Yssivu 89