পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হীরেনবাব, কালীঘরে লিখবার টেবিল...ঘরে পোয়ানো...জঙ্গলের মাথায় চাঁদ ওঠা। খব হাসছে, আর গাইছেঃ এক লাখ পাত সওয়া লাখ নাতি— সকরি কোই নাম আয়ী ‘কোই নাম আয়ী” অংশটা বার বার জোর দিয়ে গাইছে। গোষ্ঠবাব ও মহা উৎসাহে কীৰ্ত্তন করছে। রামচরিত ভিজতে ভিজতে নওগাছিয়া ডাকঘর থেকে এসে বললে, চিঠিপত্তর কিছ নেই। u &qCar verir ki, yavq m আজ সবাজ গম রাইচীক্ষেতে অনেকক্ষণ বেড়িয়ে এলাম। ফিরে এলে গোষ্ঠবাব ঘরে এসে অনেকক্ষণ গলপ করলে। ছটা সিং-এর পাঠানো পেয়ারা খাওয়া CGF অস্পন্ট মনে এল। নতুন বোন্টমীর আখড়ার পেছন দিকের রাস্তাটা দিয়ে একদিন সন্ধ্যাবেলা অনেক দিন পরে দেশের কুঠীর মাঠের একটা দিনের ঘটনার ছবি সকালে কুঠীর মাঠের দিকে যাওয়া। আটির নীচের ক্ষেতে কে নতুন চষেছে-- জ্যাঠামশায় না কে সঙ্গে আছেন—ফিরে এলাম। সে কি প্রথম দিনটা কুঠী যাওয়া ? ভাল মনে হয় না। সেই সময়ের মনের ভাবগালো বেশ ধরা যায়। ঐ দিনটা সপট মনে এলে ঐ দিনের-পাঁচিশ বৎসর পকেবীকার শৈশবের এক হারানো দিনের ভাবনাটাও সািপষ্ট মনে পড়ে। দটো এক ফটোগ্রাফের পেলেটে তোলা ছবি একত্রে মস্তিম্ভেকর কোথায় যেন আছে-এতদিন কত অন্য প্লেটের তলে চাপা পড়ে ছিল—আজি হঠাৎ হাত পড়েছে। Ryto“T TIPIFITS, SSR অপব্ব জ্যোৎস্না রাত্ৰি ! এরকম রাত্ৰি দিয়ারা ছাড়া অন্য কোথাও দেখা যায় না—আর দেখা যায় বড় বাসার ছাদে। চারধার নিস্তবন্ধ, সামনের কাশীবনের মাথায় দগধশত্ৰ জোৎস্নাধৌত আকাশে রহস্যময় তারার দল। শািন্ধই মনে পড়ে, জীবনটা কি বিচিত্র রহস্য-—এ শািন্ধ একটা বিচিত্র অনন্ত রহস্য, এর সব দিকেই অসীমতা—যে- দিকে যাওয়া যায়। চাঁপাপকুরের সেই যে বাড়ীটাতে নিমন্ত্রণ করেছিল, আমাদের গ্রামের সেই দশ-বিঘা দানের বাঁশবন, বড় চারা আমতলায়, জাঙ্গিপাড়ার স্কুলের সামনের মাঠে-এরকম জ্যোৎসনা পড়েছে আজ--যখন এই সব বিভিন্ন স্থান ও তৎসংশিলান্ট সমতির কথা মনে ভাবি তখনই হঠাৎ জীবনের বিচিত্ৰতা প্রগাঢ় রহস্য আলোকে অভিভূত করে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে আমার চোখ গিয়ে পড়ে অনন্ত আকাশের নক্ষত্রেরাজির উপর-কে জানে ওর চারপাশের অন্ধকার গ্রহদলের মধ্যে মধ্যে কি বিচিত্র-জীবন-ধারা-প্রবাহ চলেছে! কোন দেববালকের মায়াময় শৈশবস্বপন দেশের গাছপালা ভূমিশ্ৰীীর মধ্যে কাটছে যাগে যাগে—অপশব দেবতার লীলাভূমি কত সৌন্দৰ্য ভরা নব নব জগৎ—কত উচ্চস্তরের জীবকুল ! হাজার হাজার বিষ সন্থায়ী বিচিত্র প্রেম তাদের, জন্ম-জন্মান্তরের মধ্যে দিয়ে অনন্ত জীবন-মহত্যু বিরহ মিলনের ভিতরে অক্ষশ্ন, চির সজীব ধারায় বয়ে চলে— কত সভ্যতার উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে, কত পথিবীর ধবংসসন্টির তালে তালে। প্রাচীন ইজিপ্টের সে রাজকন্যার আত্মার কথা মনে পড়ে। এক বত্ৰিশ বৎসরের জীবনে GO