পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেখানে বহদিন পরে কলবলিয়ায় অবগাহন স্নান করা গেল। দরে কাহল-গাঁয়ের নীল পাহাড়টা বড় ভাল লাগছিল। খাওয়া-দাওয়া সেরে একটা বিশ্রাম করার পরেই গোষ্ঠবাব ও আমি হোটে বার হলাম। সত্যি, হাঁটার মধ্যে এমন একটা জিনিস আছে যা ঘোড়ায় চড়ে পাওয়া যায় না! নাঢ়িাবইহারের কাছে দারপ্রসারী ঘন শ্যামল যাবগমের ক্ষেত, আকাশে উড্ডীয়মান বলাকার সারি বড় ভাল লাগছিল—বহাকাল পরে অনেক দীর পায়ে হেটে যাওয়ার সখ অন্যভব করলাম। পথের পাশেই নীল ফলে ভরা খেসারীর ক্ষেত, চন্দন রং-এর ফলে ভরা মটর ক্ষেত, কোথাও আধশকিনো দািব্বা ঘাসের ক্ষেত। গোষ্ঠবাব আসতে আসতে আবার কল্লর চৌধরিীর ক্ষেতের কাছে এসে পথ হারিয়ে ফেললে। আধশকিনো দৰবা ঘাসের বন কাশীবনের মধ্যে দিয়ে সড়ি পথ বেয়ে অনেক দরে এলাম-আর বছরে সেই তেলির ক্ষেতে (যেখানে নীল গাই দেখেছিলাম) যাবার সময় যে রকম সড়ি পথ দিয়ে যেতম সেরকম। তারপরে কেবলই সবজি সমদ্রের মত শস্যক্ষেত্ৰ-দিগ দিগন্তহীন দর, দীর সদরপ্রসারী আকাশ। অপব্ব এ দিয়ারার দশ্য! এরকম নীল আকাশ, এরকম পাহাড়, এরকম দারপ্রসারী শ্যামলতার সমদ্র আর কোথায় ? মাঝে মাঝে বন্য শায়োরে শস্যক্ষেত খড়ে ফেলেছে। গভীর জঙ্গলের মধ্যে নিজজন ফসলের ক্ষেত। এই গভীর বনের ধারে একটা কাশের তৈরী কুড়ো—তাতেই চাষী রাত্রে শয়ে এই ভীষণ হিমবিষী রাত্রে ফসল চৌকি দেয়। ওরা পথ হারিয়ে গেল-মালী ঘোড়া নিয়ে আসছিল। সে বললে, এ কোথায় এলাম ? গোষ্ঠবাবও দিশাহারা হয়ে গেল। আমিও প্রথমটা ঠাহর করতে পেরে উঠলাম না। পরে সিধা পথ পেয়ে খানিকটা আসতে আসতে দারে কতকগলো কাশের ঘর দেখে আমি বললাম, এই বালা মন্ডলের টোলা। গোষ্ঠবাব বললেন, না। আমি কিন্তু আর খানিকটা এসে বাঁ-ধারে যে পথে লোধাইটােলা, ঘোড়া করে গিয়ে সে পথটা দেখতে পেলাম। তারপর হোটে খানিকটা পার হয়ে হকুমচাঁদের বাসার কাছ দিয়ে মানষিসমান উচু রোড়ীক্ষেত | দিয়ে এলাম। মকুন্দী ও জহরী আজই বৈদ্যনাথ থেকে ফিরে এসেছে। প্ৰসাদ দিয়ে গেল। মকুন্দীকে বললাম, তুমি আমার কাছে আজ রাত্ৰিতে গলপ করবে। বড় আনন্দের দিনগালো এসব । অভিজ্ঞতায় একটা বঝলাম, আজ যে সস্থানটা নতুন, ভাল লাগে না, মন বসে। না, যত দিন যায়। তার সঙ্গে সমতির যোগ হতে থাকে, ততই সেটা মধর হয়ে ওঠে। এই ইসমাইলপির ১৯২৪ সালে আন্দামান দ্বীপের মত ঠেকতো। আজমাবাদকে তো মনে হোত (১৯২৫ সালেও) সভ্য জগতের প্রান্তভাগ-জঙ্গলে ভরা বেলজিয়াম কঙ্গোর কোন নিজজন উপনিবেশ-আজকাল সেই আজমাবাদ, এই ইসমাইল।পরে ছেড়ে যেতে হবে ভেবে কম্পট হচ্ছে। আজ এমাসনের "Immortality” প্ৰবন্ধটা পড়ে মনে হ’ল আমার মনের কথা অবিকল তাতে লেখা আছে। কতদিন বসে বসে ভেবেছি, অন্য জগতের জীবনেও নিশ্চয় চিন্তা, পড়াশনা, একটা কিছ কাজ নিয়ে থাকবার প্রচুর অবকাশ আছে। হাজার বছর কেটে যেতে পারে। তবও ব্যক্তিত্ব নন্ট হবার কারণ কি ? ত্রিশ-বত্রিশ বছরের সন্মতিভান্ডার যদি এ মধ্যকে পরিবেশন করে তবে অনন্ত জীবনপথে দশোতিনশো বছরের সমিতির ঐশবষ্য কি, তা ভাবলেও পলিকে শিউরে উঠতে হয় হাজার বছরের ? দই হাজার বছরের ? বিশ হাজার কি লক্ষ বছরের ? ra, osa tra, oss BB DDD BBB BBD DDD DDD S BDDBBD DBBD BBD DBDDDBBDBDS dit SR