পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপৰিব বিলাস। AN RYSCY CIFS, SSSR v এখানকার এক-একটা দিন এক-একটা সম্পদ হয়ে উঠছে—কলকাতায় এরকম দিন কটা আসে ? আমারই বা এর আগে কটা এসেছিল ? স্কুল-কলেজের রাটিনবাঁধা কাজ বা স্কুল-মাস্টারীর রাটিনবাঁধা কাজের সময় এসেছিল বটে দিনকতক, League-এর কাজের সময়ে। কিন্তু সেও বড় ভ্রমণশীল, বেদইনের মত জীবন ছিল বলে সেও ততটা ভাল লাগেনি। আজকালকার প্রত্যেক দিনটি এক-একটা উৎসব দিনের মত সন্দর। এত সম্প্রচুর অবসর, এত বৈচিত্ৰ্য আর কখনো কি জীবনে পাব ? আজ তিনটার সময় চন্ডীবাব, এল, তার সঙ্গে বার হয়ে গেলাম--অসফট আমমকুলের গন্ধভরা বৈকালের বাতাসের মধ্য দিয়ে বেড়াতে বেড়াতে রোমান ক্যাথলিক গিডজাটাতে ঢািকলাম। দধারে বৈকালের ছায়ায় সন্দর গাছগলো। আমরাল, কামিনীফল, আমগাছ, দাঁচারটা বিলাতী। ফলের গাছ, চিনি না। গঙ্গার ধারে কেমন সন্দের বাঁশঝাড়, গোলাপের বাগান ; Priest-এর সঙ্গে বসে অনেকক্ষণ ধৰ্ম্মম' সম্পবন্ধে আলোচনা হ’ল। রোমান ক্যাথলিক পবিত্র Beautitude সম্পবন্ধে আমাকে যা বোঝালেন তা অন্যভাবে আমি নিজের চিন্তার মধ্যে পেয়েছি। মানষের মধ্যে একটা শক্তি বেড়ে যাবে, যাতে করে সে ভগবানের বিরাট সত্তা সম্পৰ্ণভাবে হৃদয়ঙ্গম করে বিরাটের আনন্দ পাবে। বললেন Inquisition সম্পবন্ধে বিশ্ববাস করো না-ওটা আমাদের শত্রদের লেখা, অনেক সত্য আছে বটে কিন্তু অতিরঞ্জনও খব। বললেন, আমরা Truth সম্পবন্ধে controversy করি না—দটো-একটা doctrine যারা বাদ দিয়েছে তাদেরও বাদ দিয়েছি। রাজা বিয়ে করতে চাইলেন (Henry VIII)—সেই জন্যে আমরা ইংলন্ডের মত দেশকে ছোটে বাদ দিলাম! এst. Lewis বিশববিদ্যালয়ের গ্রাজয়েট, এতদর এসেছেন, বললেন, আমরা আর দেশে ফিরবো না, মাতৃত্যু হয় তো এখানেই হবে। সেখানে থেকে বেরিয়ে কলেজের পথে অন্ধকার ঘন আমবনটা দিয়ে রেল লাইনে এসে উঠলাম। জ্যোৎসনা উঠেছে, পাতার ফাঁক দিয়ে জ্যোৎসনা পড়েছে-এই পাশের তালতলায় গত ভাদ্র মাসে কলপনা করেছিলাম দােগার তাল কুড়ানো, শৈশবে তাল, পড়ে থাকলে গাছতলায় কি আনন্দ হোত। কি অপব্ব আম-বউলের গন্ধ মাখা জ্যোৎসনা রাত্রিটা! সাঁকোটার উপর অনেকক্ষণ বসে সেন্টশনে এলাম। কবিরাজ মহাশয়ের সঙ্গে অনেককাল পরে দেখা—তিনি সংকীৰ্ত্তন করতে যাচ্ছেন সেন্টশনের বাসায় । বাজারে একটা শার্ট কিনে গ্রামোফোনের দোকানে রবি ঠাকুরের আবত্তি শািনলাম-- আজি হতে শতবর্ষ পরে। বদ্ধ কবিবরের গম্ভীর গলায়। উদাত্ত সাের বড় ভাল লাগল। তারপরে চন্ডীবাব চলে গেল তার বাড়ী, আমি আসতে আসতে পথে ভোলাবাবার সঙ্গে দেখা। ভোলাবাব দীপবাবার বাড়ী যাচ্ছেন Electric fitingsএর canvass করতে। তাঁকে বললাম, দীপবাব এখন ব্রীজ খেলতে ব্যস্ত, সকালে না গেলে কি দেখা হবে! দিনটো বেশ কাটল। ৷৷ ২৬শে ফেব্রুয়ারী, ১৯২৮ ৷৷ সকালে নায়েবের সঙ্গে গেলাম কমলাকুন্ডু। বেশ ঘোড়া ছটিয়ে সকালের G