পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গাছিয়া হয়ে এলাম-কি সন্দির, লছমীপরের ধাপটার কাছে এসে দেখি রপেলােল সবে ধাপটাি পার হচ্ছে, লোকারা চামার মোট নিয়ে পিছনে। ঘোড়াটা হা হা করে পাড়াটার ওপর উঠে গেল-কি সন্দির কদমই ধরলে! এরকম ঘোড়া চড়া কখনো য়নি, এ কয়দিন বেশ হ’ল। নওগাছিয়া ইদারার কাছে ঘোড়া জল খেলে-তারপর একেবারে রামবাবদের গোলা। তারপর ভাগলপরে এসেই চন্ডীবাবদের বাড়ী এলাম। অনাদিবাবার সঙ্গে গলপ করলাম, সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। মনে হ’ল সেই পাশের পথটা—পিসিমা জল নিয়ে প্রথম এল-আমি বাবার সঙ্গে কলকাতা থেকে সেই প্রথম এলাম-দেখতে দেখতে কতকাল হ'ল! Goethe-ves) <F2: Sla all(s|-Those who cannot hope about a future' life are already dead in this life. (FSIGiatt Sinai.I. st-Cats MC) মকুন্দ দাসের যাত্রা শোনা গেল। ৷৷ ১৪ই মাচ্চ, ১৯২৮ ৷৷ আজ ভান্ড সিং-এর জাহাজে বিকালের দিকে ভাগলপার থেকে বেরিয়ে সন্ধ্যার পবো এলাম মহাদেবপাের ঘাট। মেঘান্ধকার সন্ধা—মকুন্দ, মাগব, পরিণ, ছটা সিং এবং সিপজী ও রােপলােল—এই কয়জন সঙ্গে। অন্ধকারের মধ্যে ঘোড়া চালিয়ে আসতে সাহস না পেয়ে আস্তে আস্তে এলাম। বালির চরে আসতে না আসতে অন্ধকার হয়ে গেল—বাঁ-ধারে পািব্বতের জঙ্গলে আগনি জবলছে। গঙ্গার ঘড়িয়ালগলো। আমাদের পায়ের শব্দে হড়িম হাড়ম করে জলে নেমে গেল। আমি নেমে হোটে চললাম। মকুন্দকে বললাম, গলপ বল-সে গলপ আরম্ভ করে দিলে। খানিকটা এসে দিকভ্ৰম লাগল বালির চরের ওপরে। এত ঘন অন্ধকার যে, দহাত তফাতের মানষে দেখা যায় না-আমার বড় লন্ঠনটা জেৰলে নিয়ে তব অনেকটা সবিধে হ’ল । মকুন্দ বললে, রাক্ষসের আলো জবলছে—এদেশে আলেয়াকে রাক্ষসের আলো বলে । কত ভূতের গলপ হ'ল! 'দেবতার ব্যথায় এইরকম লিখতে হবে যে, কোন উন্নততর গ্রহের জীবের অসীম-শ্যান্য বেয়ে দীর গ্রহের উদ্দেশে যাত্রা করে-পথও হারিয়ে যায়। অসীম শান্য বেয়ে, অসীম অন্ধকারে তাদের যাত্রা, দস্তজয় সাহসী Pioneers! u S6ž RTB5“, SSSB u আজ বিকালে ঘোড়া করে পরাশরামপর কাছারী এলাম। কুলিরা আগেই রওনা হয়ে গিয়েছিল। মনেশবের ধীরে-বেধে একজন কুলিকে শেষে যোগাড় করে তাকে দিয়ে টেবিল চেয়ার পাঠালে। আমি একটি বেলা গেলেই রওনা হলাম। কাল Imperial Library থেকে Comrad-এর বইখানা পাঠিয়ে দিয়েছে-আজ সেইটা পড়ছিলাম। আজকাল ইসমাইলপার কাছারীটা বড় সন্দর লাগে। দধিলীঘাসের ফলে, কণ্টিকারীর বেগনী ফল, বনমালোর ফল, আকন্দের ফল। বৈকালে আজ বেড়াতে গেলাম, ক্ষেতে ক্ষেতে পাকা শস্যের গন্ধ, কাটনি মজীরেরা ফসল কাটছে। কাছারীর ওপর দিয়ে দ বেলা মেয়েমানষেরা যাচ্ছে—সকালটা বেশ লাগে। কি অদ্ভুত দপারট{ —দােপর রোদে ঝাউ ও কাশবন যেন কোন রহস্যের গভীর মায়া-যবনিকার ঢাকা থাকে। কত অসম্পভব আর আজগবী চিন্তা মনে নিয়ে এসে ফেলে। বিহারের ঐ সদরপ্রসারী প্রান্তর, দারের রৌদ্রে ধোঁয়া ধোঁয়া অস্পষ্ট নীল পাহাড় দটাে—পীরপৈতির পাহাড়শ্রেণী, দিলবারের খবড়ীর পিছন দিয়ে, রামবাবদের বাসার পিছন (S