পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিয়ে একেবারে এতমাদপরের কাছারীর দিকে বিস্তৃত থাকে। বড় মোন, রহস্যময় মনে হয়। এই খররৌদ্র-প্লাবিত চৈত্র-দপাের। আসতে আসতে রণপাল মণডলের ক্ষেতের কাছে জঙ্গলটার সামনেই দেখলাম জমাদার আসছে পরাশীরামপাের থেকে-বললে, কুলীরা সব পৌছে গিয়েছে। জঙ্গলটার কি সোঁদা সোঁদা গন্ধা! বার হয়েই লোধাইটোলার ধাপটার ওপারে উন্মািক্ত প্রান্তর, দারের পাহাড়, হ হ উন্মক্ত হাওয়া, আবার সেই পাকা ফসলের গন্ধ-আঃ, এই জীবন! ভাবছিলাম। সেই কত দিন আগে পিসিমা এল, ঠাকুরমাদের পাশের পথটা দিয়ে-আমি ও বাবা এসেছি মামার বাড়ী থেকে, পিসিমা কgিঘাটে-সেই সব দিনগলো। নেড়ার বাবা এখনও কলিডাঙ্গা লাভবড়পর করে বেড়চ্ছে-আর আমাদের বাংলার গাছে গাছে ফল ফটেছে। কাঁচিপাতা গজিয়েছে, কোকিল ডাকছে, কাঞ্চনফল গাছ আলো করেছে...অবসন্ন গ্রীষ্মমবেলায় ঝোপে ঝোপে সমিন্ট বনফলের মাতানো সাির, রামনবমী। বাস-বেলের পাতা-চড়কের ঢাক-গোষ্ঠবিহার-কোকিলের কুহ, পাপিয়ার মনঅন্ধকার হবার সঙ্গে সঙ্গে বালিতে পড়লাম-রাজ সিং এপারেই দাঁড়িয়ে ছিল —জল পার করে ঘোড়া নিয়ে গেল। দবে এসে অনেক দঃখ করতে লাগল যে, সে তার মেয়ের বিয়ে জমাদারের সঙ্গে দেবে না, তবও কেন নায়েব তার জন্যে পীড়া পীড়ি করছে। A RoCT ANTIGT5, SSSR by UN পরশরামপর কাছারিতে অনেকদিন পরে বাস করছি। সেই প্রথম ভাগলপরে এসে হেমন্তবাবর আমলে কিছদিন ছিলাম বটে, তারপর সেই একবার এসে বস্তির মধ্যে ঘরটায় ছিলাম। অনেকদিন পরে এখানে কিছদিনের জন্যে বাস করতে এসে বড় ভাল লাগছে। আজ সকালে উঠে দেখি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, বড় মন-খারাপ হয়ে গেল।--কিন্তু একটা বেলা হলেই মেঘটকু কেটে খািব কড়া রোদ উঠল। গরমও। গৈফর তহশীলদারের সঙ্গে গঙ্গায় সনান করতে গিয়ে স্নিগ্ধ গভীর শীতল অবগাহন সন্নান করে বড় আরাম পেলাম বহদিন পরে। স্নান করতে করতে কেবলই মনে হচ্ছিল, আমাদের গাঁয়ের ইছামতীর ঘাট থেকে এই সন্দর স্নিগ্ধ চৈত্র-দপরে কাঁচিপাতা ওঠা বন-ঝোপের পাশ কাটিয়ে বাঁশবনের ছায়ায় কোকিলের ডাক শািনতে শনিতে ফিরে আসা। বালি তেতে বড় গরম হয়েছে-পা পড়ে যাচ্ছে। রাখালবােব মারা গিয়েছেন শানে বৈকালে ঘোড়া নিয়ে তাঁর বাড়ী তিনটাঙাতে দেখতে গেলাম। জয়পাল সাধর বাড়ীর কাছে গিয়ে একজন সত্ৰীলোককে জিজ্ঞাসা করলাম --ডাক্তারবাবার বাড়ী কোথায় ? সে কথা বললে না। তারপর একটা লোককে জিজ্ঞাসা করাতে সে রাস্তা বলে দিলে। এর ওর বাড়ীর সামনে দিয়ে একটা বাড়ীর কাছে এলে, একটা ফসামত ছেলে বললে, ডাক্তারবাবার বাড়ীতে কেউ নেই। সেখানে দেখি, মটকনাথ পন্ডিত কি করছে। সেই মটকনাথ—যে তৌজির দিন কাছারী গিয়ে কানের পোকা বার করবার যোগাড় করেছিল। ফিরলাম যখন বেলা পড়ে গিয়েছে। বহদিন দিয়ারায় থাকবার সময় চোখে যখন হঠাৎ এই বড় বট অশবখগাছ দেখি তখন একঘেয়ে কাশ-ঝাউবনের দশ্যের সঙ্গে তুলনায় মনে হয়, যেন কোন অঙ্গারযাগের পথিবী থেকে হঠাৎ উচ্চে বিবৰ্ত্তনের জগতে এসে পৌছেছি। স্নিগ্ধ বৈকাল। ঝোপে ঝোপে পাখী কিচ কিচ করছে, আলোকলতা দলছে। আস্তে আস্তে ঘোড়া চালিয়ে এসে পথের ধারে একটা রোদপোড়া ঘাসোিভরা মাঠ VO