পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেলাম-বড় ভাল লাগল। মাঠের একটা বড় অশবখ গাছে নতুন কাঁচ রক্তাভা পাতা গজিয়েছে। অনেক শকুনির বাসা-মাঠে ঘোড়া ছেড়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম। এই স্নিগন্ধ বৈকালে আমাদের ইছামতীর ঘাটের পথ বেয়ে গ্রামের মেয়েরা সব গা ধীয়ে আসছে। যারা ছিল বিশ বছর পর্বে নব-বধ, তারা আজ প্রৌঢ়া, জীবনের কত সখেদঃখের ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে। সেই কুলগাছ দেখে এসে বাঁশতলায় বসাপিসিমার সেই কড়িকাটা বাঁশবন, মার হাতের হাঁড়ি কলসী পোড়ো ভিটায় পড়ামার হাতের পোঁতা সজনে গাছ—এই সিনগধ বৈকালে কাঁচিপাতা ওঠা অদভুত ধরনের অাঁকাবাঁকা গাছটার সীমারেখার দিকে চেয়ে মন-মতানো কোকিল, পাপিয়ার উদাস ডাক শািনতে শািনতে মনে হচ্ছিল জীবনটা কি অপব্ব করণ সঙ্গীত! সন্ধ্যার পরবী গৌরী রাগিণীর মত নিলিপ্তি নিৰ্ব্বিকার, অথচ চার-শিলেপর চরম দান। বিহারের এই ধা-ধ উদাস মাঠ প্রান্তর, দরপ্রসারী দিক চক্ৰবাল, দ্য একটি পরোনো শিমলগাছ-রক্ত সয্যাসত বড় ভাল লাগে। দারের নীল পাহাড়টা-যেন এক মায়ারাজ্যের সীমা একেছে৷ সন্ধ্যাধসর পািকব আকাশপটে। সারাদিনের খররৌদ্রদগধ মাটির সোঁদা সোঁদা রোদপোড়া গন্ধ, তারপরেই কলবিলিয়ার ঠান্ডা জলের গন্ধ-—বড় जभानन् 2का ठाठ । এখানকার জলের গণ বড় ভাল দেখছি। দপারবেলা কমলাকুন্ডুর কাছারীতে বসে বসে লিখি—খর-প্রচন্ড চৈত্র-রৌদ্রপাশের ঘর যেন আগনের মত দাউ দাউ জািৰলে-হ-হ পশ্চিমে হাওয়া বয়, আমার খোলা দরজার ঠিক সামনে দরের ঐ কাঁচিপাতা ওঠা শিশগাছটির দিকে ও তার পেছনকার উটের পিঠের কুজের মত ধসের পাহাড়টার দিকে চেয়ে চেয়ে দেখিকেবল মনে পড়ে, এই মধ্যাহ্নে বাংলাদেশের কত অজানা মাঠ-ঘেটফলে ভরা, উলখড়ে ভরা, কত মোটা মোটা গলণ্ডলতা-দলানো, রাঙাফলে ভরা শিমালগাছ। এ • গাছের ও গাছের তলায় যেন বসলাম। অজানা গ্ৰাম্যপথে মাঠের ধারের বনে গাছতলায় স্নিগাধ ছায়ায় বসতে বসতে পথ হাঁটা, রেলপথ থেকে বহল-বহদের সব গ্রাম —ক’ত দরিদ্র পল্লীতে শান্ত নিভৃত জীবনযাত্রা। কত ঘরে কত সখে-দঃখ-কত বধ, द5 दpeIाद *ाकठ (b२ । 2. RSCer AT55, SSRt u আজকার বেড়ানোটা সবচেয়ে অপব্ব । কলবলিয়া পার হয়ে মকুন্দপরের পথে বেড়াতে গেলাম। বেলা একেবারে গিয়েছে। বাঁ ধারে কলবলিয়ার ওপারে সিমানপরের দিয়ারাতে সােয্য অস্ত যাচ্ছে। কমলাকুন্ডু পার হয়েই পথের ধারে বড় বড় শিমল পাকুড়াগাছ, ঘোটফলের তেতো গন্ধ-বাঁশঝাড়, কোকিলের ডাক, গ্রামসীমার গাছপালার মধ্যে পাপিয়া ডাকছে। বসন্তের দিনে বেশ লাগল। অজানাপথে আকন্দ্যফল কচি ওড়াফলের মধ্যে দিয়ে ঘোড়া চালিয়ে যেতে এমন লাগছিল! যেতে যেতে একটা গ্রােম পড়লো-লবটলিয়া, পরে বোচাহি। পথে কীৰ্ত্তনীয়া বন্দোবন হেটে আসছে—বললে, নাগরা গিয়েছিল কীত্তন করতে। আমি বললামরামবাবাের ওখানে ? তারপর সে চলে গেল। ক্ৰমে ডিমাহী পেলাম। তারপর চৌধরিীটােলা। সেইখানটা গিয়ে পথের ডানধারে একটা সর মাটির পথ-দ-ধারে ঘন শিশগাছের শ্রেণী—ছায়াভিরা মাটির গন্ধ। রাস্তা ছেড়ে দিয়ে সেই পথ ধরলাম। একটা দরে গিয়ে একটা পোড়ো ভিটামিত-ঘোটফলের একেবারে জঙ্গল। ঘোঁটফলের গন্ধে একেবারে ভরপাের। ওদিকে আর একটা বাঁশঝাড়, একটা পাড়া। সেই-- VS