পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

एल्या6छ । আমাদের বাড়ীর ভিটেটাতে নতুন পোঁতা পড়ে আছে, কতকাল আগের এক নববর্ষের জলদানের চিহ্ন-দাতা হয়তো বেচে নেই। কত যত্নে তোলা ছিল-সেই সজনে গাছটার মত, কত যত্নে সঞ্চয় করা। সামনে বাঁশতলার ভিটেটাতে যে-সব খোলাখাপরা পড়ে আছে, কতকাল আগেকার কোন বিস্মত নব-বর্ষের ঘটদানের ভাঙা কলসীর খোলা-খাপরা সে-সব ? ভাবতেও-এতকালের অনন্তু-প্রবাহের চিন্তা করেই গা কেমন শিউরে ওঠে। সােয্য আছে, চন্দ্ৰ আছে, অসীম বস্তুপিণডগলো আছে—কিন্তু মানষে যদি না থাকতো, তবে কিছ না। মানষ আছে বলেই এই সন্টির শ্রেষ্ঠত্ব, সখের-দঃখের আনন্দ-উৎস। অজানা গ্রহে-নক্ষত্রে কি আছে জানি না, কিন্তু মনে হয় সে-সব সন্থান মরুভূমি নয়-তরণে-মাখের হাসিকান্নায়, সে-সব অজানা দরের জগৎও জাগ্ৰত প্রাণপন্দনে ভরা, সেখানেও বিচিত্ৰ সন্ধ্যাকাশে বিচিত্ৰ বন-পৰ্ব্বতের নিজানতায় বিরহী একা বসে প্রিয়ার কথা ভাবে, মা হারানো-ছেলের সমিতিতে চোখের জল ফেলেন, এই পথিবীতে এই মানষের মনের সখ-দঃখ নিয়েই ভগবানের অপব্ব কাব্য। এর সঙ্গে জীব-জন্তুর, গাছপালার দঃখ তাঁর মনে আসে যদি, তবে তাঁর আনন্দের তুলনা কোথায় ? ১৩ই এপ্রিল, ১৯২৮ ৷৷ ৩০শে চৈত্র, ১৩৩৪ ৷৷ নব-বষের দিনটা । অনেককাল আগের শৈশবের সেই-সব কালবৈশাখীর দিনের কথা মনে পড়ে। সেই ব্যটির গন্ধ, মেঘান্ধকার! আকাশের মায়ায় মগধ হয়ে ঘরের কোণে বসা, কাঁথা পাতা, শিল-পড়ার আশায় আগ্রহে আকাশের দিকে ঘন-ঘন চাওয়া, ঘরের দাওয়ায় চেয়ার পেতে মেঘান্ধকার আকাশের দরে পািব্ব প্রান্তে চেয়ে বিদ্যুৎ-চমক, বন্টির গন্ধ উপভোগ করতে করতে মনে পড়ল, কত কথা। অনেক দরে আজ আমার গ্রামে হয়তো চড়কের গোষ্ঠবিহার, ছেলেবেলার মত মেলা হচ্ছে, কত হাসিমাখ ছেলেমেয়ে, পাড়াগাঁয়ের কত মাটির ঘর থেকে এসেছে—এতক্ষণ লাঠিখেলা চলেছে-পাঁচিশ বৎসর আগের মত হয়তো। পাঁচিশ বৎসর আগের সে বালকের কথা মনে হয়, যার মনে কালবৈশাখী অপব্ব বাৰ্ত্তা আনতো! ত্ৰিশ পঞ্চাশ একশো হাজার তিন হাজার বছর কেটে যাবে। তিন হাজার বছর পরোকার যে বাংলার ছবি আমি এই মেঘান্ধকার নিজজন সন্ধ্যাটিতে বাংলা থেকে দরের দেশে এক জঙ্গল-পাহাড়ের ধারে ঘরটিতে বসে মনে আনতে চেন্টা করি। হয়তো সম্পণে নতুন ধরনের সভ্যতা, যার বিষয় আমরা কলপনা করতেও সাহস পাই না, সম্পপণ নতুন ধরণের রাজনৈতিক অবস্থা তখন জগতে এসেছে। হয়তো ইংরেজজাতির কথা, প্রাচীন গ্রীক রোমানদের মত ইতিহাসের গলেপার বিষয়ীভূত হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেল সন্টীমার এরোপ্লেন টেলিগ্রাফ তখন প্রাচীন যাগের মানব সভ্যতার কৌতহলপ্ৰদ নিদর্শন-সম্বরপ—সে ভবিষ্যৎযাগের মানবের চিত্ৰশালিকায় রক্ষিত হচ্ছে। বৰ্ত্তমান বাংলাভাষা, তখন আর কেউ বঝতে পারবে না, হয়তো এ ভাষা একেবারে লপ্ত হয়ে গিয়ে এর সস্থানে সম্পৰ্ণে নতুন এক ধরণের ভাষা প্রচলিত হবে। বহদির उदिय0ऊद्ध छवि ! তখনও এই রকম কালবৈশাখী নামবে, এই রকম মেঘান্ধকার আকাশ নিয়ে, ভিজে। S